ছোট্ট বন্ধুরা! আস্সালা....। আরে রাখো, রাখো, হৈচৈ বন্ধ করো, আগে আমার সালামটা তো নাও! সুন্দর করে একটা ওয়ালাইকুমুস-সালাম তো বলো! তারপর শোনবো তোমাদের কার কী অভিযোগ! আচ্ছা, এই যে তালপাতার সেপাই! কী নাম যেন তোমার, মুজাহিদুল ইসলাম! সাব্বাশ, জবরদস- নাম তো! তা খেয়ে দেয়ে ব্যায়াম টেয়াম করে স্বাস'্যটা একটু তৈয়ার করো না! নইলে বড় হয়ে জিহাদ করবে কীভাবে! যাক, তোমার কী অভিযোগ? আমার অভিযোগ, এবার যে আরো দেরী হলো? এখানে আমরা যে পুষ্পের জন্য পথ চেয়ে বসে থাকি সে কথা বুঝি মনেই থাকে না! এই যে গোমড়ামুখী মেয়ে! কী নাম যেন তোমার চাঁদমুখী! দারুণ তো! চাঁদমুখী যার নাম সে বুঝি এমন হাড়িমুখী হয়! মিষ্টি করে একটু হাসো না! মুখ থেকে জোসনারা ঝরে পড়-ক না! হাসো, হাসো, যেমন করে হাসে মেঘের ফাঁকে আকাশের চাঁদ! হাসবেই না! যাক, বলো তোমার কী অভিযোগ? আমার অভিযোগ, পুষ্প এবার তিনমাস পরে এলো কেন? খেয়ে দেয়ে করো কী তুমি ভাইয়া! ঘোমাও বুঝি নাকে তেল দিয়ে! বাপরে! ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের ঝালটা দেখি অনেক বেশী! আচ্ছা, ঐ যে দূরে দাঁড়িয়ে শান- ছেলেটি! তোমার নাম যেন কী? কী বললে, সাইমূম! তাহলে তো বাবা আমাকে পালাতে হয় জলদি জলদি! তাড়াতাড়ি বলে ফেলো তোমার কী অভিযোগ? আমি শুধু জানতে চাই, কয়দিনে হয় আপনার মাস? তো অভিযোগ তোমাদের একটাই! ভাষাটা শুধু ভিন্ন, আর রাগের ধরনটা আলাদা। কিন' পেয়েছোটা কী শুনি! তোমাদের তো মোটে একটা অভিযোগ, এদিকে আমার যে গুণে গুণে পাঁচটা অভিযোগ! কী বললে! প্পা ... পাঁচটা অভিযোগ! ভাইয়া না ভালো, বলো না, কিসের এত্তো অভিযোগ! এত সহজে বলবো কেন? আগে ওয়াদা করো, আর কখনো এত রাগ দেখাবে না! তিনমাস দেরী হলেও না।