শিশু-কিশোর ও নবীনদের পত্রিকা

মাসিক আল-কলম-পুষ্প

আল কুদসসংখ্যা (৩/২) | টেকনাফ/তেতুলিয়া

বানরের পিঠাভাগ ও পিঠাভোগ!

 

বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত কলামলেখক ফিলিস্তীন নিয়ে জাতিসঙ্ঘ এ পর্যন্ত যে আচরণ করেছে এবং যে নীতি অনুসরণ করেছে তাকে প্রথমে বানরের পিঠাভাগ এবং পরে বানরের পিঠাভোগ বলে আখ্যা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ১৯৪৭ সালে যখন  ইহুদিরা ছিলো জনসংখ্যার ৩৬ ভাগ তখন ফিলিস্তীনকে দু’ভাগ করে বড় ভাগটা (মোট ভূমির ৫৪ভাগ) ইহুদিদের দিয়েছে, আর জনসংখ্যার ৬৪ ভাগ ফিলিস্তীনিদের দেয়া হয়েছে ৪৫ ভাগ। তাহলে এটা কী আমাদের দেশের বহুল আলোচিত গল্পের সেই বানরের পিঠাভাগের মত হলো না?!

তারপর সেই ভাগও না বানর নিজে মানলো, না ‘বানরের বাচ্চা’। তাই দেখা যায়, ফিলিস্তীনের ভূমিকে দুই রাষ্ট্র ফরমুলার ভিত্তিতে ভাগ করা হলো, আর এই যুক্তির উপর আটচল্লিশেই ইহুদিদের ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলো। অথচ ফিলিস্তীনরাষ্ট্র এখনো আলোর মুখ দেখলো না। বরং যা দেখা গেলো তা এই যে, ফিলিস্তীনের প্রায় পুরো ভূমি চলে গেছে ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরাইলের দখলে, যারা বহিরাগত, আর যারা ফিলিস্তীনের আসল মালিক, তাদের হাতে রয়েছে খুবই সামান্য অংশ। সেটারও মালিকানা কার্যত ভোগ করছে ইহুদিরাই। এটা বানরের পিঠাভোগের মত হলো না?

কিন্তু আমাদের কথা হলো, পিঠা আর ভূমি এক নয়। পিঠাভাগের ক্ষেত্রে যা হয়েছে ভূমিভাগের ক্ষেত্রে তো তা হতে পারে না! ফিলিস্তীনের যোদ্ধারা তাই এখন চায় নতুন ভাগ এবং নতুন ভোগ!! সে লক্ষ্যেই হামাস চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিরোধজিহাদ!!