আরাকান সংখ্যা (৩/১)

আরাকানসংখ্যা (বিশেষ)

আরাকান বিপর্যয়, দুই দলের ভূমিকা

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

সরকার ঃ সর্বশেষ সঙ্কটের শুরু বিগত ২৫শে আগস্ট। একটি ভিত্তিহীন অজুহাতকে অবলম্বন করে মিয়ানমারের সামরিকবাহিনী আরাকানের নিরস্ত্র অসহায় রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর উপর, শাব্দিক অর্থেই জাতিগত নিধনের উদ্দেশ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বিপুল- সংখ্যক রোহিঙ্গা দিশেহারা অবস্থায় প্রাণরক্ষার আকুতি নিয়ে নাফনদী পার হয়ে বাংলাদেশে আসার চেষ্টা করে।বাংলাদেশের সরকার তখন এরূপ পরিস্থিতির জন্য ছিলো একেবারে অপ্রস্তুত। তাই কিছু বুঝে উঠতে না পেরেই সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার তড়িৎ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।* আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের রোহিঙ্গাদের ‘অনুপ্রবেশে’ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, মানবিক দিক বিবেচনায় বারবার তাদের আশ্রয় দিয়েছি। আর সম্ভব নয়।* একই দিন জাতিসঙ্ঘমহাসচীব রাখাইন রাজ্যে চলমান সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে বলেন, মূল সমস্যার সামাধান মিয়ানমারকেই অবশ্যই করতে হবে। একই সঙ্গে তিনি মানবিক দিক বিবেচনায় উচ্ছেদ হয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানান।* বিজিবি এ পর্যন্ত প্রায় দু’হাজার আশ্রয়প্রার্থী অসহায় রোহিঙ্গাকে জোরপূর্বক নাফনদীর ওপারে ঠেলে দিয়েছে।বেগম খালেদা জিয়াবিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তখন চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ল-নে। তিনি সেখান থেকে প্রচারিত তার প্রথম বিবৃতিতে রোহিঙ্গাদের উপর সহিংসতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা- সঙ্কট সম্পর্কে অমনোযোগী বাংলাদেশ সরকারের দুর্বল কূটনৈতিক তৎপরতার কারণে পরিস্থিতি শোচনীয় রূপ ধারণ করেছে। তিনি বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান। রোহিঙ্গাদের প্রতি নির্যাতনের চিত্র অমানবিক ও হৃদয়বিদারক আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, এভাবে সহিংসতা চলতে থাকলে উভয় দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।সরকারের কাছে তিনি জোর দাবী জানালেন। একান্ত মানবিক দিক বিবেচনায় সীমান্ত খুলে দেয়া হোক, যেন বিতাড়িত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে প্রাণ রক্ষা করতে পারে।সরকার১১ই সেপ্টেম্বর/ প্রধানমন্ত্রী সংসদে বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, মিয়ানমারকেই রোহিঙ্গাসমস্যার সমাধান করতে হবে, তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে হবে। তিনি বলেন, অত্যাচারের যে চিত্র দেখলাম তা বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না।সুনির্দিষ্টভাবে কারো নাম উল্লেখ না করে সংসদনেত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের দুর্ভোগের সুযোগ নিয়ে কেউ যেন রাজনীতি, বা ভাগ্যবদলের চেষ্টা না করে।* ৭ই সেপ্টেম্বর/ বৃহস্পতিবার রাত তিনটায় তুরস্কের ফার্স্ট  লেডি আমেনা এরদোগান বাংলাদেশে আসেন নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের অবস্থা স্বচক্ষে দেখার জন্য। শুক্রবার দুপুরে তিনি রোহিঙ্গাদের আশ্রয়শিবিরে ছুটে যান। মূলত তার এই ঝটিকা সফর এবং আশ্রয়শিবিরপরিদর্শন বাংলাদেশের সর্বমহলে এবং বিশ্বসম্প্রদায়ের কাছে অত্যন্ত প্রশংসিত হয় এবং  রোহিঙ্গা-সঙ্কটের প্রতি নতুন করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনযোগ আকর্ষণে সহায়ক হয়। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের অবাধে আশ্রয় দেয়ার অনুরোধ জানান। তুরস্ক তার সমগ্র সাধ্য নিয়ে বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে তিনি নিশ্চয়তা দেন।শেখ হাসিনা একপ্রসঙ্গে বলেন, আমরা রোহিঙ্গাদের পাশে থাকবো, তবে সবাইকে সঙ্গে থাকতে হবে।* নিয়মিত কলাম  লেখক সুপরিচিত ‘আওয়ামী’ ব্যক্তিত্ব  গোলাম মাওলা রনি বলেন, আমেনা এরদোগানের আগমন ছিলো আল্লাহর রহমত। এর কারণেই প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের  দেখতে যাওয়ার তাগাদা অনুভব করেন।* ১৩ই সেপ্টেম্বর/ সঙ্কটসৃষ্টির প্রায় ১৮ দিন পর প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা- শিবির পরিদর্শনে যান। মিয়ানমারের প্রতি, অমানবিক আচরণ বন্ধ করে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে শান্তি বজায় রাখতে চাই, কিন্তু অত্যাচার মেনে নিতে পারি না। এর বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, আমরা শরণার্থিদের পাশে রয়েছি যতক্ষণ না তারা নিজ দেশে ফিরতে পারছে। তিনি বলেন, রোহিঙ্গারাও মানুষ। আমরা তাদের কষ্ট অনুভব করছি। প্রতিবেশী দেশ হিসাবে মিয়ানমারকে আমরা সাহায্য করতে প্রস্তুত, কিন্তু আগে তো নিজের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে হবে। এলাকাবাসীকে সতর্ক করে তিনি বলেন, এসব আশ্রিতদের সঙ্গে কোন অমানবিক আচরণ করা যাবে ন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বলবো,  ওখানে এধরনের অমানবিক কাজ হলে প্রতিবেশী দেশ হিসাবে এখানে আমাদের উপর তার চাপ পড়ে। তবু আমরা মানবিক কারণে আশ্রয় দিচ্ছি। তিনি শরণার্থিদের অভয় দিয়ে বলেন, ষোলকোটি মানুষ যদি খেতে পায় তাহলে আপনাদেরও কোন সমস্যা হবে না।রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ভোটাধিকার কেড়ে নেয়ার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের সাবেক প্রধানমন্ত্রী তো স্বীকার করেছেন এরা মিয়ানমারের নাগরিক, তাহলে এখন কেন ...প্রধানমন্ত্রী একটি রোহিঙ্গা মেয়েকে কাছে টেনে আদর করেন।* সরকারী দল আশ্রয়শিবির-গুলোতে ত্রাণ বিতরণ শুরু করেছে এবং পুরোদমে।* মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে বিএনপির ত্রাণবাহী ট্রাকবহর আটকে দিয়েছে পুলিশ। নেতাদেরও বিকাল পর্যন্ত অবরুদ্ধ করে রেখেছে। পরে নেতাদের হোটেলে ফিরে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়।মির্যা আব্বাস ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সাহায্য নিয়ে যেতে চেয়েছি। এতে তো কোন রাজনীতি নেই। কিন্তু সরকার আমাদের ত্রাণও দিতে দিচ্ছে না। এটা চরম অমানবিক।* আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশদিন পর রোহিঙ্গাদের জন্য বিএনপির ত্রাণ বিতরণ হচ্ছে নিছক মায়াকান্না।* সরকার অলিখিতভাবে তখনো তার সিদ্ধান্তে অটল। বিজিবি- প্রধান ঘোষণা করলেন, আমরা সীমান্ত সম্পূর্ণ সিল করে দিয়েছি। একটা  রোহিঙ্গাও ‘অনুপ্রবেশ’ করতে পারবে না।* বিরোধী দল সরকারের কাছে সীমান্ত খুলে দেয়ার একই দাবী বারবার জানাতে থাকে।* তুরস্কের আহ্বান। নিজের শাণিত সমুজ্জ্বল ব্যক্তিত্বসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রবলভাবে উপস্থিত, তুরস্কের  স্বনামধন্য প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগান আমাদের ‘মহামান্য’ রাষ্ট্রপতিকে  ফোন করে অনুরোধ জানিয়েছেন,  মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের  যেন উদারভাবে আশ্রয়  দেয়া হয়। তিনি প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, তুরস্ক সর্বোতভাবে বাংলাদেশের পাশে থাকবে।কারো কারো মতে তুর্কী  প্রেসিডেন্টের আহ্বান ও আশ্বাসের পরই মূলত সীমান্ত অঘোষিতভাবে খুলে দেয়া হয়। আর তখনই হাজার হাজার  রোহিঙ্গার বাংলাদেশে প্রবেশের ঢল নামে। তবে এটা সত্য, আমাদের সীমান্তরক্ষা বাহিনী, রোহিঙ্গাদের ‘অনুপ্রবেশ’কে পিছনেও কখনো উষ্ণতার সঙ্গে গ্রহণ করেনি, এখনো না। শুধু বাধা দেয়া বা পুশব্যাক করা  থেকে বিরত হয়েছে। সম্প্রতি  তো অবস্থা এই দাঁড়িয়েছে  যে, নাফনদীতে নৌকা চলতে দেয়া হচ্ছে না। রোহিঙ্গাদের বহন করে আনার অপরাধে বিজিবি নৌকা  ভেঙ্গে দিয়ে মাঝিকে গ্রেফতার করছে। রোহিঙ্গা মুহাজিরীনের আগমন অবশ্য তাতে বন্ধ হয়নি। কারণ বিষয়টি হয়ে পড়েছে বাঁচা-মরার। নৌকায় করে আসাটাই  তো ছিলো ঝুঁকিপূর্ণ। প্রায় নৌকাডুবি হতো বিভিন্নভাবে। মর্মান্তিকভাবে প্রাণহানিও ঘটেছে প্রচুর। এখন তারা আসছে রীতিমত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভেলায় চড়ে। পত্রিকায় যারা ছবি  দেখেছেন, এ বক্তব্যের সত্যতা উপলব্ধি করতে সক্ষম হবেন।* মিয়ানমার বাহিনীর নৃশংসতার মুখে বাংলাদেশে ‘অনুপ্রবেশকারী’  কয়েক লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয়  দেয়ার কারণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কোন একটি পক্ষ হতে ‘মাদার অব হিউমিনিটি’ খেতাবে ভূষিত হয়েছেন। আওয়ামী মহলে তাতে অভূতপূর্ব উচ্ছ্বাসের, উৎসবের ঢেউ লেগেছে। সারা দেশ রীতিমত ব্যানার-ফেস্টুন দ্বারা ছেয়ে ফেলা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এতে কোটি কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। জনগণবাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণ শুরু থেকেই  যার যার সাধ্যমত ত্রাণ ও সাহায্য নিয়ে স্বতঃস্ফূর্ত-ভাবে ছুটে গিয়েছে আশ্রয়শিবির- গুলোর উদ্দেশ্যে। এক্ষেত্রে  দেশের আলেমসমাজ অত্যন্ত অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।   * সরকারের তরফে তখনো কোন প্রকার ত্রাণতৎপরতা শুরু হয়নি। তবে স্বাভাবিক কারণেই বেসরকারী ত্রাণবিতরণে বেশ বিশৃঙ্খলা বিরাজ করে।পরিস্থিতির সামনে সরকার তখন বেশ বিচলিত। কী করবে বুঝে উঠতে পারছে না।* এই পরিস্থিতিতে বিরোধীদলের পক্ষ হতে জোরালো দাবী উঠলো আশ্রয়শিবিরগুলোর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেয়ার জন্য। পরিস্থিতির কারণে শেষপর্যন্ত সরকার বিরোধী -দলের দাবীর মুখে সেনাবাহিনীকে আশ্রয়শিবিরগুলোর শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব দেয়। ফলে সামগ্রিকভাবে একটা শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়।* সরকারী দল ত্রাণ বিতরণ শুরু করে। মন্ত্রীরা গাঝাড়া দিয়ে ত্রাণ বিতরণের ...* সরকারের পক্ষ হতে অলিখিত    সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার পর নতুন যে বিষয়টি এবার দেখা গেলো তা হচ্ছে, প্রতিটি মসজিদের (স্বভাবতই আওয়ামীনিয়ন্ত্রিত) কমিটি মুছল্লীদের কাছ থেকে রীতিমত আয়োজন করে ত্রাণসংগ্রহের অভিযানে নেমে পড়ে। এটা এমনকি এই কিছুদিন আগে উত্তরাঞ্চলের বন্যাদুর্যোগের সময়ও এমন দৃশ্যের সঙ্গে  দেখা যায়নি।* চিকিৎসার প্রয়োজনে বেগম খালেদা জিয়া তখনো লন্ডনে। তবে তার নির্দেশে বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা ব্যাপক ত্রাণ- তৎপরতা শুরু করে। এক্ষেত্রে অপ্রত্যাশিতভাবে যা ঘটলো তা এই  যে, সরকার ও সরকারী দল পথে পথে এবং পদে পদে (জনতার) বিরোধী দলের ত্রাণকাজে বাধা দিতে থাকে। সহিংস হামলার ঘটনাও ঘটতে থাকে। খালেদা জিয়ার আগমন চিকিৎসার কারণে দীর্ঘ দিন লন্ডনে অবস্থানের পর, সরকারী মহলের ভবিষ্যদ্বাণী অসত্য প্রমাণিত করে  বেগম খালেদা জিয়া  ১৮ই অক্টোবর রোয বুধবার  দেশে ফিরে আসেন। একসময় তিনি বলেছিলেন, যা এখনো সর্বমহলে আলোচিত ও প্রশংসিত, ‘আমার তো বিদেশে  কোন ঠিকানা নেই। আমি দেশ ছেড়ে,  দেশের জনগণকে  ছেড়ে  কোথায় যাবো?’ সরকারী মহল থেকে জোরেশোরে প্রচার করা হয়েছিলো, মামলার শাস্তির ভয়ে ‘খালেদা পালিয়েছেন’ তিনি আর ফিরে আসবেন না। তিনি এলেন এবং  ঘোষণা করলেন, নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের অবস্থা প্রত্যক্ষ করার জন্য তিনি টেকনাফ যাবেন। ২৮ শে  সেপ্টেম্বর তিনি কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে সড়কপথে রওয়ানা হলেন। তার গমনপথে জনগণের অভূতপূর্ব সাড়া দেখে সরকার বলা যায়, বিচলিত আচরণ শুরু করলো। পথে তার গাড়ীবহরে হামলা হলো। অবশ্য ‘ঝাঁকিতত্ত্ব’ -এর সমঝদার যারা তারা এবার, কাওরান বাজারের হামলার সময় যা বলেছিলেন তা না বলে আরো কৌশলী হওয়ার চেষ্টা করে বললেন, ছাত্রদল-যুবদলের  ছেলেরা হামলা করে সরকারের উপর দোষ চাপাচ্ছে। কাওরান বাজারে বলা হয়েছিলো, তিনি জনগণের ক্ষোভ-ক্রোধের মুখে পড়েছেন। এখানে ভিডিউ ফুটেজ কিছুটা সমস্যা সৃষ্টি করলো।  তো  সে সম্পর্কে বলা হলো, এটা এডিট করা!হামলার মুখে  বেগম জিয়া প্রশংসনীয় অবিচলতা ও সংযম প্রদর্শন করে শেষ পর্যন্ত আশ্রয় শিবিরে গিয়ে পৌঁছতে সক্ষম হলেন।* বেগম জিয়া আশ্রয়শিবিরে বিপুল পরিমাণ ত্রাণ বিতরণ করেন। তিনি আশ্রিত রোহিঙ্গা পরিবারগুলোর খোঁজখবর নেন এবং সান্ত¦না দেন। তিনি তাদের বলেন, ‘ধৈর্য ধরুন, আল্লাহর কাছে দু‘আ করুন।’ * রোহিঙ্গাশিবির থেকে ফেরার সময় বেগম খালেদা জিয়া ছোট্ট একটি শিশুর কান্না শুনতে পান। তিনি এগিয়ে গিয়ে পরম মমতায় শিশুটিকে কোলে তুলে নেন, আর শিশুটির কান্না থেমে যায়। সে অবাক চোখে বেগম জিয়াকে দেখতে থাকে। বেগম জিয়া এসময় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। উপস্থিত সিনিয়র নেতাদেরও চোখ ভিজে ওঠে। রোহিঙ্গাশিশুকে কোলে নেয়া বেগম জিয়ার ছবিটি মঙ্গলবার ৩১শে অক্টোবর নয়া দিগন্তে ছাপা হলে দেশের সর্বত্র ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। । * আশ্রয়শিবিরে উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বেগম খালেদা জিয়া বলেন, আমরা মনে করি, শুধু রিলিফ বিতরণ নয়, বরং জোরালো কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে। মিয়ানমারকে তাদের নাগরিকদের  ফিরিয়ে নিতে হবে এবং সেখানে নিরাপদে নির্ভয়ে থাকতে দিতে হবে। কতিপয় দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর উদ্দেশ্যে ভর্ৎসনার সুরে তিনি বলেন, শুধু কথা বললে, শুধু নিন্দা করলে, বা উপরে উপরে সহানুভূতি দেখালে  তো কাজ হবে না। মিয়ানমারের উপর আপনারা  (৪৩-এর পাতায়) (৪৩-এর পাতায়)

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট