আরাকান সংখ্যা (৩/১)

আরাকানসংখ্যা (বিশেষ).

দেশত্যাগী রোহিঙ্গাদের পথে পথে দুর্দশার করুণ চিত্র

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

আরাকান রাজ্যের বিভিন্ন জনপদ থেকে নযিরবিহীন নৃশংসতার মুখে প্রাণ হাতে এখনো বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে হাজার হাজার রোহিঙ্গা নরনারী ও শিশুবৃদ্ধ। আসার পথে তারা যে বিপদ, কষ্ট ও দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে তার কিছু কিছু বর্ণনা শুনে গণমাধ্যমের লোকেরাও নির্বাক হয়ে যাচ্ছেন। বাড়ীঘর জ্বলছে, ভিতরে জ্যান্ত মানুষও জ্বলছে। কিন্তু চিৎকার করে কান্নারও সুযোগ নেই। তাহলে তো ধরা পড়তে হবে! তাই কান্না চেপে রেখেই পালাতে হচ্ছে। পথে গভীর জঙ্গলে ক্লান্ত শ্রান্ত ও বিপর্যস্ত কোন আপনজনের মৃত্যু হলেও, উপায় নেই। কাফনদাফন -হীন অরক্ষিত লাশ রেখেই সামনে যেতে হবে। প্রাণ তো বাঁচাতে হবে! টাইম ম্যাগাজিনের সংবাদকর্মী বলেন, আফগানিস্তানে, কাশ্মীরে আরো বিভিন্ন দেশে আমি দেখেছি ভয়াবহ সব মানবিক বিপর্যয় এবং দেখেছি মৃত্যু ও ধ্বংসলীলা, কিন্তু এখানে যা দেখছি তা প্রকাশ করার ভাষা আমার নেই। শাহপরীর দ্বীপে প্রায় নদীতীরে এসে নৌকা ডুবলো। কিছু মরলো। লাশ পাওয়া গেলো কি গেলো না! কয়েকজনকে উদ্ধার করা হলো অচেতন অবস্থায়। দু’টি জময শিশুর একটি মারা গেলো। মা কী করবে, কাঁদবে, না কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে, যেন বুঝে উঠতে পারছে না। তাই চল্লিশ দিনের মৃত এবং অচেতন শিশু দু’টিকে নিয়ে নির্বাক হয়ে বসে আছেন, সামনের দিকে শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে। বোঝাই যায়, বেশ কয়েকদিন তার মুখে দানাপানি পড়েনি। এই যে অন্তহীন মানবস্রোত সামনের দিকে চলছে, আসলে তাদের, সামনে এগুবার দিন শেষে। যে ঘর তাদের ছিলো তা আর নেই। যে জীবন ছিলো তা আর নেই, এমনকি যে পরিবার ছিলো তাও অনেকের আর নেই। তিনি আরো বলেন, আসলে আমার পায়ের তলা থেকে যেন মাটি সরে গিয়েছে। আমি আমার মেয়ের স্কলুকর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিবাদ করেছি তার বই বহন করার ব্যাগটা ভারী বলে। এখানে দেখলাম, ঐ বয়সের ছেলে মেয়েরা অসুস্থ মা-বাবাকে বহন করে আনছে কাদা-পানি, আর পাহাড়ের ঢাল বেয়ে!
(নয়া দিগন্ত, ২৭ অক্টোবর)
হঠাৎ করেই ঝাঁপিয়ে পড়ে পুরো এলাকায় সেনাবাহিনী এবং স্থানীয় দোসর রাখাইনগোষ্ঠী ধারালো অস্ত্রহাতে। অথচ দু’দিন আগেও আশ্বাস পাওয়া গিয়েছিলো নিরাপত্তার। প্রাণ বাঁচাতে প্রায় পাঁচহাজার রোহিঙ্গা রাতের আঁধারেই রওয়ানা হলেন। তারপরো পথে পথে রাখাইনদের হামলা। সঙ্গে অলঙ্কার ও মূল্যবান যা কিছু ছিলো ছিনিয়ে নিলো। ভুখা নাঙ্গা অবস্থায় তিনদিন পায়ে হেঁটে এসে পৌঁছলেন মংডু সীমান্তে। পথেই মারা গিয়েছে বেশ কিছু বৃদ্ধ, শিশু, ও অসুস্থ নারী। পথে এক গর্ভবতী নারীর প্রসববেদনা শুরু হলে বাধ্য হয়ে থামতে হলো। শিশুটি ভূমিষ্ট হলো পথের ধারে, কাদামাটিতে, রাতের অন্ধকারে, কোন রকম আলো ছাড়া। এ অবস্থার মধ্যেই চলতে হলো, কোন রকমে কিছু দূর আসার
পর প্রসূিতর পক্ষে আর হাঁটা সম্ভব হলো না। রক্তক্ষরণ হতে লাগলো। সহযাত্রীদের প্রতি প্রসূিত মায়ের তখন একটাই আকুতি, আমাকে ফেলে যাও, আমার সন্তানটা নিয়ে যাও! এই সব বিবরণ পাওয়া গেছে শাহপরীর দ্বীপে এসে আশ্রয় নেয়া লোকদের কাছে। নাফনদী পার হওয়ার সময় আবার তিক্ত অভিজ্ঞতা! নগদ টাকা, অলঙ্কার পথে লুট হয়ে গেছে। নৌকার ভাড়া নেই। জনপ্রতি দাবী আট দশহাজার। যে কয়েকজন দিতে পেরেছে, আসতে পেরেছে। অন্যরা পড়ে আছে অপর তীরে ভয় ও আতঙ্কের মধ্যে। াস্থনীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নাফনদীতে নৌকাডুবি যেমন দুঘর্টনার কারণে হচ্ছে তেমনি দুবর্ত্তৃরাও তাদের ডুবিয়ে মারছে, মূল ্যবান অলঙ্কারপত্র লুট করার মতলবে। রোহিঙ্গারা জানান, দুবর্ত্তৃরা সহযোগিতার কথা বলে নৌকায় তোলে। মাঝনদীতে এসে তিনগুণ অর্থ দাবী করে। অস্বীকার করলে নৌকা ডুবিয়ে দেয়ার হুমুকি দেয়। বিভিন্ন স্থানে আটকে রেখে বিরাট অঙ্কের টাকা দাবী করে। এভাবে বিদেশে থাকা জস্বনদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে। এমনও ঘটেছে যে, যারা টাকা দিতে পারছে না, তাদের নৌকা থেকে ছুঁড়ে ফেলা হয়েছে অন্যদের সন্ত্রস্ত করার জন্য। আবার পরিবারের দু’একজনকে আটকে রেখে অন্যদের ছেড়েদেয়া হচ্ছে দাবীকৃত টাকা জোগাড় করে আনার জন্য। স্বামীর জ্বলন্ত লাশ রেখে ৭ দিনের শিশু নিয়ে সীমান্তের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন মুহছিনা বেগম। তিনি বলেন, আলোতে যেন অন্ধকার! মাত্র সাতদিন আগে পৃথিবীর আলো দেখেছে আমার মেয়েটি। এখনই তার সামনে ভবিষ্যতের অন্ধকার। নিজে বাঁচি, না মরি চিন্তা নাই। মাছূম বাচ্চাটাকে বাঁচানো যাবে কি না সে দুশ্চিন্তায় আমি অস্থির। পথে তিনদিন কোন দানাপানি পড়েনি পেটে। বাচ্চাকে দুধ খাওয়াবো, বুকে দুধ নাই। এখন সীমান্তে নতুন বিপদ। তিনদিন ধরে পড়ে আছি খোলা আকাশের নীচে। পিছনে মৃত্যুর ধাওয়া, আগুনের লেলিহান শিখা, সামনে বাংলাদেশী রক্ষীর বন্দুক! মাছূম বাচ্চাটাকে শেষ পর্যন্ত ...! কত কান্নাকাটি করছি, এপারে ওপারে কোথাও দয়া- মায়া নাই। মানুষ আর মানুষ নাই। বিধ্বস্ত ও নির্বাক খাদীজার কোলে দুই দিনের নবজাতক। মিয়ানমারের জঙ্গলে এই শিশুর জন্ম হয়েছে। এ অবস্থায় হেঁটে পাহাড় জঙ্গল অতিক্রম করে তেরদিনে তিনি বাংলাদেশে এসে পৌঁচেছেন। কয়েকবার সন্তান- সহ পাহাড়ের ঢালে গড়িয়ে পড়েছেন। তারপরো আল্লাহর কুদরতে বেঁচে গেছেন। ক্ষুধায় অনাহারে তিনি এখন চলার শক্তি থেকেই বঞ্চিত। নবজাতককে কোলে নিয়ে শুধু নির্বাক দৃষ্টিতে সামনের দিকে তাকিয়ে আছেন। একলোকমা খাবার এখনো জুটেনি। মাজেদা বেগম তার কোলের পাঁচদিনের শিশুটিকে দেখিয়ে বলেন, শুধু পেটের সন্তানকে
বাঁচানোর তাগিদে এত কষ্ট করে এসেছি। নচেৎ মরিবাঁচি নিজের ঘরেই থাকতাম। পথে কাদামাটির মধ্যে আমার সন্তান হয়েছে। যখন প্রসববেদনা শুরু হলো তখন ... দু’দিন থেকে কিছু খাইনি। তারপরো আমি খুশী, আল্লাহ্র রহমতে আমার সন্তান এখনো বেঁচে আছে! ১৬ই সেপ্ট/ খুবই ভয়ঙ্কর খবর। মগ নরপশুদের নৃশংসতা থেকে প্রাণ বাঁচিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়ার পরো রোহিঙ্গা পরিবার- গুলো স্তিস্বতে নেই, বিশেষ করে যে পরিবারে যুবতী, তরুণী ও কিশোরী রয়েছে। তাদের সর্বনাশ করার চেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠেছে এদেশে কিছু নরপশু লম্পট ও নারীদালাল। হামীদা বলেন, জান বাঁচিয়ে, এমনকি আবরু বাঁচিয়ে দীর্ঘ পথে অবর্ণনীয় সব কষ্ট ভোগ করে এ দেশে মুসলিম ভাইদের কাছে এসেছি, কিন্তু এখানে এসে যদি আবরু ... কান্না রোধ করতে গিয়ে হামিদা আর কথা বলতে পারছিলেন না। হামীদা আরো বলেন, বাবাকে জবাই হতে দেখেছি, খালাকে দেখেছি ... তারপরো এত কষ্ট হয়নি যত কষ্ট হয়েছে এখানে মানুষের চোখে পাপদৃষ্টি দেখে। হামীদার মা বলেন, চরম আতঙ্কের মধ্যে পালিয়ে এসেছি, এখন আরো বেশী আতঙ্কের মধ্যে দিনরাত পার করছি, কখন মেয়েটার কী সর্বনাশ হয়ে যায়! আমরা কি তাহলে ফুটন্ত কড়াই থেকে জ্বলন্ত চুলায় পড়লাম?! * অচেতন নূর আয়েশার জীবন বাঁচাতে দু’দিন থেকে তাকে বহন করে দিশেহারার মত ঘুরছে াস্বমী ও পুত্র। দু’দিন থেকে তারা ঘুরছে হাসপাতালের খোঁজে, কিন্তু এখনো জানতে পারেনি, কোথায় হাসপাতাল! ক্যাম্প থেকে চিকিৎসকেরা বলে দিয়েছে 
বড় হাসপাতালে নেয়ার জন্য, কিন্তু ... * নাফনদীর অপর পারে প্রায় পঞ্চাশ হাজার রোহিঙ্গা নারী- পুরুষ-শিশু-বৃদ্ধ আটকা পড়ে আছে। অর্থের অভাবে তারা নদীও পার হতে পারছে না। আবার খাবারও পাচ্ছে না। লাতাপাতা, গাছের ছাল শিকড় খেয়ে কোনরকম প্রাণ ধারণ করার চেষ্টা করছে। এপারে আসা রোহিঙ্গা যুবক মুস্তফা বলেন, আমাদের পরিবার দুই লাখ টাকা দিয়ে পার হতে পেরেছে। আমরা ভুখানাঙ্গা অবস্থায় আতঙ্কের মধ্যে ১৫ দিন বেশীর ভাগ রাতের বেলায় বনজঙ্গল দিয়ে হেঁটে মংডুর নাইক্ষ্যংদিয়া আসি। তারপর তিনদিন অপেক্ষার পর নদী পার হতে সক্ষম হই। আমাদের কাছে টাকা থাকা সত্ত্বেও তিনদিন কোন খাবার যোগাড় করতে পারিনি। আমার বৃদ্ধা মা অনাহারেই ওখানে মারা গেছেন! কিছুই করতে পারিনি। * এ পর্যন্ত বাংলাদেশে আসার পথে এবং সীমান্তে অন্তত চারশ নারী সন্তান প্রসব করেছে। প্রসববেদনা থেকে প্রসব পর্যন্ত তাদের কোন সাহায্যকারী ছিলো না আল্লাহ ছাড়া। অধিকাংশ শিশু জন্মগ্রহণ করেছে কাদামাটির মধ্যে। অনেক শিশু জন্মের সময় বা জন্মের পর পর ঢলে পড়েছে মৃত্যুর কোলে। ন্যূনতম াস্থ্যস্ব ও চিকিৎসাসহায়তা ছাড়া প্রসবের জটিলতার কারণে কিছু নারীর মৃত্যু ঘটেছে। মাসুমা বলেন, তার সন্তানের জ্বর এসেছিলো খিঁচুিন দিয়ে। তার াস্বমী আবু বকর চিকিৎসাসহায়তার খোঁজে বের হয়েছিলেন। খালি হাতে ফিরে এসে দেখেন, ছেলে আর বেঁচে নেই। হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে তিনি মাত্র চারদিনেরভগ্নস্বাস্থ্যের প্রসূিত ীস্ত্রর উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। অন্যরা এসে তাকে নিরস্ত করেন। আবু বকর তার মৃত ছেলেকে নিকটস্থ জঙ্গলে কাফন ছাড়াই দাফন করেছেন। * কান্নাজড়িত কণ্ঠে এক নারী জানিয়েছেন, মৃত্যুর দুইদিন পরো দাফন করার ব্যবস্থা না হওয়ায় চারদিনের মেয়েকে নাফনদীতে ভাসিয়ে দিয়েছি। ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক অ্যান্থলী লেক বলেন, রাখাইন রাজ্যে সবধরনের ত্রাণকার্যক্রম নিষিদ্ধ করার কারণে এরূপ মর্মšদ‘ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। * কষ্টের সীমা নেই রোহিঙ্গা শরণার্থিদের। দুর্ভোগ যেন তাদের পিছু ছাড়ছেই না। আপনজন-স্বামী-সন্তান-স্ত্রী, ধনসম্পদ সর্বস্ব হারিয়ে তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। কোনমতে মাথাগুঁজে আছেন। প্রবল বৃষ্টিতে সেই আশ্রয়ও তাদের ভেসে গেছে। পাহাড়ী ঢলের কারণে কোন কোন এলাকায় রাতভর বুকপানির মধ্যে দাঁড়িয়ে কাটাতে হয়েছে। এতে অনেকে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ১৯ সেপ্টেম্বর/স্কাই নিউজের সাংবাদিক বলেন, যা দেখেছি, যা শুনেছি কল্পনা করাও সম্ভব ছিলো না। নূর খালিম নামের এক নারী তার পা দেখালেন। দগদগে লাল ক্ষত। চামড়া যেন খুলে আসছে। তার বাড়ীতে আগুন দেয়া হয়, আর জ্বলন্ত কাঠ পড়ে তার পা জ্বলে যায়, কিন্তু তার চেয়ে মর্মান্তিক বিষয় হলো ঐ আগুনে তার াস্বমী-সন্তান পুড়ে মরেছে। ঐ মহিলার ক্ষত থেকে তখনো রক্ত ঝরছে। দগ্ধ-ক্ষত পা নিয়েই অনাহারে অর্ধাহারে লাগাতার কয়েকদিন হেঁটে বাংলাদেশে এসেছেন।* ছয়সাত বছরের অপুষ্টির শিকার প্রায় কঙ্কালসার একটি মেয়ের কোলে পাঁচদিন বয়সের একটি শিশু, দেখেই বোঝা যায়, অসুস্থ। শিশুটির মা রাবেয়া কাছে এলেন। তাকে দেখে অবাক হয়ে শুধু ভাবলাম, এখনো কীভাবে বেঁচে আছেন!! আগে থেকেই ভীষণ অসুস্থ ছিলেন। সন্তান প্রসবের প্রায় সঙ্গে সঙ্গে তাকে বের হতে হয়। এরপর লাগাতার পাঁচদিন হেঁটে তার এখানে আসা। * ফাতিমা জানান, পাহাড়ীপথ ধরে পালিয়ে আসার সময় আমার দুই ছেলেকে হারিয়েছি। মগমিলিটারি তাদের গুলি করে মেরে ফেলেছে। এক ছেলে দুই বছর বয়সী, আরেক ছেলে তিনবছর বয়সী। ক্ষুধার যন্ত্রণায় তারা পথেই মারা গেছে। একফোঁটা জান, কত আর সইতে পারে! * হারেছা বেগমের াস্বমীকে তার এবং সন্তানদের চোখের সামনেই গলা কেটে হত্যা করা হয়। একের পর এক হত্যাকা- চলার মধ্যে তিনি সন্তানদের নিয়ে নিকটের পাহাড়ে আশ্রয় নেন। এসময় তাঁর দশবছরের প্রথম ছেলেটি হারিয়ে যায়। তিন সন্তানকে নিয়ে রোদ ও ঝড়বৃষ্টির মাঝে টানা পথ চলে তারা আরো বেশী কাবু হয়ে পড়ে। পথে নৌকার মধ্যে তার আরেকটি সন্তান মারা যায়। তাকে নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়। হারিয়াখালী ঘাটে আসার পর তার আট মাসের কোলের শিশুকন্যাটি মারা যায়। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে একেবারে বিধ্বস্ত হারিছার এখন বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন সন্তানটি নিয়ে কী করবেন, কোথায় যাবেন কিছুই বুঝতে না পেরে নির্বাক হয়ে বসে ছিলেন।

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা