শিশু-কিশোর ও নবীনদের পত্রিকা

মাসিক আল-কলম-পুষ্প

মুহররম.১৪৪০হিঃ (৩/৬) | কিশোর পাতা

কিশোর বন্ধুরা!

সালাম গ্রহণ করো। আশা করি সবাই ভালো আছো। আজ বড় গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় ...জ্বলন্ত একটা প্রশ্ন ... আমাদের প্রিয় পুষ্প কী জন্য আত্মপ্রকাশ করেছিলো? কী ছিলো তার চলার পথের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য? * অনেক কিছুই ছিলো; তার মধ্যে একটা উদ্দেশ্য ছিলো, ‘চিন্তার জগতে পরিবর্তন, চেতনার জগতে বিপ্লব এবং জীবনের প্রতি আচরণ ও দৃষ্টিভঙ্গির ক্ষেত্রে আভিজাত্য অর্জন, যা পুষ্পের প্রতিটি পাঠকের জীবনকে সমৃদ্ধ করবে ...** একটা উদ্দেশ্য ছিলো, এমন আত্মপ্রত্যয়ী প্রজন্ম গড়ে তোলা যারা সময় ও সমাজের প্রতিটি প্রশ্ন ও জিজ্ঞাসার জবাবে সুদৃঢ় আস্থা ও নিষ্কম্প বিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারে, এই যে এটা আমাদের পথ! এই যে এটা আমাদের ভবিষ্যত! এবং এটাই জাতির ভবিষ্যত মুক্তির রাজপথ। ...*** একটা উদ্দেশ্য ছিলো, আমরা যা জানি, যা বুঝি এবং যা বিশ্বাস করি, সবার সামনে যেন তা তুলে ধরতে পারি দরদ ও প্রজ্ঞার সঙ্গে এবং ভাষা ও সাহিত্যকে যুগের উপযোগী মাধ্যমরূপে ব্যবহার করে। .... এজন্য আমরা চেয়েছি, তৃণমূল থেকে কিছু লেখক ও সাহিত্য -সাধকের আত্মপ্রকাশ ঘটুক যাদের গুণ, বৈশিষ্ট্য ও যোগ্যতা হবে জীবনের কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ; কলবের সঙ্গে যাদের কলমের বন্ধন হবেগভীরও নিবিড়, সজীব ও জীবন্ত; যাদের কলমের ভাষা হবে যেমন ‘গতিময় তেমনি গীতিময়’; যাদের কলমে থাকবে ঝর্ণার সুরসঙ্গীত এবং জলপ্রপাতের উচ্ছ্বাস; যাদের কলমের কালি কখনো হবে রিমঝিম বৃষ্টি, কখনো লাভা আগ্নেয়গিরি ...!!এককথায়, চিন্তা ও চেতনার ব্যাপক জাগৃতি ও বিপ্লবের সমান্তরালে কলব ও কলমের সাধনায় যারা করবে পূর্ণ আত্মনিয়োগ ও আত্মনিবেদন এবং ...**** এর মধ্যে একটা বিনীত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিলো সর্ববিষয়ে আমার নিজের উন্নতি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অর্জনের সাধনায় নিমগ্নতা অর্জন। ...অল্প অল্প করে তিনটি প্রকাশনায় সময় তো আর কম হলো না! এখন তো আমাদের এ আত্মজিজ্ঞাসার সম্মুখীন হতেই হবে, পুষ্পের পথচলা কতটা সফল হয়েছে এবং ...যদি সুযোগ হয়, আমরা পরবর্তী আলোচনার জন্য আবার মিলিত হবো ইনশাআল্লাহ।একটি কিশোরকে আমি চিনি। যদি তোমরা তার কবর দেখতে চাও, শহীদ বাড়িয়ার ছোট্টগ্রাম ... যাও। তার নাম ছিলো ছাবের। যদি তার ছোট্ট আধফোটা জীবনের কাহিনী শুনতে চাও, আমার কাছে আসো। আমার চেয়ে ভালো তার কথা হয়ত কেউ বলতে পারবে না। করণ আমি তার অন্তরের যত কাছে যেতে পেরেছি এবং তার ভিতরের কষ্টগুলো যত নিবিড়-ভাবে অনুভব করতে পেরেছি, আর কারো পক্ষে ...। ঐ গ্রামে ছোট্ট এক কুঁড়ে ঘরে সে তার বড় বোনের সঙ্গে বাস করতো। সে ছিলো পঙ্গু শয্যাশায়ী। বড় বোনই তার দেখা-শোনা করতো। তার নিজের বাড়ী! বহু আগেই মা-বাবা দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন। আগে বাবা, তারপর মা। তখন থেকেই সে এতীম। তখন থেকেই সে ভোগ করেছে এতিমি জীবনের কষ্টবেদনা, তবে খুব নীরবে, ছবর ও ধৈর্যের সঙ্গে। প্রায় হাসিমুখে। কেউ বুঝতে পারতো না, তার অন্তরের জগতে নিরন্তর কী ঝড় বইতো!এখন মনে হয়, এটা ছিলো তার নামের গুণ। ছাবেরকে আল্লাহ সেই অল্প বয়সে তেমন গুণই দান করেছিলেন।সেটা ১৯৭০ সালের কথা। আমি ও সে একসঙ্গে পড়ি লালবাগ মাদরাসায় মিযানের জামাতে। আমি কিশোর, সেও কৈশোরের অঙ্গনে। একসঙ্গেই আমাদের ওঠাবসা এবং সুখ-দুঃখের ভাববিনিময়। আসলেসঠিকভাবেবললে বলতে হবে(ডানের প্রান্তে যাও)এভাবে- আমার ছোট্ট জীবনে দুঃখের তেমন কিছু ছিলো না। তাই আমি সুখের কথাই বলতাম। অন্যদিকে তার ছোট্ট জীবনে দুঃখ ছাড়া কিছু ছিলো না। তাই সে শুধু দুঃখের কথা বলতো। তবে ঐ যে বললাম, এমনভাবে বলতো যেন জীবনের খুব স্বাভাবিক কোন ঘটনা। তখন তার মুখে হাসি থাকতো না ঠিক, তবে দুঃখের কোন ছায়াও থাকতো না। তার একটা ভালো গুণ ছিলো। যে কোন কথার শুরুতে বা শেষে বলতো, সবই আল্লাহর ইচ্ছা । এমনভাবে বলতো, তখনকার বয়সেও অনুভব করা যেতো; তার কথার মধ্যে রয়েছে চিত্তের পরিপূর্ণ সমর্পিতি।তখন সে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটে; শৈশবে নাকি এমন ছিলো না। হাঁটা-চলা স্বাভাবিক ছিলো। হাফেয হয়ে রামাযানে তারাবি পড়ালো নিজের বাড়ীতে। মানুষের জীবনে-ধনী গরীব সবার জীবনে- ঈদ আসে কিছু না কিছু আনন্দ নিয়ে। তার জীবনে ঈদ এলো একসাগর দুঃখ নিয়ে। রামাযানের শেষ দিকেই অজ্ঞাত এক রোগে আক্রান্ত হলো। পায়ে ব্যথা অনুভব করতো। সেই থেকে শুরু। ধীরে ধীরে পাদু’টো শুকিয়ে এমন হলো, যেন শুকনো পাটখড়ি! দীর্ঘ দিন বাড়ীতে ছিলো। চিকিৎসা হয় ধীরে ধীরে যৎসামান্য, কিন্তু রোগের অবনতি হয় দ্রুত। একসময় দেখা গেলো সে আর হাঁটতে পারে না। তখন থেকেই তার মুখে একটা কথা, ‘সবই আল্লাহর ইচ্ছা। ৯৫ পর্যন্ত তার খোঁজখবর  পেয়েছি। তারপর...!
বর্তমানের প্রতি কৃতজ্ঞতাঅতীতের প্রতি কৃতজ্ঞতার কথা যখন বলি, তখন তার একটা কল্পরূপ আমাদের চিন্তায় উদ্ভাসিত থাকে। তাই অতীতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্যও হৃদয় স্বঃতস্ফূর্ত হতে পারে এবং হয়। অতীত আমার জীবন থেকে হারিয়ে গেছে, তবু অতীত আমার জীবনে বিপুল সমৃদ্ধি ও প্রাচুর্য নিয়ে বিদ্যমান রয়েছে। জীবনের যা কিছু অর্জন, যা কিছু প্রাপ্তি ও সমৃদ্ধি তাই দিয়ে অতীতকে আমি অনুভব করতে পারি, এমনকি তার সান্ত¡নাময় স্পর্শও অনুভব করা যায়, যদি হৃদয় উন্মক্ত হয়, যদি শিশিরের ¯তায় হৃদয় সিক্ত হয়।একই ভাবে আমরা বুঝতে পারি কাকে বলে ভবিষ্যত! আমার জীবনের অতীত যদি হয় পঞ্চাশ বছর, ভবিষ্যত হতে পারে একদু’দিন বা এক দুই যুগ। আমি বুঝতে পারি, কীভাবে হতে পারে আমার ভবিষ্যত আমার অতীতের চেয়ে সুন্দর, সমুজ্জ্বল। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যত গড়ে তুলতে পারে মানুষ। ভবিষ্যত যেহেতু অপার সম্ভাবনা নিয়ে আমার সামনে, এ জন্য ভবিষ্যতের প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়ারও অনুপ্রেরণা হৃদয় অনুভব করে।***বর্তমান! বর্তমান বলে কোন কিছু কি আমরা অনুভব করতে পারি?! মনোবিজ্ঞানীদের বক্তব্য, কাকে বলে বর্তমান, কী এর রহস্য, মানুষ আজো তার সন্ধান পায়নি। বর্তমান বলে কিছু যদি থেকে থাকে, তা এতই সামান্য, এতই অকিঞ্চিৎকর এবং এতই কাছে যে তা অনুভব করার মত সক্ষমতা আমাদের হৃদয় এখনো অর্জন করতে পারেনি। ***বর্তমান সম্পর্কে এটাই অবশ্য শেষ কথা নয়। একজন অন্তর্জ্ঞানী বলেছেন, বর্তমানকে নাও যদি অনুভব করতে পারো, অন্তত এজন্য বর্তমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারো যে, তোমার বর্তমানই তোমার অতীত ও ভবিষ্যতের মাঝে সীমান্ত রেখা তৈরী করেছে।



আজ নির্জন দুপুরে কিছু সময় প্রকৃতির কোলে যাপন করেছি। গাছের ছায়ায় বসে। মনটা আকুল ছিলো বাঁশির সুর শোনার জন্য। গ্রামে এই রকম দুপুরে ক্লান্ত রাখাল বাঁশিতে বড় করুণ সুর তোলে। যে শোনে তারই মন তখন কেমন করে।এখন তো গ্রামবাংলার জীবন থেকেই হারিয়ে গেছে বাঁশীর সুর। সুতরাং শহরে রুটি-রোযির নিরন্তর সংগ্রামেরপ্রাণহীন জীবনে কোথায় পাবো বাঁশির সুর!আশ্চর্য! তখনই শুনি অজানা অচেনা একটি পাখীর একটানা করুণ সুর! দেখি, আমি যে গাছে নীচে, তারই একটা ডালে আমারই মত একলাটি বসে আছে!নির্জন প্রকৃতির কাছ থেকে তখন আমি যেন শুনতে পেলাম জীবনের বাণী। নিঃসঙ্গতাকে বরণ করো এবং তোমার ভিতরে সুরের আবেদন তৈরী করো। এই যে পাখীটি দেখো, নিঃসঙ্গতাকে বরণ করেই সে এত সমৃদ্ধ। তার ভিতরে সুরের আবহ রয়েছে বলেই কণ্ঠে মনকেমনকরা এমন করুণ সুর। তবে তোমার জন্য প্রয়োজন পাখীর গান নয়, সংগ্রামের উদ্দীপনাময় সঙ্গীত এবং জিহাদের জোশ-তারানা!!
তোমাদের লেখা, ভোরের রাঙ্া সূর্যের প্রভা!   ঈদ-উৎসবউম্মাহর চেতনার দীপক উদ্ভাসহানযালা বিন মুত্তালিব(জামাতে জালালাইন, দারুল উলূম, খুলনা)বিদায় নিলো পবিত্র ঈদুল ফিতর। মুসলিম উম্মাহর ‘আনন্দ -উৎসব পালনের নির্ধারিত দু’টি দিনের একটি।একমাস সিয়াম পালনের মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহ যখন রহমত, মাগফিরাত ও ‘বারাকাতের’ (?)¯িœগ্ধ সরোবরে অবগাহন করে তখন আল্লাহর পক্ষ হতে মহা-পুরস্কাররূপে একটি উৎসব-দিবসের উপহার আসে সবার হৃদয়ে আনন্দের ঢেউ তুলে। সেটাই হলো ঈদুল ফিতর।অনেক লেখক লেখেন, ‘প্রতিটি জাতিরই উৎসব পালনের দিবস রয়েছে (যেখানে তারা নিজস্ব আচার-প্রথা ও সংস্কৃতি অনুযায়ী উৎসব পালন করে)। আর অনিবার্যভাবে ইসলামেরও উৎসব পালনের জন্য দু’টি দিবস নির্ধারিত। আর তা হলো ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা।’‘আমি কিন্তু এমন সরল সমীকরণে বিশ্বাসী নই। আমি আমার ধর্মবিশ্বাস এবং আমার ধর্মের প্রতিটি আচরণে উচ্চারণে স্বাতন্ত্র্যের পরম বিশ্বাস লালন করি। আর এজন্য আমি রীতিমত গৌরব বোধ করি।(ভাই হানযালা, উপরে বন্ধনীর প্রশ্নবোধক চিহ্নটি সম্পর্কে চিন্তা করো।যে মাযমূন সম্পর্কে তুমি ‘অনেক লেখক লেখেন’ বলছো, আমাদের জানামতে সেটি হাদীছের মযমূন।এখানে তুমি সরল সমীকরণ দেখছো কোথায়? এখানেও তো রয়েছে বিশ্বাস ও সংস্কৃতির ভিন্নতার প্রতি সুস্পষ্ট ইঙ্গিত।শিক্ষাজীবনের যে স্তরে তুমি আছো, তাতে কলমচালনার ক্ষেত্রেআরো সতর্ক ও সংযমী হওয়া কাম্য)অন্যান্য ধর্মের উৎসব আয়োজনে উৎসবই হয় মুখ্য। উৎসবের ঊর্ধ্বে কোন মহান উদ্দেশ্য ক্রিয়াশীল থাকে না। যার কারণে ধর্মের সকল অনুসারী উৎসব-আনন্দের অংশীদার হতে পারলো কি না সেটা ভেবে দেখার প্রয়োজন তাদের পড়ে না।পক্ষান্তরে ইসলাম উৎসব পালনের সমান্তরালে একে অন্যের আনন্দ-বেদনায় অংশীদার হতে উৎসাহিত করেছে। তাই ছাদাকাতুল ফিতর ও কোরবানির বিধান দিয়েছে।তুমি এ ধরনের সর্বমুখী চেতনা ও কর্ম আর কোন্ জাতিধর্মে পাবে বলো?এ তো একটি দিক গেলো। এছাড়া উৎসবের আনন্দোচ্ছল পরিবেশে পবিত্রতা, শালীনতা, সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও সম্যতার মত মহান গুণগুলির চিন্তা তো একমাত্র ইসলামেই করা যায়।(তুমি কি আসলে সাম্য বা সমতা লিখতে চেয়েছিলে?)উপরন্তু উৎসব-দিবসের আনন্দঘন মুহূর্তেও পরম সত্তার অভিসারে আত্মনিমগ্ন হওয়া; ইহলৌকিক প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে পারলৌকিক কল্যাণ -প্রার্থনা ও মুক্তি-উৎকণ্ঠা তুমি আর কোন্ ধর্মবিশ্বাসে পাবে, বলো।(আর কোন্ ধর্মবিশ্বাসে পাওয়া যাবে?)..... হে ভাই, হে প্রিয় মুসলিম উম্মাহ, এসো আমরা হাতে হাত রাখি এবং উম্মাহর চেতনার দীপক উদ্ভাসে জ্বলে ওঠি। শুধু মুখে নয়, কর্মেও সভ্যতাগর্বী সর্বজাতিকে বুঝিয়ে দেই ... এসো আমরা প্রস্তুত হই, যোগ্য হই!(সবকিছুর জন্য নির্ধারিত সময় রয়েছে। পাঠকের উদ্দেশ্যে ‘তুমি’ সম্বোধন আরো পরের জন্য তুলে রাখো না কেন!)অসামান্যচিঠি! সামান্য উত্তর!!শ্রদ্ধেয় আদীব হুযূর! আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ্আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। মনে প্রাণে এটাই কামনা করি। আপানার ভালো থাকা যে আমার ক্ষুদ্র জীবনের জন্য অনেক সান্ত¡না ও প্রশান্তির কারণ? শায়খুল হাদীছ হযরত মাওলানা যাকারিয়্যা রহ. এর মত বলতে ইচ্ছে করে, ‘কৃত্রিমতা ও অতিশয়োক্তি ছাড়াই নিবেদন করছি, আপনার সঙ্গে সম্পর্ককে আমি নাজাতের ওছীলা মনে করি। আমি আপনার দু‘আর খুবই মোহতাজ ও আকাক্সক্ষী। আপনার জন্য দু‘আ করাকে আমি আমার কর্তব্য এবং আমার উপর আপনার হক মনে করি।’হুযূর! কতভাবে আপনার কাছে চিঠি লিখি, কিন্তু মনের মত হয় না। আপনার লেখা পড়ে পড়ে বুঝতেই পারিনি, কখন যে আপনি আমার হৃদয় ও আত্মার এত ...! একসময় মনে হতো, আপনার লেখা শুধু পড়া যায়, আপনাকে অনুভব করা যায় না। আপনাকে শুধু কল্পনা করা যায়, কিন্তু আপনাকে ...!! এখন মনে হয়, আপনাকে কাছেও পাওয়া যায়, আপনার সান্নিধ্য এবং আপনার সংস্পর্শও অর্জন করা যায়।তারপরও মনের কথাগুলো আপনাকে গুছিয়ে বলতে পারছিলাম না। এর মধ্যে পেলাম হযরত শায়খুল হাদীছর.-এর ঐ কথা, যা তিনি সৈয়দ আবুল হাসান আলী নদবীকে সম্বোধন করে...! মনের কথা প্রিয়জনকে বড়রা কত সুন্দর করে গুছিয়ে লিখতে পারেন!! ...গোস্তাখি মাফ, কলবের ইতমিনান ও হৃদয়ের প্রশান্তির জন্য একটা প্রশ্ন করলাম। আমার বুঝ কম, তাই বুঝিয়ে দিলে খুশী হবো। ‘লক্ষ্মী’ তো শুনেছি ওদের দেবী; শব্দটি  ব্যবহার করা আমাদের জন্য কি ঠিক? ...(ফাতেমা বিনতে মীযানুর রহমান, টাঙ্গাইল)(চিঠির তারিখ নেই)০০ লক্ষ্মী মেয়ে! তুমি যা শুনেছো তা ঠিক। যা শুনোনি তাও ঠিক, অর্থাৎ শব্দটির মধ্যে কোন দোষ নেই। ওরা দেবীর জন্য ব্যবহার করছে বলেই শব্দটি ওদের দখলে চলে যায়নি। ‘দেবিত্ব’ এ শব্দটির জন্মগত অর্থ নয়, আরোপিত অর্থ। শব্দটির জন্মার্থ হলো ‘উত্তমা’ এ অর্থে শব্দটিকে অবশ্যই আমরা ব্যবহার করতে পারি এবং তোমাকে লক্ষ্মী মেয়ে বলতে পারি। আসলেই তো তুমি লক্ষ্মী মেয়ে!!০০ আরবী সাহিত্যের মাজায বাংলাসাহিত্যে চলবে না কেন? ওখানে যদি বসন্ত ফসল ফলাতে পারে, এখানে আকাশ কেন করুণা করতে পারবে না? ওখানে ‘খালিকুর রাবী’ বলতে হবে না, এখানে কেন ‘আকাশের ¯্রষ্টা বলতেই হবে?’