শিশু-কিশোর ও নবীনদের পত্রিকা

মাসিক আল-কলম-পুষ্প

জিলহজ্ব ১৪৪০ হিঃ (৩/৮) | বিজ্ঞান বিচিত্রা

স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা

وإذا مرضت فهو يشفين

     আর যখন আমি অসুস্থ হই তখন তিনিই (আমাকে) আরোগ্য ও শিফা দান করেন।

 

তরমুজ, বড় প্রশান্তির ফল!

পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন মৌসুমে মানুষের জন্য আল্লাহ্ তা‘আলা কত প্রকার ফলের যে ব্যবস্থা করেছেন! তাতে বুঝতে পারি, মানুষকে আল্লাহ্ কত ভালোবাসেন!

মানবদেহের সুস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে প্রতিটি ফলের রয়েছে নিজস্ব ভূমিকা। আমাদের ফলের জগতে, গরমকালের ফল হিসাবে তরমুজ অত্যন্ত পরিচিত ও উপকারী একটি ফল। আজ আমরা স্বাস্থ্যরক্ষায় তরমুজের উপকারিতা সম্পর্কে কিছু আলোচনা করতে চাই।

বাংলাদেশের প্রায় সবজেলাতেই তরমুজের ফলন হয়। আকারে বেশ বড়। বাইরের অংশটা গাঢ় বা হালকা সবুজ। কোনটাতে ডোরাকাটা। খোসা বেশ মোটা। গরুর প্রিয় খাদ্য। ভিতরটা লাল। খোসার দিক থেকে কেন্দ্রের দিকে ক্রমে লাল রঙ ও মিষ্টতা গাঢ় হতে থাকে। বিচিগুলো কালো ও চেপ্টা। ছড়ানো অবস্থায় থাকে।

তরমুজ সাধারণত টুকরো আকারে খাওয়া হয়, তবে শরবতরূপে ব্যবহারেরও প্রচলন রয়েছে। যেভাবেই গ্রহণ করা হোক, গরমের সময় তরমুজ আমাদের দেহমনে বড় প্রশান্তি আনে। মনের প্রশান্তি ততই বৃদ্ধি পায়, ঐ সত্তার প্রতি শোকরের অনুভূতি যত গভীর হয়, যিনি এ ফল আমাদের দান করেছেন।

তরমুজ দেহের পুষ্টিচাহিদা দ্রুত পূরণ করে, কারণ তাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ উপদান। পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতি একশগ্রাম তরমুজের জলীয় অংশ হলো ৯৫.৮ গ্রাম। একারণেই প্রচ- গরমে শরীরে পানির চাহিদা পূরণে এবং শরীর ঠা-া রাখতে তরমুজ যথেষ্ট সাহায্য করে। বিশেষ করে যারা গরমে কাজ করে এবং যাদের প্রচুর ঘাম ঝরে তাদের জন্য।

অন্যান্য উপাদানের পরিমাণ খুব সীমিত। যেমন শর্করা মাত্র ৩.৩ গ্রাম। লৌহ ৭.৯ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ১১ মিলিগ্রাম, ...

পুষ্টিবিদদের মতে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধের ক্ষেত্রে তরমুজের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তরমুজ আমাদের মস্তিষ্কের ¯য়ুকোষগুলোকে সুস্থ সতেজ রাখে, ফলে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণরোগের ঝুঁকি কমে যায়।

তরমুজে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে, যা দেহে রোগ-প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং সুষ্ঠু রক্ত-সঞ্চালনে সাহায্য করে।

জলীয় অংশের প্রাচুর্যের কারণে বৃক্ক বা কিডনির সুস্থতার জন্য তরমুজ খুব উপকারী, তাছাড়া তা বৃক্কে পাথর জমতে দেয় না।

পুষ্টিবিদদের মতে শর্করার পরিমাণ সামান্য হওয়ার কারণে ডায়াবেটিস রোগীরা স্বচ্ছন্দে তরমুজ খেতে পারেন। তাছাড়া তরমুজে বিদ্যমান পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম রক্তের ইনসুলিনকে সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। তবে ডায়াবেটিস রোগীর জন্য তরমুজের পরিমাণ নির্ধারণে নিজ নিজ চিকিৎসকের নির্দেশনা ও পরামর্শ জরুরি।

তরমুজে চর্বির পরিমাণ খুব সীমিত। ফলে প্রচুর পরিমাণে খেলেও তাতে চর্বি জমে না, বরং চর্বিবৃদ্ধির প্রবণতা কমে আসে।

তরমুজে থাকে বিটাকেরোটিন নামে একটি উপাদান, যার কারণে তরমুজের আঁশ লাল হয়। এটি চোখের জন্য অত্যন্ত উপকারী, বিশেষ করে চোখের দৃষ্টিশক্তির ক্ষেত্রে।

তরমুজে বিদ্যমান পটাসিয়াম হাড়ের গঠন শক্ত ও মজবুত রাখে এবং দেহের ক্যালসিয়াম ধরে রাখতে সাহায্য করে।

আঁশ ও পানির কারণে তরমুজ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। প্রস্রাবের জ¦ালাপোড়া ও প্রস্রাব-স্বল্পতার ক্ষেত্রে তরমুজ খুব উপকারী।

তরমুজ সবমৌসুমে পাওয়া যায় না, তাই দেশীয় চিকিৎসকদের পরামর্শ হলো তরমুজের বিচি চূর্ণ করে রাখা এবং পানির সঙ্গে সামান্য পরিমাণে সেবন করা। একইভাবে খোসাও শুকিয়ে রাখা যায়।

বাজারে খোলা অবস্থায় কাটা তরমুজ কিছুতেই খাওয়া উচিত নয়। কাটা তরমুজ বেশী সময় ফ্রিজে থাকলে তার খাদ্যগুণ নষ্ট হয়ে যায়। (তরমুজ গ্রহণ করুন এবং আল্লাহ্র শোকর করুন।)

 

চাঁদের মত এমন ফুটফুটে শিশু! তার এমন কঠিন বিরল রোগ!!

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী মুসলিম শিশু যায়নাব। বয়স মাত্র দু’বছর। চাঁদের মত ফুটফুটে সুন্দর শিশুটি! ছোট্ট দু’টি ঠোঁটে কী জোসনাঝরা হাসি! কী মায়াকাড়া চাহনি! দেখলে তাকিয়েই থাকতে ইচ্ছা করে, আর ইচ্ছে করে আলতো করে আদর জানাতে।

শিশু যায়নাব জানে না, তার ছোট্ট দেহটিতে কত ভয়ঙ্কর রোগ বাসা বেঁধেছে! তার চোখে মুখে দুষ্টুমি-ভরা হাসির অভাব নেই, কিন্তু তার মা-বাবার চোখে ঘুম নেই। বলা যায়, তারা এখন একমাত্র শিশু সন্তানের জীবনাশঙ্কায় দিশেহারা।

সে এখন মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত। ক্যান্সার বলতে গেলে দুরারোগ্য রোগ, তবে অনেকেরই ক্যান্সার হয়। বড়দের হয়, অবুঝ শিশুদেরও হয়। মানুষের সাধ্যের ভিতরে এখন যে চিকিৎসা সে চিকিৎসাও দেয়া হয়, যদি আর্থিক সচ্ছলতা থাকে।

কিন্তু শিশু যায়নাবের যে ক্যান্সার তা ক্যান্সারের জগতেও ভয়ঙ্কর এবং অত্যন্ত বিরল আগ্রাসী প্রকৃতির যার নাম হলো নিউরোরাস্টোমা। যায়নাবের মা-বাবার সচ্ছলতার অভাব নেই। তাছাড়া বড় বড় চিকিৎসক এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এগিয়ে এসেছে যায়নাবের চিকিৎসার প্রয়োজনে। সমস্যা হলো, তার চিকিৎসার জন্য রক্তের প্রয়োজন, কিন্তু তার রক্তশ্রেণী এতই বিরল যে, পৃথিবীব্যাপী অনুসন্ধান চালিয়েও রক্ত পাওয়া যাচ্ছে না।

চিকিৎসকদের মতে যায়নাবের রক্তের লোহিত-কণিকায় ‘ইন্ডিয়ান বি’ নামে একটি এন্টিজেন নেই। যায়নাবের দেহে যে রক্ত তা পাওয়া যাবে শুধু ঐ ভারতীয়, পাকিস্তানী (বাংলাদেশী?) ও ইরানীদের মধ্যে, যা ড় বা অ   শ্রেণীভুক্ত। এ পর্যন্ত হলে সম্ভবত তেমন সমস্যা হতো না। মূল সমস্যা এই যে, এ রক্তশ্রেণীর অধিকারী মানুষের মধ্যে চারশতাংশেরও কম এমন যাদের রক্তে ইন্ডিয়ান বি অ্যান্টিজেনটি অনুপস্থিত। চিকিৎসকগণ জানিয়েছেন রক্তদাতার রক্ত যায়নাবের রক্তের সঙ্গে হুবহু না মিললে তার দেহ ঐ রক্ত গ্রহণ করবে না। সারা পৃথিবী খুঁজে এ পর্যন্ত সঠিক রক্তদাতা পাওয়া গিয়েছে মাত্র তিনজন, দু’জন আছেন যুক্তরাষ্ট্রে, একজন যুক্তরাজ্যে।

চিকিৎসগণ জানিয়েছেন, যায়নাবের যথাযথ চিকিৎসার জন্য অন্তত দশজন সুস্থ সক্ষম রক্তদাতার প্রস্তুত থাকা প্রয়োজন। ওয়ানব্লাড নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী রক্তসংগ্রহ-কারী প্রতিষ্ঠান পৃথিবীব্যাপী খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছে সঠিক রক্তদাতার। বহু মানুষ যুক্তরাষ্ট্রে এসে স্বেচ্ছায় রক্ত দেয়ার জন্য আগ্রহও প্রকাশ করছে; এ পর্যন্ত পায় একহাজার মানুষের রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে, কিন্তু সমস্যা হলো, এমন রক্ত পাওয়াই যাচ্ছে না যাতে ইন্ডিয়ান বি অ্যান্টিজেন অনুপস্থিত।

সর্বপ্রথম যায়নাবের মা, তারপর যায়নাবের বাবা এগিয়ে এসেছেন একথা বলে যে, প্রয়োজনে আমাদের দেহের সমস্ত রক্ত গ্রহণ করুন, তবু আমাদের সন্তানকে বাঁচানোর চেষ্টা করুন। কিন্তু কুদরতের কী কারিশমা, মা-বাবা কারো রক্তই যায়নাবের রক্তের সঙ্গে মিলছে না। রক্তের গ্রুপ ঠিক আছে, কিন্তু ইন্ডিয়ান বি অ্যান্টিজেন উপস্থিত। চিকিৎসকগণ বলেছেন, এ অবস্থায় মা কিংবা বাবার রক্ত প্রবেশ করানো হলে সঙ্গে সঙ্গে ভয়াবহ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়া প্রায় নিশ্চিত!

হায় আল্লাহ, তোমার কুদরত তুমিই জানো!

এটা তো হলো সঠিক রক্ত পাওয়ার বিষয়। কিন্তু নির্মম সত্য এই যে, রক্ত পাওয়া গেলেই যায়নাব চিকিৎসা পেয়ে আরোগ্য লাভ করে ফেলবে এবং তার রোগ সেরে যাবে এমন নয়। ঠিকমত রক্ত পাওয়া গেলে যা হবে তা এই যে, যায়নাবের দেহ ক্যান্সার চিকিৎসার কঠিন ধকল সহ্য করার মত সক্ষমতা অর্জন করবে।

ক্যামোথেরাপি দেয়ার ফলে ইতিমধ্যে যায়নাবের দেহে টিউমারের আকার ছোট হয়ে আসছে। কিন্তু তার হাড়ের মধ্যে আরো মজ্জা প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হতে পারে।

যায়নাবের বাবা তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, ‘জানি না, আল্লাহ্ আমার মেয়ের ভাগ্যে কী রেখেছেন। মানুষ বলে, তাকদীরের সামনে তো আমরা সম্পূর্ণ অসহায়, আমি বলতে চাই, তাকদীরের কাছে সন্তুষ্ট চিত্তেই আমরা আত্মসমর্পণ করবো। তবে সারা পৃথিবীর মানুষ যেভাবে আমার ফুলের মত ছোট্ট মেয়েটির সাহায্যে এগিয়ে এসেছে তার জন্য আমি এবং তার মা আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। এটা আমরা কোনদিন ভুলতে পারবো না।

***

সুদূর বাংলাদেশ থেকে আমরা কীভাবে ফুলের মত সুন্দর এই ছোট্ট মেয়েটির এবং তার বিপদগ্রস্ত মা-বাবার পাশে দাঁড়াতে পারি? আসুন আমরা রাব্বুল আলামীনের দরবারে মুনাজাত করি, আল্লাহ্ যেন তাকে দ্রুত পূর্ণ আরোগ্য দান করেন এবং আসানির সঙ্গে আরোগ্য দান করেন, আমীন।

সুস্থতা ও আরোগ্য তো তাঁরই হাতে! শিফা তো তাঁরই হুকুমে হয়!

যায়নাব! আল্লাহ্র ইচ্ছায় তুমি সুস্থ হও, বড় হও এবং সুখী হও।

এছাড়া জানা অজানা যত মানুষ পৃথিবীর যেখানেই রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত রয়েছে, সবাইকে আল্লাহ্ পূর্ণ আরোগ্য ও পূর্ণ সুস্থতা দান করুন, আমীন। *

 

দেহের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা

প্রাচীন কাল থেকে আধুনিক কাল পর্যন্ত প্রত্যেক চিকিৎসা পদ্ধতিতে দেহের মধ্যে বিদ্যমান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখে আসা হয়েছে এবং হচ্ছে। সুতরাং এ বিষয়ে আমাদের মৌলিক ধারণা থাকা জরুরি।

বিষয়টি বোঝার জন্য সবচে’ ভালো হয় যদি বলা হয় যে, রোগজীবাণু আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত ভয়ঙ্কর শত্রু, যা বিভিন্নভাবে শরীরের ভিতরে ঢুকে পড়ে এবং বিভিন্ন রোগব্যাধি সৃষ্টি করে থাকে। এমনকি অনেক সময় মৃত্যু পর্যন্ত ডেকে আনে। রোগজীবাণু বিভিন্ন প্রকার আছে। একেক প্রকার জীবাণু একেক প্রকার রোগের জন্য দায়ী। তবে শোকরের বিষয় হলো, আল্লাহ্ তা‘আলা আমাদের শরীর এমন ভাবে তৈরী করেছেন যে, জীবাণু খুব সহজে শরীরে ঢুকতে পারে না। পদে পদে তাকে বাধার সম্মুখীন হতে হয়। এজন্য শরীরের মধ্যে বহুস্তরবিশিষ্ট প্রতিরক্ষাব্যবস্থা কুদরতের পক্ষ হতেই স্থাপন করে দেয়া হয়েছে।

চিকিৎসাবিজ্ঞানীগণ বলেন, মানুষের দেহ বা শরীর প্রকৃতপক্ষে একটা সুরক্ষিত দুর্গের মত। রোগজীবাণু যদি এই দুর্গে অনুপ্রবেশ করতে চায় তাহলে তাকেও জীবনের ঝুঁকি নিতে হয়। অর্থাৎ দুর্গের যে সুসংহত প্রতিরক্ষাব্যবস্থা, তাতে জীবাণুগুলো ক্ষতি করারআগে নিজেই বিনাশপ্রাপ্ত হয়।

রোগসৃষ্টিকারী যা কিছু জীবাণু বা রাসায়নিক উপাদান রয়েছে, এগুলোকে বলা হয় প্যাথোজেন। দেহদুর্গের প্রথম যে প্রতিরক্ষা-ব্যবস্থা দ্বারা প্যাথজেন বাধাগ্রস্ত হয় সেটা হচ্ছে ত্বক (চামড়া)। বস্তুত ত্বক বা চামড়া হচ্ছে আমাদের দেহের প্রথম প্রতিরক্ষা স্তর, যা রোগপ্রতিরোধে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ত্বক বা চামড়ারও রয়েছে কয়েকটি স্তর।

চামড়ার যে স্তরটি আমরা দেখতে পাই, অর্থাৎ বাইরের স্তর, সেটি প্রতিকূল পরিবেশের সঙ্গে লড়াই করে করে নির্জীব হয়ে পড়ে, যাকে আমরা বলি, চামড়ার মরে যাওয়া। তখন সেটা শরীর থেকে খসে পড়ে, আর তার স্থান গ্রহণ করে নীচের নতুন ও সজীব স্তরটি। এভাবে চামড়া বা ত্বকের টিস্যু পরিবর্তন হতেই থাকে।

চামড়া কীভাবে জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে? ঘামের মাধ্যমে যে রাসায়নিক উপাদান বের হয় তা প্যাথোজেনগুলোর জন্য প্রতিকূল পরিবেশ তৈরী করে এবং বিস্তারকে বাধাগ্রস্ত করে। জীবাণুর কোষের দেয়াল ভেঙ্গে ফেলে। ফলে জীবাণুর মৃত্যু ঘটে। ...

(চলবে, ইনশাাআল্লাহ)