মুহাররম ১৪৪৫ হিঃ

পুষ্পকলি

পরীর গল্প, বাগানের মালী এবং আমার লেখাপড়া

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

***

পরীর দেশে যাবে, তো যাও না! পরীদের সঙ্গে ফুল বাগানে ঘুরে বেড়াবে, তো বেড়াও না! পরীদের আদর কুড়াবে, কুড়াও না! উড়তে ইচ্ছা করে! পরীদের কাছে ডানা চাইবে, তো চাও না। কিন্তুা সাবধান! আবার বলছি, সাবধান! পরীদের বাগানে ফুল কিন্তু ছিঁড়ো না। গাছ থেকে ফুল ছেঁড়া পরীদের একদম পছন্দ না!

 ***

আজ তোমাদের আমি একটি বাগানের কথা বলবো, আর বলবো সেই বাগানের দুঃখী মালীর কথা! মালী তার বাগানটি সুন্দর করে সাজিয়েছিলো। মালী প্রতিদিন বাগানের যত্ন নেয়। গাছের গোড়ায় পানি দেয়! মালীর যত্ন আদরে বাগানটি সবুজ হয়, সুন্দর হয়! গাছের ডালে ডালে কলি আসে, আর মালীর চোখে আসে জল! আনন্দের অশ্রæজল!কলিগুলো ধীরে ধীরে বড় হয় এবং ফুল হয়। বাগান ভরে যায় ফুলের সুবাসে, আর মালীর বুকটা ভরে যায় শোকরে কৃতজ্ঞতায়।মালী সবাইকে ডেকে বলে, এসো ফুলের কাছে! আর ছেলেরা বলে, আমাদের কাছে এই যে কত সুন্দর কাগজের ফুল! বুঝতে পেরেছো, মালীর বুকে এখন দুঃখ কত!মালীর চোখে এখন কিসের জল!   

       ***

একটা মাঠ ছিলো! মাটি যেমন শুকনো তেমনি শক্ত! কৃষক জানতো, এ মাটিতে ফসল হবে না! মাটি যে একেবারে অনুর্বর! তবু সে ঐ মাঠে হাল চালালো, ঘাম ঝরালো! সামান্য ফসলও যদি হয়! হতেও তো পারে! কিন্তু হলো না! বলো দেখি, কেমন বোকা কৃষক! 


*** 

লেখাপড়া করে যে গাড়ীঘোড়ায় চড়ে সে;  কথাটা তখনো আমার বিশ্বাস হয়নি; এখনো বিশ্বাস হয় না। কত মানুষ লেখে না, পড়ে না; দিব্বি গাড়ীঘোড়ায় চড়ে মনের আনন্দে ঘুরেবেড়ায়। আবার লেখা জানে, পড়া জানে, অথচ হাঁটে ছাতা মাথায় দিয়ে। আমি তো লেখাপড়া শিখবো বড় আলিম হওয়ার জন্য; এবংআমার আল্লাহকে খুশী করার জন্য!

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা