শিশু-কিশোর ও নবীনদের পত্রিকা

মাসিক আল-কলম-পুষ্প

মুহাররম ১৪৪৫ হিঃ | সংযোজিত

যা সত্য..

দাওয়াতের ভাষা

মারমুখী তার্কিক লেখা দাওয়াতের ময়দানে উপযোগী বলে মনে হয় না, যদিও এ বিষয়ে উৎসাহ বোধ করার মানুষের অভাব নেই। আমার সবসময় মনে হয়েছে, শান্ত সংযত, যুক্তিসমৃদ্ধ ও দরদপূর্ণ ভাষাই বিপক্ষের সামনে সত্যকে তুলে ধরার জন্য উপযোগী। কারণ তাতে অপর পক্ষ ঠণ্ডা মাথায় বিষটি সম্পর্কে চিন্তা করতে পারে।

পক্ষান্তরে তার্কিক লেখা প্রতিপক্ষের ভিতরে আগে ভাগেই একটা প্রতিরোধস্পৃহা জাগিয়ে তোলে। ফলে যা কিছু পড়ে বা শোনে খণ্ডনের মনোভাব নিয়েই করে।


***

মুসলিম উম্মাহর আজকের করণীয়

সস্তা ও শ্লোগানমুখী কর্মকাণ্ডের প্রতি উম্মাহর তরুণ প্রজন্ম সহজেই ঝুঁকে পড়ে। বিশেষ করে জিহাদের নামে যে ডাক আসে, তরুণ প্রজন্ম উত্তাল ঢেউয়ের মত যেন সেদিকে আছড়ে পড়ে। আফসোস, উদ্দেশ্যবাদী লোকেরা নিজেদের মতলব হাছিলের জন্য তরুণপ্রজন্মকে জিহাদের নামে স্থানীয় পর্যায়ে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভুল পথে, বরং আত্মঘাতী পথে নিয়ে যায়।

এর একমাত্র সমাধান হলো, গভীর জ্ঞান ও অধ্যয়নের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে এমনভাবে গড়ে তোলা, যাতে সত্য ও মিথ্যা এবং আসল ও নকলের মধ্যে তারা পার্থক্য করতে পারে। তারপর তাদেরকে গঠনমূলক বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত রাখা। 

- আবুতাহের মিছবাহ


***

উম্মতে মুহাম্মাদিয়্যার সঠিক অবস্থান

তাওহীদ অর্থ যাত ও ছিফাতসহ আল্লাহ্কে এক বলে বিশ্বাস করা, আল্লাহর যাত ও ছিফাতের মধ্যে কাউকে শরীক না করা, আর রিসালাত অর্থ হযরত মুহম্মদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আখেরী নবী ও আখেরী রাসূল বলে বিশ্বাস করা।

তো এই যে তাওহীদ ও রিসালাত, এর উপর ঐক্যবদ্ধ হওয়া, এটাই হলো উম্মাহর সঠিক অবস্থান। এ অবস্থান থেকে উম্মাহ্ কখনো চুল-পরিমাণও সরতে পারে না। তাওহীদের বিষয়ে কোন ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই। একইভাবে রিসালাতের ক্ষেত্রে কোন শিথিলতা প্রদর্শনের উপায় নেই। উম্মতের জীবনে এ পর্যন্ত যত ভ্রান্তি ও বিভ্রান্তি এসেছে তা এ দুই পথের কোন এক পথেই এসেছে। তাওহীদ ও রিসালাতের পথে উম্মাহ্ অবিচল থাকতে পারবে কোরআন ও সুন্নাহ্কে প্রবলভাবে আঁকড়ে ধরার মাধ্যমে। 

- ইবনে মিছবাহ                                                                                                                                                                                                      *** 
জীবন দু’দিনের, তবে...

হযরত আল্লামা তাক্বী উছমানি মু. যি. আ-এর জীবনের যে বিষয়টি আমাকে সবচে’ বেশী আকর্ষণ করে সেটা হলো, সময়ের হেফাযতের জন্য তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টা। তাঁকে দেখার তো সুযোগ হয়নি, তবে তাঁকে যারা নিকট থেকে দেখেছেন তাদের কথা শুনে আমার এমনই মনে হয়েছে। সময়কে তিনি খুব হিসাব করে ব্যয় করেন।আমাদের জীবনের যাকিছু দুর্গতি ও ব্যর্থতা তার একটা বড় কারণ হলো সময়ের নির্দয় অপচয়। 


 ***

আমার মাদরাসার একটা বেদনাদয়ক ঘটনায় নতুন করে বিশ্বাস হলো, আদমের বেটার উদর কবরের মাটি ছাড়া আর কিছুই পূর্ণ করতে পারবে না।

আসলে জিহ্বা বড় খতরনাক জিনিস!