আল কুদসসংখ্যা (৩/২)

আল কুদসসংখ্যা (বিশেষ).

ধাপে ধাপে কীভাবে সম্পন্ন হলো জে রু সা লে ম ট্রা জে ডি?!

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

 

ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন! মুসলিম উম্মাহর উপর একসঙ্গে যেন হাজার বজ্রপাত হলো। বিশ্বজনমত এবং আরববিক্ষোভ সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে যুক্তরাষ্ট্র ও তার প্রেসিডেন্ট জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসাবে স্বীকৃতি দিলেন।

দিলেন মানে দিয়েই দিলেন! এতদিন একটা মধ্যস্থতাকারীর খোলস ও মুখোশ ছিলো তার ও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টদের মুখে। তদ্রƒপ রাজতান্ত্রিক সৌদি আরব এবং শায়খশাসিত আরব-দেশগুলোর ইসরাইলমনস্কতা কিছুটা রাখঢাকের মধ্যে ছিলো। এখন সবাই যেন বেপরোয়া হয়ে মুখোশ ছেড়ে খোলসের বাইরে চলে এসেছে। এতে তারা ভয়-ভীতি ও আশঙ্কার পরিবর্তে অনেকটা যেন স্বস্তি বোধ করছে। আচরণ থেকে তাই মনে হচ্ছে। ঘটনাপ্রবাহ থেকে পরিষ্কার যে, পর্দার আড়ালে উদ্যোগ আয়োজন শুরু হয়েছিলো কিছু দিন আগে থেকে যখন ট্রাম্পের ইহুদি ‘কন্যাপতি’ জ্যারেড কুশনার সউদী আরবে ঘনঘন গোপন সফর শুরু করেছিলেন। মূলত তখন থেকেই ধাপে ধাপে ট্রাজেডি তার চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। এর পিছনে মস্তিষ্করূপে কাজ করেছেন কুশনার, সাহায্যকারী ছিলেন সউদী ক্রাউন প্রিন্স বিন সালমান।

প্রথম ধাপ

প্রথম ধাপটি আসলে শুরু হয়েছে ১৯৯৫ সালে বসনিয়ায় যখন মুসলিম গণহত্যার কেয়ামত চলছে, আর অসহায় মুসলিম বিশ্ব দিশেহারা অবস্থায় ছিলো, ঐ সময় মার্কিন কংগ্রেস একটি বিল পাস করে, যার মর্ম ছিলো প্রেসিডেন্টকে পূর্ণ ক্ষমতা দেয়া হলো মার্কিন দূতাবাস তেলআবীব থেকে জেরুসালেম  স্থানান্তরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের। ছয়মাস অন্তর তিনি বিষয়টি বিবেচনা করবেন এবং মার্কিন স্বার্থরক্ষা করে হাঁ বা না সিদ্ধান্ত নেবেন। ‘না’ হলে পুরো বিষয়টি আবার পরবর্তী ছয় মাসের জন্য মুলতবী হয়ে যাবে। এত বড় গুরুতর একটি বিল পাশ হয়ে গেলো, কিন্তু তেমন কোন উচ্চবাচ্য হলো না। প্রধানত দু‘টি কারণে। প্রথমত এমন একটা আবহ তৈরী করা হয়েছিলো যে, এটা ইসরাইল সমর্থক শক্তিশালী লবীকে খুশী রাখার জন্য নিছক নিতীগত সিদ্ধান্ত। বাস্তবে প্রেসিডেন্ট বিশ্বজনমতের প্রতি অবশ্যই আস্থাশীল থাকবেন।

এরপর থেকে উপরের প্রলেপটা সেভাবেই চলছিলো। সে প্রসঙ্গ পরে আসছে।

দ্বিয়তঃ এধরনের সিদ্ধান্তগুলো বড় কোন সঙ্কটকালেই নেয়া হয়ে থাকে, যখন বিশ্ব তা নিয়ে ব্যতিব্যস্ত থাকে। যেমন ঐ সময় ছিলো বসনিয়াট্রাজেডি, এখন হচ্ছে রোহিঙ্গা ট্রাজেডি। হামাসকে যে চোখের পলকে শেষ করে দেয়া হলো তখনো সিরিয়া পরিস্থিতিকে আড়ালরূপে  ব্যবহার করা হয়েছে।

তো বলছিলাম, প্রলেপটা সেভাবেই চলছিলো, অর্থাৎ নির্বচানের সময় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ঘোষণা দিতেন, জয়ী হলে তিনি মার্কিন দূতাবাস জেরুসালেমে স্থানান্তরিত করবেন। পরে তা আর করা হতো না। ছয়মাস পর পর স্বাক্ষর করে পরবর্তী ছয় মাসের জন্য মুলতবী করা হতো। খেলাটা বেশ চিত্তাকর্ষকই ছিলো বলা যায়। দৃষ্টি যাদের স্থূল তারা ধরেই নিয়েছিলো; আসলেই এটা কিছু না, নিছক আনুষ্ঠানিকতা। এভাবেই বুঝি চলবে। দীর্ঘ এত বছর পর ট্রাম্পকে অনেক চিন্তাভাবনা করেই মঞ্চে আনা হয়েছে, যদিও সিংহভাগ জরীপ ছিলো ট্রাম্পের সম্ভাবনার সম্পূর্ণ বিপরীত। তিনি প্রথম ছয়মাস আগের নাটকই অব্যাহত রাখলেন।

দ্বিতীয় ধাপ

এর মধ্যে প্রেসিডেন্ট তার উপদেষ্টা ও কন্যাপতি কুশনারকে দায়িত্ব দিলেন সউদী আরবের, অর্থাৎ ক্রাউন প্রিন্সের সম্মতি আদায় করার এবং তার মাধ্যমে ফিলিস্তীনী কর্তৃপক্ষকে নিয়ন্ত্রণে রাখার।

বস্তুত এ উদ্দেশ্যে কুশনার অনেক আগে থেকেই বিন সালমানের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করেছেন। আরো সুনির্দিষ্ট করে বলতে গেলে, সউদী পরিবারে রাজনৈতিক ঝড় সৃষ্টি করে আগের ক্রাউন প্রিন্সকে বরখাস্ত করে বিন সালমানকে ক্ষমতার মঞ্চে আনাই হয়েছে অনেক সুদূরপ্রসারী চিন্তা করে, যার প্রথম প্রকাশ হলো জেরুসালেমট্রাজেডি। বস্তুত সউদী ক্রাউন প্রিন্স রাজ-পরিবারের ক্ষমতার মৌচাকে এমন ঢিল ছুঁড়েছেন যে, এখন টিকে থাকতে হলে পদে পদে তার প্রয়োজন মার্কিন সমর্থন। সুতরাং তিনি যেমন প্রতাপশালী তেমনি দূরনিয়ন্ত্রিত।

এখন তো আর রাখঢাক বলতে কিছু নেই। ফিলিস্তীনী প্রেসিডেন্ট মাহমূদ আব্বাসকে রিয়াদ ডাকিয়ে আনা হলো। উদ্দেশ্য ছিলো তাকে জেরুসালেমের দাবী ছেড়ে দিতে রাজী করানো। তিনি রাজী না হওয়ার কারণে বড় অঙ্কের অর্থসহায়তার প্রলোভন দেয়া হলো। তাতেও সম্ভবত কাজ হয়নি। তখন প্রচ্ছন্ন হুমকি ও দু’ মাসের সময় দিয়ে তাকে বিদায় করা হলো। মুখের কথা যাই হোক, পরিস্থিতি বলছে, ঘুষে কাজ হয়নি, তবে ঘুষিতে কাজ হতে শুরু করেছে! এখন প্রথম ঔষধটা যথাসময়ে প্রয়োগ করলে কাজ দ্রুত হতে পারে। এসবই হচ্ছে আন্তর্জাতিক রাজনীতির পর্যবেক্ষকদের পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ।

তৃতীয় ধাপ

রিয়াদ থেকে ফিরে আসা কুশনারের পক্ষ হতে সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার ভাইস প্রেসিডেন্টের মাধ্যমে তথ্যটা প্রথমে ফাঁস করলেন এসিড টেস্ট হিসাবে। দু’দিন পরই আবার হোয়াইট হাউয থেকে বলা হলো, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার সিদ্ধান্ত মূলতবী করেছেন। বলা হলো, সউদী আরবের জোরালো কূটনৈতিক তৎরপরতার ফলেই নাকি এটা হয়েছে। কিন্তু বেলুনের বাতাস বের হতে সময় লাগলো না। প্রেসিডেন্ট ঘোষণা দিলেন এবং সংশ্লিষ্ট স্মারকে স্বাক্ষর করলেন।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যা চেয়েছেন তাই হচ্ছে। মুসলিম বিশ্ব অবাক বিস্ময়ে দেখছে, তাদের প্রিয় খাদেমুল হারামাইন এ বিষয়ে সম্পূর্ণ ‘রাজনৈতিক কোমায়’ চলে গিয়েছেন। প্রিন্স তার মতই আছেন। কুশনারের মত ব্যক্তির বন্ধুত্ব বলে কথা! আরব আমিরাত ও অন্যরা নীরব সমর্থন যুগিয়ে চলেছে। কাতারকে তো কাতার থেকে আগেই বের করে দেয়া হয়েছে। এখন যা কিছু দৌড়ঝাঁপ, যা কিছু ডাক চিৎকার, করছেন তুরস্কের নিঃসঙ্গ কা-ারী ‘সুলতান’ এরদোগান।

ইচ্ছে হলো পশ্চিমাদের উপহাস করে বলা শব্দটাকে এখানে সত্যি অর্থে ব্যবহার করি।

পরবর্তী ধাপ

প্রশ্ন হলো পরবর্তী ধাপে কী হতে পারে? হতে তো পারে অনেক কিছুই। মুসলিমবিশ্বের অবস্থা তো চোখের সামনে। এমন কোমরভাঙ্গা অবস্থায় কতদূর যাওয়া সম্ভব! কিছু রক্ত দেয়া যাবে, কিছু প্রাণ উৎসর্গ করা যাবে; তাতে কি যামানার তাগূতকে থামানো যাবে?

শেষ ভরসা

দূতাবাস কোথায় গেলো, তার চেয়ে বড় প্রশ্ন মুসলিম উম্মাহর মধ্যে জাগরণ, চেতনা, গায়রত, প্রতিজ্ঞা ও প্রত্যয় কী পরিমাণ সৃষ্টি হয়েছে এবং তা কতটা স্থায়ী ও সর্বপ্লাবী হবে। যদি উম্মাহর সর্বস্তরে সত্যিকার চেতনা ও গায়রত জাগ্রত হয় এবং তাকে স্থায়িত্ব দেয়া যায় তাহলে আশা করা যায়, চক্রান্তকারীদের চক্রান্ত তাদেরই বুকের দিকে ফিরে আসবে এবং তারাই ঘায়েল হবে ইনশাআল্লাহ।

চেতনা ও গায়রাতের প্রমাণ

কীভাবে বোঝা যাবে, উম্মাহর মাঝে চেতনা ও গায়রত জাগ্রত হয়েছে এবং স্থায়িত্ব লাভ করেছে? হযরত মাওলানা সৈয়দ আবুল হাসান আলী নাদাবী রহ. এর ভাষায়. ‘বোঝা যাবে যদি পাশ্চাত্যের সংস্কৃতি ও তাহযীব পরিত্যাগ করার স্বতঃস্ফূর্ততা পরিলক্ষিত হয়। যদি কোরআন ও সুন্নাহকে আকড়ে ধরার প্রবল মনোবল পরিলক্ষিত হয়। যদি আল্লাহর সন্তুষ্টির মোকাবেলায় সকল জাগতিক সন্তুষ্টিকে বিসর্জন দেয়ার প্রত্যয় ও প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করা সম্ভব হয়।

এই হলো মাপকাঠি। এ মাপকাঠি অনুযায়ী এখন নিজেদের বিচার করতে হবে এবং চারপাশের সমাজকে যাচাই করতে হবে।

এটাই হলো এখন উম্মাহর শেষ ভরসা। আমাদের যার যার অবস্থান থেকে এই চেতনা ও গায়রত সৃষ্টি করা এবং সমাজের সকল স্তরে এর বিস্তার ঘটানোর জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাওয়াই হলো সময়ের দাবী।

শয়তানের প্রতারণা

আরাকানট্রাজেডিতে কী দেখা গেলো। সমস্ত মানুষ যেন রুদ্ধশ্বাসে তাকিয়ে আছে, ‘মহামান্য’পোপ ফ্রান্সিস মিয়ানমারের সফরে ‘রোহিঙ্গা শব্দটি উচ্চারণ করেন, কি করেন না। আমরা যেন প্রার্থনায় লেগে গেলাম, অন্তত একবার যেন তিনি অং সান সূ চীর সামনে রোহিঙ্গা শব্দটি উচ্চারণ করেন।  তিনি করলেন না, আমরা হতাশায় মুষড়ে পড়লাম। এরপর বাংলাদেশে এলেন, আমরা নতুন উৎকণ্ঠিত প্রতীক্ষায় ‘লিপ্ত’ হলাম। এবার তিনি আর হতাশ করলেন না। রোহিঙ্গা শব্দটি বড় দৃঢ়তার সঙ্গেই যেন উচ্চারণ করলেন। ব্যস, এটাই হয়ে গেলো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রধান খবর।

আসল হাকীকত হলো, কে রোহিঙ্গা বললো, বা বললো না, মুসলিম উম্মাহর চিন্তার কোন বিষয়ই না। চিন্তার বিষয় হলো, আমাদের যিন্দেগিতে ঈমান ও আমলের উপস্থিতি এবং আছর ও প্রভাব রয়েছে কি না! আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি আনুগত্যে আমরা অবিচল হতে পেরেছি কি না! আল্লাহর গায়বি মদদ ও সাহায্য লাভ করার যোগ্য হতে পেরেছি কি না। জাগতিক প্রস্তুতি ও যোগ্যতা অর্জনের সাধনায় আত্ম -নিয়োগ করতে পেরেছি কি না!

এর অভাবেই শুরু হয়েছে সঙ্কট ও দুর্যোগ। এ অভাব যত দ্রুত দূর হবে, সঙ্কট ও দুর্যোগ তত দ্রুত দূর হবে। এখানে না জাতিসঙ্ঘের কিছু করার আছে, না মিস্টার ট্রাম্পের, আর না ‘মহামান্য’ পোপের মুখে উচ্চারিত রোহিঙ্গা শব্দের।

জেরুসালেম ও বাইতুল মাকদিস- ট্রাজেডি সম্পর্কেও একই কথা। দূতাবাস জাহান্নামে যাক, আমাদের একমাত্র চিন্তা হতে হবে, আল্লাহর দ্বীনের দিকে, কোরআন ও সুন্নাহর দিকে ফিরে আসা এবং জীবনের প্রত্যেক অঙ্গনে কোরআন ও সুন্নাহকে জীবন্ত করে তোলা।

পরিষ্কার কথা; এটা হলে উন্নতি, এটা না হলে অবনতি।

একটা প্রশ্নের উত্তর যদি আমরা ্একটু ঠা-া দিল-দেমাগের সঙ্গে চিন্তা করি তাহলেই হাকীকত পরিষ্কার হয়ে সামনে এসে যাবে। এই যে সত্তর বছর হয়ে গেলো ফিলিস্তীনের ভূমিতে ইসরাইল নামের বিষফোঁড়াটির বয়স। এই সত্তর বছর তো সব দূতাবাস তেলআবীবেই ছিলো। তাতে মুসলিম উম্মাহ তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের পথে কতটা অগ্রসর হতে পেরেছে? আরো সত্তর বছর যদি পার হয়ে যায়, দূতাবাস থাকলো তেলআবীবে, আর আমরা পড়ে থাকলাম ঠিক ঐখানে যেখানে এখন পড়ে আছি, তা হলে?

সুতরাং খুব গুরুত্বের সঙ্গেই আজ আমাদের ভাবতে হবে, মূল সমস্যাটা কোথায়? এবং আমাদের চেষ্টা-মেহনতের মূল ক্ষেত্র হওয়া উচিত কোনটি?

একথা মোটেই বলা হচ্ছে না যে,  ভাগ্যের হাতে সবকিছু ছেড়ে দিয়ে নিশ্চেষ্ট থাকবো। প্রতিবাদ, বিক্ষোভ কিছুই করবো না, যালিমকে প্রতিহত করার কোন প্রচেষ্টাই গ্রহণ করবো না। করতে হবে এবং সর্বসাধ্য ব্যয় করেই করতে হবে। কিন্তু আগে নির্ধারণ করতে হবে, আমাদের আসল ও প্রধান করণীয় কী? আমাদের মধ্যে সত্যিকারের প্রতিরোধশক্তি কখন জাগ্রত হবে? কোন্ পথে আমাদের উপর নেমে আসবে আসমান থেকে বদরি ও হোনায়নি নোছরত?

এগুলো আজ আমাদের ভাবতেই  হবে। যদি ভাবতে পারি এবং পথ ও পন্থাটি চিনে নিতে পারি তাহলে বলবো, শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে তাদের ‘অনিষ্টের’ প্রচেষ্টা আল্লাহর ইচ্ছায় আমাদের  জন্য কল্যাণই বয়ে এনেছে।

এখানে যা কিছু বলা হলো, এগুলো বহু আগে আমাদের প্রিয়তম হযরত আলী মিয়াঁ বিভিন্ন আরব রাজধানীতে আরবদেরকে তাদের ভাষায় বড় স্পষ্টভাবে বলেছেন, যেমন তিনি বার্মার মুসলমানদের বলেছিলেন। তার একটি বক্তৃতার শিরোনাম ছিলো  ‘আমার কিছু স্পষ্ট কথা শোনো হে আরব!’। মিশরের জামাল আব্দুন্-নাছেরকে তিনি মুখের উপর বলেছিলেন, আরব জাতীয়তাবাদ তোমাদের রোগের আরোগ্য নয় এবং নয় পশ্চিমা সংস্কৃতির অনুকরণের মধ্যে তোমাদের মুক্তি। তোমাদের মুক্তি একমাত্র মুহাম্মাদ রাসূলে আরাবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবন ও চরিত্র অনুসরণের মধ্যে।

চৌদ্দশ বছর আগের উপদেশই আবার উচ্চারণ করতে হবে, ‘তোমাদের মাঝে আমি দু’টি জিনিস রেখে যাচ্ছি, যতক্ষণ তোমরা তা আঁকড়ে ধরে রাখবে, কিছুতেই গোমরাহ হবে না; আল্লাহর কিতাব এবং আমার সুন্নাহ।

এটাই হলো প্রথম কথা ও শেষ কথা এবং এটাই হলো বিপ্লবী কথা!! *

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা