জিলহজ্ব ১৪৪০ হিঃ (৩/৮)

প্রথম পাতা

প্রথম কথা

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

 

ছাপা সংস্করণ

প্রথম কথা

এক সুন্দর প্রভাতে, সূর্যোদয়ের ঠিক পূর্বক্ষণে যে সত্যটি আমার অন্তর্দৃষ্টিতে উদ্ভাসিত হয়েছে পরম সত্তার অশেষ করুণায় সেটাই আমার আজকের প্রথম কথা।আমি হয়ত ভাবি, বিভিন্ন জাগতিক অভাবের কারণে আমাদের জীবনে বিভিন্ন জটিলতা দেখা দেয়। কখনো আর্থিক অসচ্ছলতা সামনের চলার পথ কঠিন করে ফেলে; কখনো সুযোগ-সুবিধার অভাবে সংসারের সুখ-শান্তি বিঘিœত হয়ে পড়ে; কখনো বিভিন্ন প্রতিকূলতার কারণে আমাদের কর্ম ও কর্মপরিকল্পনা নষ্ট হয়ে যায়। অর্থাৎ কারণ ও প্রতিকার কখনো আমি আমার ভিতরে তালাশ করি না; বাইরে তালাশ করি।এ ভাবনা একটা সীমা পর্যন্ত হয়ত ঠিক আছে। কিন্তু এটা সত্যের সবটুকু নয়। আসল সত্য এই যে, আমার জীবনের সব সমস্যা ও তার সমাধান আমার অন্তর্সত্তার মধ্যেই লুকিয়ে আছে। বাইরের বিভিন্ন ঘটনা ও পরিস্থিতি নিছক তার প্রকাশক্ষেত্র। আমার মধ্যে যদি লোভ-লালসা থাকে, হিংসা-বিদ্বেষ থাকে, কৃপণতা ও স্বার্থপরতা থাকে, কপটতা ও নীচতা থাকে, ইত্যাদি তাহলে অনিবার্যভাবেই আমার বাইরের জীবনে, অন্য সবার সঙ্গে জীবনযাপনের ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি হবে। এর সমাধানও আমাকে খুঁজতে হবে আমার অন্তর্সত্তার মধ্যে। অর্থাৎ আমাকে চেষ্টা করতে হবে, আমার ভিতরের এই যে, দোষ-দুর্বলতা, তা থেকে মুক্ত হওয়ার। এটা যদি সম্ভব হয় তাহলে জীবনের বেশীর ভাগ সমস্যা ও জটিলতার এমনিতেই অবসান হয়ে যায়। বাকি সমস্যা ও জটিলতা, যা বাইরের পরিবেশ পরিস্থিতি থেকে উদ্ভূত, সেগুলোর সমাধান খুব সহজেই হতে পারে ধৈর্য ও সহনশীলতা দ্বারা। এটাই ‘সূর্যোদয়’-এর কাছ থেকে পাওয়া আমার জীবনের প্রথম কথা। আল্লাহ্র রহমতে আমার জীবনে এখন কোন সমস্যা নেই; কারণ সূর্যোদয়ের শিক্ষা আমাকে অন্তর্মুখী করেছে।

আামার প্রতিজ্ঞা

ক্ষুধার্ত মানুষেরমুখে আহার যোগাবো;

দুঃখী মানুষের মুখে হাসি  ফোটাবো

ইনশাআল্লাহ্!

সোনার হরফে

মানুষ যদি মানুষের বিপদে সান্তনা হতে না পারে

এবং না পারে সমবেদনা জানাতে তাহলে

কেন আর নিজেকে মানুষ বলে পরিচয় দেয়া?!

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা