মুহাররম ১৪৪৫ হিঃ

শেষের পাতা

শেষ কথা

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

একদিন বোঝবে আমার কথা, আজ যদি নাও বোঝো! তবে যা বলছি, আমার প্রতি আস্থা রেখে বিশ্বাস করতে পারো, সত্যের প্রতিধ্বনি রয়েছে আমার কণ্ঠে।

তোমার চারপাশে কিছু মানুষের সমাবেশ আছে। কেউ তোমাকে স্বস্তি দেয়, কেউ তোমার বিরক্তি উৎপাদন করে। কেউ তোমাকে আনন্দ দেয়, কারো দ্বারা পাও ব্যথা ও যন্ত্রণা। কেউ তোমার হাতে ফুল তুলে দেয়, কারো কাছ থেকে আসে কাঁটার আঘাত।

যারা স্বস্তি, শান্তি ও আনন্দের কারণ তাদের প্রতি তুমি কৃতজ্ঞ হবে, এটা তো স্বাভাবিক। যার কাছ থেকে পেয়েছো ফুলের উপহার তার প্রতি তুমি প্রীত হবে, এতে আশ্চর্যের কিছু নেই। উপকারী বন্ধুর প্রতি কৃতজ্ঞতা বোধ করা মহত্ত্ব ও আভিজাত্যের প্রমাণ। এতটুকু শোকরগুজারি ও কৃতজ্ঞতা যদি কারো চরিত্রে না থাকে তাহলে তো সে মানুষই হতে পারে না, ভালো মানুষ হওয়া দূরের কথা।

যারা তোমার ব্যথা ও কষ্টের কারণ; যারা তোমার ক্ষতি ও বিরক্তির কারণ, প্রশ্ন হলো, তাদের প্রতি তোমার আচরণ কী হবে! যার কাছ থেকে আসে কাঁটার আঘাত তাকে তুমি কীভাবে গ্রহণ করবে? আসলে এখানেই হবে তোমার বড়ত্ব ও মহত্ত্বের পরিচয়। এখানেই হবে তোমার ভদ্রতা ও আভিজাত্যের প্রমাণ। তোমার চারপাশের এমন মানুষগুলোর প্রতি তুমি যদি হতে পারো ক্ষমাসুন্দর তাহলে কোন সন্দেহ নেই, আকাশের দানে তুমি হবে ঋদ্ধ। এমনকি যদি হতে পারো তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ তাহলে তুমি সিক্ত হবে আকাশের অপার করুণায়।

কৃতজ্ঞতা কেন? কারণ তারাই যে হয়েছে আকাশের দয়া ও দান এবং করুণা ও অনুগ্রহ লাভের মাধ্যম! দুঃখ এই যে, তোমাকে যে উপদেশ দিলাম, সবসময় নিজে তা মান্য করতে পারি না। ইচ্ছে না থাকলেও কখনো কখনো আমাকে যেতে হয় তিরস্কারের পথে। কারণ কিছু মানুষের সংশোধনের দায়িত্ব রয়েছে আমার উপর। তখন নিজে উপকৃত হওয়ার চেয়ে তাদের উপকার সাধনের বিষয়টি বড় হয়ে সামনে আসে! জীবন সত্যি বড় বিচিত্র!

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা