যিলক্বদ ১৪৩০হিঃ (১৪)

শেষের পাতা

শেষ কথা

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

তলোয়ার একটি শক্তি, যা বাতিলের হাতে ডেকে আনে ধ্বংস ও বরবাদি, কিন্তু আহলে হক যখন তলোয়ার হাতে নেয় তখন তা ইনছাফ ও সুবিচার এবং শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। যালিমের তলোয়ার জানে শুধু হত্যা ও রক্তপাত এবং চায় শুধু হালাকি ও ফেতনা-ফাসাদ।

মুজাহিদের তলোয়ার হত্যা করে না, প্রাণ রক্ষা করে এবং রক্তপাত করে না, রক্তকে নিরাপত্তা দান করে। যালিমের হাতে তলোয়ারের বিভীষিকা যদি দেখতে চাও, ইতিহাসের পাতায় দেখো চেঙ্গিস খান ও হালাকু খানের ছবি এবং পড়ো খাওয়ারিযাম ও বাগদাদের ধ্বংসের কাহিনী; পড়ো জেরুজালেমে ছালীবীদের হিংস্রতা ও বর্বরতার ঘটনা।

মুজাহিদের হাতে তলোয়ারের চমক ও ঝলক যদি দেখতে চাও, দেখো ইতিহাসের পাতায় ওমর-খালিদের ছবি এবং পড়ো সিরিয়া ও দামেস্ক জয়ের এবং ইরান ও মাদায়েন জয়ের কাহিনী, পড়ো মহান গাজী ছালাহুদ্দীনের হাতে বাইতুল মাকদিস পুনরুদ্ধারের গৌরবময় ঘটনা।

শুধু অতীত কেন, শধু ইতিহাসের পাতা কেন, এ যুগেও তুমি দেখতে পারো যালিমের তলোয়ার এবং মুজাহিদের তলোয়ারের পার্থক্য! তোমার চোখের সামনেই তো আছে সব! অতীতের ইরাক-আফগানিস্তান এবং কাবুল- বাগদাদ এখনো আছে; এখনো আছে হালাকুন খান ও গাজী ছালাহুদ্দীনের বংশধর। যত দিন হালাকু খানের হাতে তলোয়ার আছে তত দিন মুজাহিদের হাতেও থাকবে তলোয়ার। নইলে শুধু শুনতে হবে মযলুমের আহাযারি ও ফরিয়াদ; শোনা যাবে না যালিমের ...।

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা