সফর ১৪৩১ হি:(১৫)

তোমাদের লেখা আমাদের রেখা। দুয়ে মিলে হোক ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখা

তোমাদের লেখা আমাদের রেখা...।

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

ভাই ফযলুল আমীন

হাটহাযারি মাদরাসা

০ তোমার ‘সফরনামা’ পড়েছি। লেখা ছাপার উপযোগী হওয়ার জন্য তোমাকে নিয়মিত লিখে যেতে হবে এবং ভালো ভালো লেখা নিয়মিত পড়তে হবে। পুষ্পের বিভিন্ন সংখ্যায় বেশ কিছু সফরনামা ছাপা হয়েছে সেগুলো যত্নের সাথে পড়ো এবং সেভাবে লেখার চেষ্টা করো। একটি সময় নির্ধারিত করে প্রতিদিন রোযনামচা লেখো। তোমার সর্বাঙ্গীন উন্নতি কামনা করি।

ভাই নূরুল হাসান বিন ওয়াদুদ

রানীর বাজার মাদরাসা, কুমিল্লা

০ তোমার ‘নৈসর্গিক ছবি’ পেয়েছি। তুমি কুমিল্লার ময়নামতিতে অবস্থিত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত সৈনিকদের সমাধিক্ষেত্র দেখতে গিয়েছিলে। তুমি লিখেছো, এটি একটি সুন্দর পর্যটনক্ষেত্র। তুমি নিজেও সবকিছু দেখেছো এবং লিখেছো একজন সাধারণ পর্যটকের দৃষ্টিতে। লেখাটি নিছক ‘পর্যটনীয়’ না হয়ে যদি শিক্ষামূলকও হতো, খুব ভালো হতো।

ভাই তাহমীদ বিন ইকরাম 

বাইতুস-সালাম, উত্তরা, ঢাকা

০ তুমি তোমার রোযনামচায় সহপাঠী মু‘আয-এর আম্মার মৃত্যুর কথা লিখেছো। তোমার সঙ্গে আমিও প্রার্থনা করি, এই পৃথিবীতে মা যে আল্লাহর কত বড় নেয়ামত তা যেন মাকে হারানোর আগেই আমরা বুঝতে পারি, আমীন।

ভাই ওবায়দুল্লাহ

 আকুয়া, মড়লবাড়ী মাদরাসা, সদর, মোমেনশাহী

০ আমার অসুস্থতা, মায়ের ব্যাকুলতা, এই শিরোনামে তোমার রোযনামচা সুন্দর হয়েছে। মায়ের প্রতি যে সুন্দর অনুভূতি তুমি প্রকাশ করেছো, তা যেন সব সন্তানের অন্তরে জাগরূক থাকে এবং শুধু কথায় বা লেখায় নয়, কাজেও যেন তার প্রকাশ ঘটে, আমীন।

ভাই শরীফুদ্দীন

হাটহাযারী মাদরাসা

০ তুমি পিতা-মাতার হক সম্পর্কে লিখেছো। তোমার লেখা মোটামুটি ভালো। বানান সম্পর্কে তোমাকে আরো সচেতন হতে হবে এবং ‘নিযামুল আওকাত’ অনুসরণ করে নিয়মিত লিখতে হবে।

ভাই হাদী শরীয়াতুল্লাহ

ফুলবাড়ি, সিরাজগঞ্জ

০ তুমি তোমার লেখায় হাকীমুল উম্মত হযরত থানবী (রহ)-এর প্রতি ভক্তি ও মুহববত প্রকাশ করেছো। তোমার আকাঙ্ক্ষা ছিলো, তাঁর সর্বশেষ জীবিত খলিফা হযরত হারদূঈ (রহ)-কে দেখার। সে আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হওয়ার আগেই তাঁর ইনতিকাল হয়ে গিয়েছিলো। তারপর তুমি খবর পেলে এমন একজন শতায়ু ব্যক্তির, যিনি হাকীমুল উম্মতকে দেখেছিলেন। তুমি তোমার প্রিয় উস্তাদের সঙ্গে তাঁকে দেখতে গিয়েছিলে।

তোমার লেখায় পুরো বিবরণটি সুন্দরভাবেই ফুটে উঠেছে। তবে একটা কথা তোমাকে মনে রাখতে হবে, কোন কিছু একদিনে হয় না এবং সামান্যতে হয় না। যে কোন সফলতার জন্য প্রয়োজন নিরলস চেষ্টা এবং নিরন্তর সাধনা। 

তাহিরা নাছীবাহ

রামগতি রোড, লক্ষ্মীপুর

০ তোমার ভ্রমণকাহিনী পড়েছি। তুমি লিখতে থাকো। একটি বীজ বপন করার পর তা থেকে গাছ হতে এবং গাছ থেকে পেতে কত মেহনত করতে হয় এবং কত দীর্ঘ কাল অপেক্ষা করতে হয়! লেখার ক্ষেত্রেও কিন্তু তাই, বরং আরো বেশী। সুতরাং তুমি নিয়মিত লিখতে থাকো এবং পুষ্প পড়তে থাকো।

উছমান গনী

কাশেমুল উলূম, মধুপুর, টাঙ্গাইল

০ তোমার ভ্রমণকাহিনী পেয়েছি এবং পড়েছি। পড়ে আমার যা মনে হয়েছে তা হলো, চেষ্টা করলে তুমি অনেক দূর যেতে পারবে। এখন প্রশ্ন হলো, তুমি কত দূর যেতে চাও এবং সে জন্য কী পরিমাণ সাধনা করতে প্রস্ত্তত!

আব্দুল্লাহ আলমুনীর

পূর্ব পদুয়া, বরুড়া, কুমিল্লা

০ তোমার চিঠি ও লেখাদু’টি পেয়েছি। তুমি কলমের মূল্য বোঝাতে গিয়ে লিখেছো, ‘কলমের একটি লেখা পারে একটি জীবনে বিপ্লব সৃষ্টি করতে এবং জীবনের গতিধারা পরিবর্তন করতে।’

তোমার উস্তায বলেছেন, সেহরী না বলে সাহরী বলতে, তারপর থেকে সেহরী শব্দটি তোমার কানে খুব বাজে। আমার লেখায় তুমি সেহরী দেখে পীড়িত হয়েছো, সে জন্য আমি দুঃখিত। আসলে সাহরী লেখাই কর্তব্য। তোমাকে ধন্যবাদ।

মুনীরুয্যামান মুনীর

কাশেমুল উলূম, নগরকান্দা, ফরিদপুর

০ তোমার কয়েক দিনের রোযনামচা পেয়েছি। তোমার লেখা ভালো, তবে বানানের দুর্বলতা খুব বেশী, এ বিষয়ে আরো যত্নবান হও।

এনায়েতুল্লাহ বিন খলীল

লালমাটিয়া মাদরাসা

০ তুমি লিখেছো ‘সময়ের এই সল্প পরিস্বরে’, আমি জানি না, তুমি কোন বর্ষের ছাত্র এবং তোমার বয়স কত? তুমি রাজধানীর একটি মাদরাসায় লেখা-পড়া করো। তুমি তো দূর প্রত্যন্ত অঞ্চলের একজন তালিবে ইলমের চেয়ে অনেক বেশী সুযোগ-সুবিধা ভোগ করো। তোমার বাংলাবানানের এমন দুরবস্থা কেন হবে বলো! বানানের প্রতি এ কেমন স্বেচ্ছাচার! সঠিক বানান হলো ‘স্বল্প পরিসর’।

মঈনুদ্দীন খান তানভীর

শায়েস্তাগঞ্জ, হবিগঞ্জ

০ তোমার দীর্ঘ চিঠি ও লেখা পেয়েছি। তোমার লেখাটির সারকথা হলো, ‘পৃথিবীতে সবাই চায় বড় হতে। বড় হতে চাওয়া দোষের কিছু নয়, কারণ এটা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। তবে বড় হওয়ার অর্থ সবার কাছে একরকম নয়। কেউ মনে করে বড় হওয়া মানে অর্থসম্পদে বড় হওয়া। তাই তো যার অনেক টাকা, মানুষ তাকে বলে বড় লোক। কিন্তু আমি আমার জীবনে অর্থের বড়ত্ব চাই না। কারণ অর্থের বড়ত্ব মানুষকে দান করে শুধু অহঙ্কার। আমি চাই জ্ঞানসম্পদে এবং চরিত্রসম্পদে বড় হতে। আমি চাই মানুষকে ভালোবেসে এবং মানুষের ভালোবাসা পেয়ে বড় হতে, বরং আমি চাই আল্লাহকে ভালোবেসে এবং আল্লাহর ভালোবাসা পেয়ে বড় হতে। কারণ এই বড়ত্ব আমাকে পৌছে দেবে অনন্ত সুখের ঠিকানা জান্নাতে।

এবার তোমার চিঠিপ্রসঙ্গ। তুমি লিখেছো, কয়েকমাস আগে একটি চিঠি লিখেছিলাম আপনার কাছে, কিন্তু আমার ‘দূর্ভাগ্য’, এখনো তার উত্তর পাইনি। হয়ত সেটা পৌঁছে গেছে ‘ডাষ্টবিন’-এর ‘নোংড়া’ কারাগারে। ...

কোটকরা শব্দগুলোর বানান ঠিক করো। কারাগারে আটক বা বন্দী করে রাখা হয়, কোন উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে। আর ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলা হয় অবহেলাভরে। তো ডাস্টবিনকে কারাগারের সাথে উপমা দেয়ার অবকাশ

নেই। তুমি বলতে পারতে, ‘হয়ত সেটাকে ছুঁড়ে ফেলা হয়েছে ডাস্টবিনের নোংরা আবর্জনার মধ্যে।’

তুমি লিখেছো, ‘কিন্তু স্বাধ থাকলেও সাধ্য নেই আমার’। ভালো কথা, তবে স্বাদ ও সাধ শব্দদু’টির বানান এবং অর্থ বোঝার সাধ্যও কি নেই তোমার!

তুমি লিখেছো, ‘এই মূহুর্তে আমার বড় প্রয়োজন হলো ...।’

তোমার প্রয়োজনের কথা এখন থাক, তবে এই মুহূর্তে আমার সবচে’ বড় প্রয়োজন তোমাদের বানানযন্ত্রণার হাত থেকে উদ্ধার পাওয়া। কিন্তু মনে হয়, ‘দিল্লী হুনূয দূর আস্ত’।

মুহম্মদ রাসেল হোসাইন

কাশেমুল উলূম, মধুপুর, টাঙ্গাইল

০ ‘আমার প্রতিজ্ঞা’ নামে তোমার লেখাটি ভালো হয়েছে। তুমি ঠিকই লিখেছো, ‘ওরা তো আমারই মত মানুষ, ওদেরকে আল্লাহ যে শক্তি দান করেছেন, আমাকেও তা দান করেছেন, তাহলে ওরা যা পারে, যেভাবে পারে আমি তা পারবো না কেন এবং সেভাবে পারবো না কেন?’

তবে তুমি যে লিখেছো, ‘আমিও হবো ওদের মত’ এটা আমার পছন্দ হয়নি। তোমার প্রতিজ্ঞা তো হতে হবে আরো অনেক দূরে যাওয়ার। আর আল্লাহ তাওফীক দান করলে তা অসম্ভবও নয়।

তবে সবচে’ গুরুত্বপূর্ণ কথা, যা তুমি লেখোনি সেটা হলো, যারা কাজ না করে শুধু কথা বলে, তাদের জীবনে ব্যর্থতা ও হতাশা ছাড়া আর কিছু জোটে না। জীবনে তারাই সফলতা অর্জন করে যারা কথা কম বলে, কাজ বেশী করে, বরং যারা কথা বলে না, শুধু কাজ করে।  

তাহমীদ বিন ইকরাম,

বাইতুস-সালাম, উত্তরা, ঢাকা

০ তুমি লিখেছো, ঈদের আনন্দ বেশ ভালোভাবেই উপভোগ করেছিলাম। কারণ তখন দাদা ও দাদী ছিলেন। আজ তারা নেই। গত দু’বছর পূর্বে দাদী বিদায় নিয়েছেন। দাদাও চারমাস হলো পরপারে পাড়ি দিয়েছেন। এখন কি ঈদের সেই মজা পাবো?! মনটা তাই দাদা-দাদীর জন্য খারাপ লাগছে।’

তোমার কষ্টের কারণ কি তাহলে দাদা-দাদীর মৃত্যু নয়, ঈদের ‘মজা’টা নষ্ট হয়ে যাওয়া?

‘গত বছর’ ঠিক আছে, কিন্তু ‘গত দু’বছর পূর্বে’ কথাটা ঠিক নয়।

‘বিদায় নিয়েছেন’ গ্রহণযোগ্য হলেও, ‘চার মাস হলো পরপারে পাড়ি দিয়েছেন’ কথাটা এক্ষেত্রে ঠিক নয়, কেননা তাতে পর্যাপ্ত ভাবগম্ভীরতা নেই। এক্ষেত্রে ইনতিকাল করেছেন এবং জান্নাতবাসী হয়েছেন, বলাটা অধিকতর সঙ্গত।

রাহমাত বিন আহসান

দারুল উলূম মাদানীনগর, ঢাকা

০ তোমার লেখা মোটামুটি ভালো। তুমি লিখেছো, ‘শৈশব আমাকে আল-বিদা জানিয়েছে।’ শৈশব এমন সমঝদার নয় যে, যেতে সময় ঘটা করে তোমাকে আলবিদা জানাবে। এটা বলা যাবে যৌবনের ক্ষেত্রে।

তুমি নিয়মিত চেষ্টা করে যাও, এবং কামনা করি, সফল হও।

সানীম হাসান

ছায়াবিতান, কুমিল্লা

০ সম্পাদক ভাইয়া, এ চিঠি শুধু আপনার জন্য ...

০০ যা আমার তা তো আমার পুষ্পেরও জন্য। তাই তোমার সুন্দর চিঠিটি এবং হৃদয়ের কোমল অনুভূতিগুলো এখানে তুলে ধরার খুব ইচ্ছে হচ্ছিলো, কিন্তু তোমার ইচ্ছেকে সম্মান জানিয়ে তা থেকে বিরত থাকলাম।

আমার স্বপ্ন! সে বেদনার কথা তোমাকে না হয় নাই বললাম, দু‘আ করো, আল্লাহ যেন কবুল করেন। আমিও দু‘আ করছি।

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা