রবিউছ ছানী ১৪৪৫ হিঃ

তোমাদের লেখা আমাদের রেখা। দুয়ে মিলে হোক ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখা

একটি ভ্রমণ, একটি মূল্যবান শিক্ষা!!

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

একটি ভ্রমণ, একটি মূল্যবান শিক্ষা!!

প্রিয় ইয়াহইয়া বিন মাকছ‚দ!তুমি ভ্রমণকাহিনীটি লিখেছো, হযরত আলী মিয়াঁ (তুমি লিখেছো শুধু আলী মিয়াঁ!) রহ. এর ‘সাফারুল কিতার’ নামে আরবীতে লেখা তাঁর শৈশবের রেলভ্রমণের স্মৃতিচারণকে অবলম্বন করে। তোমার লেখার ‘আন্দায’ ভালো! তাছাড়া লেখার বিষয়ে যে মন্তব্য করেছো, তাতে তোমার বয়সের বিচারে পরিপক্বতার ছাপ রয়েছে!যদি লেখা চর্চার ক্ষেত্রে নেযামুল আওকাত ও নিয়মিতি রক্ষা করে চেষ্টা চালিয়ে যাও, সর্বোপরি হৃদয়ের বিগলিতি যদি অর্জন করতে পারো তাহলে কিছু সম্ভাবনা আছে বলা যায়! কথাটা বলার কারণ আছে, চিন্তা করলে আশা করি, তুমিও বুঝতে পারবে।হৃদয়ের বিগলিতি ছাড়া এবং নিরন্তর চেষ্টা ও সাধনা ছাড়া লেখক হওয়ার আশা দুরাশা মাত্র।ভ্রমণ, দূর, স্টেশন ইত্যাদি শব্দের বানান ঠিক আছে দেখে ভালো লাগলো। তবে বিনয়ের সঙ্গে জানতে চাই, ‘মা তোমাকে জোড় করে খাওয়ালেন কেন?’ অনুভতি, এটা কি মনের ভুল না জানার ভুল! তারপর আমার একটা অনুরোধ রাখতে হবে তোমাকে, যখন গাছের ছাঁয়ায় বসো, বা ছাঁয়া অনুবাদ করো, তবে চন্দ্রবিন্দুটা যতেœর সঙ্গে সরিয়ে দাও।তুমি লিখেছো, ‘মা বের হতে নিষেধ করলেন, তাই তুমি মায়ের কোলে বসে থাকলে’, কথা হলো, তোমার ঐ সময়ের যে সমস্ত কর্ম ও চিন্তার কথা লিখেছো তা তো মায়ের কোলে বসে থাকার বয়স না!পুরস্কার ও পরিষ্কারের ঝামেলা থেকে এখনো মুক্ত হতে পারোনি দেখছি! তবে ‘অস্বস্তি’র ঠিক বানানে স্বস্তি পেলাম।তুমি এবং তোমরা ট্রেনে প্রবেশ করেছো দেখে অবাক হলাম, আমরা তো ট্রেনে ওঠি, বড়জোর চড়ি! কখনো প্রবেশ করি না।তুমি লিখেছো, ‘এক মা তার ছোট্ট ছেলেকে কোলে নিয়ে দূরে বসে আছে। অবুঝ ছেলেটি যেন তার ছলছল করতে থাকা চোখে মাকে বলছে,  মা আমার ক্ষুধা লেগেছে। এই নোংরা যায়গা থেকে কোথাও গিয়ে কিছু খেয়ে... অর্থাৎ দূর থেকে তুমি তার ছলছল চোখের তরজমা করেছো, ভালো, কিন্তু তরজমা কি বাস্তবানুগ হয়েছে! তার সমস্যা কি জাযগার অপরিচ্ছন্নতা, না খাবারের অভাব!‘মা ও তাঁর সন্তান আমার দৃশটির অগোচরে চলে গেলো।’ বানানটার জন্য নিজেকে তুমি একটা কড়া ‘ধন্যবাদ’ জানাতে পারো।‘মূহুর্ত’ এটা কি মুহূর্তের ভুল! আরো অনেক কথা ছিলো, থাক এ পর্যন্ত। হতোদ্যম যেন না হও, যতœ ও সতর্কতা যেন বৃদ্ধি পায়!

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা