মুহররম.১৪৪০হিঃ (৩/৬)

হযরত আলী নাদাবীর পাতা

আমাদের জন্য অনুকরণীয়

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অনেক সময় এ ভাবনা আমার সর্বসত্তাকে আচ্ছন্ন করে রাখে যে, হযরত মাওলানা সৈয়দ আবুল হাসান আলী আল-হাসানী রহ.-এর পরিচয়-সান্নিধ্য যদি ভাগ্যে লেখা না হতো, আমার জীবন আজকের অবস্থা থেকে কত ভিন্ন হতো! এ গরীবের যিন্দেগীতে রাব্বে কারীমের দান ও ইহসানের তো কোন সীমা-পরিসীমা নেই। তবে অন্যতম বড় ইহসান এই যে, এ মহান ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কের খুব সামান্য হলেও একটা সেতুবন্ধন তিনি আমাকে দান করেছেন।বিশাল বিশাল ব্যক্তিত্বের অধিকারী বহু মানুষ রয়েছেন। এমন মানুষও রয়েছেন, স্বয়ং আবুল হাসান আলী নাদাবী রহ. যাদের শ্রদ্ধা করেন এবং অনুসরণ করেন। কিন্তু এ মানুষটির সবকিছু অন্যরকম, সবকিছু ভিন্ন রকম। প্রখর আলো ও আলোর যে পার্থক্য, ব্যক্তিত্বের দ্যুতিবিচ্ছুরণের ক্ষেত্রেও সেটা প্রযোজ্য। দৃষ্টি যাদের প্রখর তারা প্রখর আলো থেকে যেভাবে উপকৃত হতে পারেন, দুর্বল দৃষ্টির মানুষ সেভাবে উপকৃত হতে পারে না। আমার জীবনের জন্য তিনি সূর্যের প্রখর আলো ছিলেন না, ছিলেন পূর্ণিমার চাঁদের ¯rগ্ধ আলো। আমাকে যারা ভালোবাসে, তাদের ভালোবাসার প্রতি কৃতজ্ঞতা নিবেদন করে বলি, জীবনের সর্ব-অঙ্গনে এই মহান মানুষটিকে অনুসরণ করো, বরং অনুকরণ করো। তিনি যাদের ভালোবেসেছেন, শ্রদ্ধা করেছেন, তুমিও তাঁদের ভালোবাসো, শ্রদ্ধা করো।(ইবনে মেছবাহ)মুসলিম পারিবারিক আইন বিল পাশের উপলক্ষে ভারতের তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী, ইন্দিরাগান্ধীর পুত্র  রাজীব গান্ধীর নামে হযরত আলী মিয়াঁ একটা দীর্ঘ পত্র লিখেছিলেন। তাতে একদিকে তাঁর প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতার সর্বোচ্চ প্রকাশ যেমন ঘটেছে তেমনি উম্মাহর প্রতি তাঁর সীমাহীন দরদ-ব্যথারও চূড়ান্ত প্রকাশ ঘটেছে। পত্রটি পড়–ন কারওয়ানে যিন্দেগী কিতাবের তৃতীয় খ-ে ১২৩ পৃষ্ঠায়।

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা