রবিউল আউয়াল ১৪৪০হিঃ (৩/৭)

কচি ও কাঁচা

এক ছোট্টমণির ছোট্টচিঠি!

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

০ সম্পাদক ভাইয়া! এবার আমি লিখবো আম্মুর নামে নালিশ জানিয়ে!

০০ মায়ের নামে নালিশ, বলে কী আমাদের ছোট্ট লক্ষ্মী মেয়েটি!!

০ আম্মু না, রোয রোয পড়ার জন্য বসতে বলে। একটু খেলতে বসেছি, আর খেলনাটা নিয়ে যাবে!

০০ তাই তো! রোয রোয পড়ার কী দরকার! সকাল বিকাল পড়লেই হলো!! আর খেলনাটা নিয়ে যাবে কেন! লুকিয়ে রাখলেই হলো!!

০ আমি বললাম কী, দাঁড়াও, সম্পাদক ভাইয়ার কাছে নালিশ জানাবো?

০০ মাকে ভয় দেখানো হলো বুঝি! তা ভয় পেলেন তোমার মা!

০ ওম্মা! বলে কী! যাও, ভয় পাই না তোমার সম্পাদক ভাইয়াকে!!

০০ ভয় পেতে যাবেন কেন! মায়েরা ভয় পেলে তোমাদের দেখে শুনে রাখবে কে বলো?!

০ আপনি যদি আম্মুকে আচ্ছা করে বকে দেন, তাহলে আপনাকে তেঁতুলের আচারভরা বয়ামটা দিয়ে দেবো!

০০ বেশ বুদ্ধি শিখেছো তো দুষ্ট মেয়ে! আচ্ছা, আমি বকে দেবো, তুমি যদি সকাল-বিকাল দু’বেলা পড়তে বসো; আর পড়ার সময় খেলনার জন্য আব্দার না করো! হলো তো!!

০ সাহস কত! আম্মু বলে কী! তোমার সম্পাদক ভাইয়া এলে বলবো, লক্ষ্মী ছেলে, বই নিয়ে পড়তে বসো!

০০ আমি তখন লক্ষ্মী ছেলের মত বলবো; কলম নিয়ে লিখতে বসি, আপনার দুষ্ট মেয়েটির জন্য?!

 

জায়গাটা কি শেষ পর্যন্ত খালিই থাকবে? আর কত অপেক্ষা করা যায়! সুর্য ডোবে ডোবে, অথচ নতুন কোন লেখার নেই দেখা! ছেলেরা না হয় হলো অলস! মেয়েরা তো হবে চঞ্চলা হরিণী! এখন লিখবে, তখন খেলবে! তখন লিখবে, এখন ছোটবে; কখনো বেণী দুলিয়ে, কখনো বাঁকা চাহনি দিয়ে! কিন্তু কোথায়, না পেলাম ছেলেদের কলমের লেখা, না পেলাম মেয়েদের হৃদয়ের রেখা!

তা আমিই না হয় লিখে দিই ছেলেদের পক্ষ হতে তাদের মনের দু’টো কথা! আর মেয়েদের পক্ষ হতে তাদের বুকের কিছু ব্যথা!

তা ছেলেদের মনের কথা যেন কী! ছোঁ!! ‘লিখতে তো চাই, লেখার যে দেখা পাই না!’

মেয়েদের বুকের ব্যথা হলো, ‘আমাকে তো না পড়তে দেয়া হলো, না লিখতে দেয়া হলো! নিজের চেষ্টায় এত দূর এসেছি। আর একটু সময় কি পেতে পারি না আমরা অবলা মেয়েরা!!’

 

 

আজ আমি খুব খুশী। গতকাল আমার মনে অনেক কষ্ট ছিলো, আজ কোন কষ্ট নেই।

আজ আমি খুব খুশী আমার ‘খাতাবন্ধু’!

আমার খুশীর কারণ জানতে চাও? তাহলে চলো আমার বাগানে। দেখো, কী সুন্দর পাঁচটি ফুল ফুটেছে। তুমি তো জানো খাতাবন্ধু, ফুল আমার কত প্রিয়! কতদিন কত ফুলের কথা লিখেছি তোমার পাতায়! ঐ যে ফুলের ছড়া লিখেছিলাম সেটাও তো জমা রেখেছি তোমার পাতায়!

দেখো না ফুলগুলো কেমন করে তাকিয়ে আছে আমার দিকে, যেন কিছু বলতে চায়! কী বলতে চায়? কোন কষ্টের কথা? আমাদের মনে যেমন কষ্ট থাকে ফুলেরও মনে কি আছে কোন কষ্ট! সেই কষ্টের কথা আমাকে বলতে চায় বাগানের ফুল!

নাকি বলতে চায় আনন্দের কথা। বাগানে ফুল হয়ে ফোটার আনন্দের কথা!

জান্নাতুল ফেরদাউস/ ঢালকানগর,ঢাকা

২৪ - ০১ - ২০১৭ খৃ.

০০ তোমার লেখা মাশাআল্লাহ খুব সুন্দর!

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা