রজব ১৪৩০ হিঃ (১২)

তোমাদের চিঠি / আমাদের পত্র

তোমাদের চিঠি / আমাদের পত্র

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

ওমর ফারূক, (হৃদয়) বাইতুস-সালাম, উত্তরা, ঢাকা ০ সম্পাদক ভাইয়া, সত্য বলতে কী, পুষ্প আমার হৃদয় কেড়ে নিয়েছে। ০০ সত্য বলতে কিছু না হৃদয় সাহেব! শুধু জানতে ইচ্ছে করে, পুষ্পকে আপনার হৃদয় কেড়ে নিতে হলো কেন? আপনার কি পুষ্পকে হৃদয়খানা দান করার ইচ্ছে ছিলো না? সে যাক, আপনার হয়ত জানা নেই, পুষ্প এত কোমল যে, সে কোন কিছু কেড়ে নেয় না, দখল করে না এবং হরণ করে না। পুষ্প হৃদয়ে আসন গ্রহণ করে এবং হৃদয়কে মুগ্ধ করে। নাম-ঠিকানা নেই ০ ... মাথার স্ক্রু ঢিলা হলে টাইট দেয়া যায়, কিন্তু আমার মনে হয়, ইসরাইলের মাথায় স্ক্রুই নেই। স্ত্রুু থাকলে কি ইরানের উপর হামলা করার কথা বলতে পারে! এখন কী করা যায় বলুন তো! ০০ নিজের মাথার স্ক্রুটা টাইট দাও এবং অন্যের মাথা নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে কাজে মন দাও। শত্রুকে ঘৃণা করা ভালো, কিন্তু তুচ্ছ মনে করা সুস্থ মস্তিষ্কের লক্ষণ নয়। ইসরাইলের অস্ত্রভাণ্ডারে এখন দু’শর বেশী পারমাণবিক বোমা আছে, খবর রাখো! খাদেমুল ইসলাম, পীরগঞ্জ, রংপুর ০ আচ্ছা সম্পাদক ভাইয়া! আপনার বীজগুলোর খবর কী? ওগুলো আর কত দিন মাটির নীচে লুকিয়ে থাকবে? ... ০০ কাটা ঘায়ে আবার নুন দেয়া কেন! যখন কাজের সময় আসবে, দেখা যাবে তুমি কেমন কৃষক! হাসানুল হক (আলিফ), বাইতুস-সালাম, উত্তরা, ঢাকা ০সম্পাদক ‘ছাছা’! আমার না ‘হেভি’ সমস্যা! ঘটনা ‘হইল’ আমি লিখতে বসলে ঘুমপরীরা এসে আমার সঙ্গে খুব ভাব জমায় এবং আমাকে পরিদের দেশে নিয়ে যায়। পরীরা দল বেঁধে এত আদর-যত্ন করে যে’ লেখার কথা একদম ভুলে যাই। তখন না পারি লিখতে, না পারি ঘুমপরিদের তাড়াতে। কী করি, বলুন তো! ০০ সত্যি, ‘অত্যান্ত’ গুরুতর সমস্যা। আমার ত্রিশ বছরের ‘রাখাল-জীবনে’ আল্লাহ চাহে, গরু-ছাগল, ভেড়া-বকরী অনেক চরিয়েছি, ‘লেকিন’ এমন গুরুতর সমস্যার সম্মুখীন কখনো হইনি। তবে ভাতিজা, চিন্তা ‘করিও না’, অনেক চিন্তাভাবনা ও যিকির-ফিকির ‘করিয়া’ আমি তিনটি সমাধান উদ্ভাবন করেছি। আশা করি একটা না একটা সমাধান ‘লাইগা’ যাবে, আর ‘যদি লাইগা যায়’ তবে তোমার সমস্যা জলের মত পানি ‘হইয়া’ যাবে। সমাধান নম্বর-১ ‘পরীরা যখন ভাব জমায় তখন চেষ্টা ‘করিও’ ভাবটা যেন না জমে। সমাধান নম্বর-২ ‘তারা যখন আদর-যত্ন করে তখন তুমিও তাদেরকে কিঞ্চিৎ যত্ন-আদর ‘করিও’, আদর-যত্নে এবং যত্ন-আদরে কাটাকাটি হয়ে ময়দান সাফ ‘হইয়া যাবে’, তখন কিছুটা হলেও লেখার ফুরসত পাওয়া যাবে। সমাধান নম্বর-৩ ‘তোমার চিঠি থেকে ‘জানিতে পারিলাম’ যে, সমস্যাটা হয় তুমি লিখতে বসলে। সুতরাং তুমি কস্মিনকালেও লিখতে ‘বসিও না’, হয় লিখতে ‘দাঁড়াইবে, না হয় লিখতে শয়ন ‘করিবে’, আচ্ছা, এখন আমার মনে হচ্ছে, এটা কোন সমস্যাই নয়। পরিদের আদর-যত্ন তুমি খুব উপভোগ করতে থাকো, লেখার কথা বিলকুল চিন্তা করো না, বাংলাভাষায় লেখকের এতটা আকাল পড়েনি যে, ‘শ্রীমান’ আলিফ সাহেবকে লেখক হতেই হবে। যাক, দয়া করে আমি অধমের উদ্ভাবিত সমাধানগুলি ব্যবহার করে কী ফল পাওয়া গেলো ‘জানাইতে ভুল করিও না।’ আব্দুল্লাহ আলমুনীর, বড়ুরা, কুমিল্লা ০ পুষ্পের এক সংখ্যায় আপনি নিয়মিত হাঁটার জন্য নছীহত করেছেন, কিন্তু হাঁটতে গেলে নিয়মিত হুযূরের ‘বকা-ঝকা’ খেতে হয়, তো এখন কী করি বলুন তো! ০০ খাবে! খেতে আর দোষ কী! তাছাড়া নিয়মিত খাওয়াটা সবসময় স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। অবশ্য একটা সমস্যা, আমরা খেতাম শুধু বকা, তোমাদের খেতে হচ্ছে বকা এবং ঝকা, পরিমাণটা তাহলে একটু বেশী হয়ে যাচ্ছে, তবু আল্লাহ ভরসা। ০ আপনি বলেছেন তিনটা করে বানান শিখতে, কোন অভিধান থেকে শিখবো? ০০ নিজের অভিধান থেকে; অন্যের অভিধান কখনো ধরতে যেয়ো না। নাকি সমস্যা হয়েছে তিনটা বলার কারণে? তাহলে এককাজ করো, পাঁচটা করে শেখো। ছানাউল্লাহ, ফরিদাবাদ মাদরাসা, ঢাকা ০ সম্পাদক ভাইয়া, আমরা কি পুষ্পের মত জীবন গড়তে পারবো? ০০ বোধ হয়। ০ পুষ্পের মত জীবন গড়তে হলে আমাদের কী করতে হবে। ০০ নিয়মিত কাঁটার আঘাত সহ্য করতে হবে। কারণ কবি বলেছেন, ‘কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন ...? ইয়াসির শফীক, রামপুরা, ঢাকা ০ ... সেদিন আমার খালাত ভাই সুসংবাদ দিলো যে, পুষ্পের পাতায় আমার চিঠির জবাব প্রকাশিত হয়েছে। শুনে এত খুশী হলাম যে, সঙ্গে সঙ্গে তাকে ‘একডজন’ বাদাম হাদিয়া দিয়েছি। ০০ পেস্তাবাদাম না চিনাবাদাম? পেস্তাবাদাম হলে কোন কথা নাই। চিনাবাদাম হলে আমার দুইখান কথা; খোসাসহ দিয়েছো, না খোসা ছাড়িয়ে? খোসাসহ হলে কোন কথা নাই। খোসা ছাড়িয়ে হলে আমার দুইখান কথা; ভেজে দিয়েছো না, কাঁচা? ভাজা হলে কোন কথা নাই। কাঁচা হলে আমার দুইখান কথা; নিজের পঁয়সায় কিনেছো, না বাবার পঁয়সায়? নিজের পঁয়সায় হলে কোন কথা নাই। বাবার পঁয়সায় হলে আমার দুইখান কথা; চেয়ে নিয়েছো, না ... করে? আরো অনেক কথা আছে, থাক এখন। ০ আপনাকে পেয়ার করি অবশ্যই, তবে ওয়াদামত কাজি পেয়ারা এখন নিয়ে আসতে পারছি না বলে দুঃখিত। বার্ষিক পরীক্ষার ছুটিতে নিয়ে আসবো। ০০ আমি যেন বিশ্বাস করে বসে ছিলাম তোমার ওয়াদায়! বর্তমান ওয়াদাটাও তো আগেরটার সমগোত্রীয়, তাই না! জোবায়র বিন আনোয়ার, জামেয়া ইসলামিয়া সোলতানিয়া, লালপুল, ফেনী ০ নানা ভাইয়া, তোমার পত্রিকাটা কয় মাসিক? ০০ অনেক মাসিক। তোমার লেখা কয় মাসিক? ০ তোমার কলম এত ধারালো কেন? ০০ তোমাদের চামড়া যে অনেক মোটা! ০ তোমার কলমটা কি আমাকে দিয়ে দেবে? ০০ এখন থেকেই হাত পাতার অভ্যাস! ফারূক আসলাম, বাইতুস-সালাম, উত্তরা, ঢাকা ০ সম্পাদক ভাইয়া! ভালো আছেন! ভালো থাকুন। আপনি ভালো থাকলে যে, আমাদের পুষ্পও ভালো থাকবে! ০০ আর পুষ্প ভালো থাকলে যে পুষ্পের বন্ধুরাও ভালো থাকবে! ০ আমি অনেক কিছু জানি; হাসতে জানি, কাঁদতে জানি, দিন-রাত খেলতে জানি, ঘুমুতে জানি, আর হাপুস হুপুস খেতে জানি! জানি না শুধু লিখতে! ০০ আহা! এত কিছু না জেনে যদি শুধু ঐ একটা কাজ জানতে! মর্জিনা বিনতে আরশাদ, রাবেয়া বসরী মাদরাসা, জেলাসদর, টাঙ্গাইল ০০ বাহ, আমার রাবেয়া বছরী তো সুন্দর চিঠি লিখতে পারে! বানানগুলো শুধু কিছুটা ‘দুষ্টুমি’ করে, আশা করি এই দুষ্টুমিটা ধীরে ধীরে কমে যাবে। হাঁ, তুমি ঠিকই শুনেছো, আমি নানা হয়েছি। তাই বলে তুমি নানা ডাকতে যাবে কেন! আমি তো আগের মতই তোমার ভাইয়া আছি! তুমি জানতে চেয়েছো, ফুল কি শুধু বসন্তেই ফোটে? বসন্ত ছাড়া কি ফুল ফোটে না? ফোটে, যখন বুলবুলি বা ফুলপরী বাগানে এসে গান গায়। তুমি হলে পুষ্প-উদ্যানের বুলবুলি এবং ফুলপরী! তুমি ভালো করে গান গাও না দেখেই তো পুষ্প প্রস্ফুটিত হতে বিলম্ব করে। এই দেখো না, এবার তুমি সুন্দর করে গান গেয়েছো, আর পুষ্প কত তাড়াতাড়ি পাপড়ি মেলেছে! কাজী তানভীর আহমেদ, আসুগঞ্জ, শহীদবাড়িয়া ০০ তোমার লেখা ও চিঠি নিয়মিত পেয়ে থাকি ও পড়ে থাকি। পুষ্পের পাতায় স্থান দেয়া সম্ভব না হলেও, তোমার এবং তোমার সবার লেখা আমার হৃদয়ের গভীরে অবশ্যই সঞ্চিত থাকে এবং তোমাদের জন্য আমার শুভকামনার শিশির সর্বদা বর্ষিত হতে থাকে। গল্প তো পুষ্পে লেখা হয়। শরীয়াতের সীমার ভেতরে যে কোন বিষয়ই লেখা যেতে পারে, কিন্তু তার আগে সীমানাটা খুব ভালো করে বুঝতে হবে। ফায়সাল বিন সাঈদ, মাদরাসাতুল ইহসান, উত্তরা, ঢাকা ০ ...আপনি তো কলম মেরামত করতে পারেন, সবাই আপনার কলম মেরামতের প্রশংসা করে। আপনি কি মন মেরামত করতে পারেন? আমার ভাঙ্গা মনটা একটু মেরামত করে দেবেন। ০০ ভাঙ্গা মন মেরামত করার দরকার নেই। ভাঙ্গা মন ভাঙ্গা থাকাই ভালো। কেন জানো? যাদের মনভাঙ্গা, আল্লাহ তাদের কাছে থাকেন। তুমি আমার আম্মার জন্য দু‘আ করছো, এজন্য তোমাকে ‘জাযাকাল্লাহ’। শিহাবুদ্দীন ছাকিব, শাহবাগ, কাছিমুল উলূম, জাকিগঞ্জ, সিলেট ০০ তুমি লিখেছো ইলিশ মাছ তোমার প্রিয়। কার প্রিয় নয় বলো। সবারই প্রিয়। তো প্রিয় ইলিশ মাছ খেয়ে আল্লাহর শোকর আদায় করেছো, তারপর ঘুমিয়ে পড়েছো! নিদ্রা দ্বারা বুঝি শোকর আদায় হয়! এজন্যই তো তোমার পেট ফুলেছে! আব্দুল মুমিন আসগরি, দরগাহ মাদরাসা, সিলেট ০ আমি আগ্রহী ভাষা শিখতে/ জানি না কী হবে আমার করতে?/ কেহ আমার মত নবীনকে দেবেন কী দিশা/ যাতে শিখতে পারি সাহিত্য, ভাষা/ জানি না আমার কতটুকু হবে ঠিক/ কেহ কি আমাকে দেখাবেন দিক? ... ০০ পুরো পত্রটা যদি তুলে দিতে পারতাম তাহলে অবশ্যই পড়ার মত চিজ হতো! বাজান! কেন এত কষ্ট ও কসরত করতে গিয়েছো? সহজ-সরলভাবে লেখো, অল্প মেহনতে অনেক বেশী শিখতে পারবে। শোনো সবে দিয়া মন/ বলিতেছি সত্য এক বচন/ শিখিতে চাহ যদি ভালো ভাষা/ না করিও ছন্দের প্রতি ভালোবাসা বুঝতে পেরেছো ভাই আসগরি! বাংলা বা আরবী যাই শিখতে চাও, ঐ ভাষায় পরস্পর কথাবার্তা বলা খুবই জরুরি। শোয়াইব আহমদ বিশ্বনাথী, রেঙ্গা মাদরাসা, সিলেট ০০ পুষ্পের প্রতি তোমার সুকোমল অনুভূতি আমাকে মুগ্ধ করেছে। এখন আমাদের প্রয়োজন কথা নয়, কাজ। নিজেকে কোন না কোন বিষয়ে যোগ্যরূপে গড়ে তোলা এবং ভাষার ক্ষেত্রে অন্তত বিশুদ্ধ অর্জনের কাজ। মুনীরুয্‌যামান, কাছিমুল উলূম, নগরকান্দা, ফরিদপুর ০ সম্পাদক ভাইয়া, বেল খাবেন! আমাদের বাড়ীতে অনেক বেলগাছ আছে। ০০ কেন খাবো না, তবে শর্ত হলো বেল-তলায় যেতে পারবো না, আমার মাথায় আবার টাক আছে তো! ০এসে পড়ুন, আপনাকে বেল খাওয়ার দাওয়াত। না, না, কষ্ট করে আমাদের বাড়ী পর্যন্ত আসতে হবে না। ফরিদপুর শহর পর্যন্ত আসুন। দেখবেন, ছোট ছোট ছেলেরা ঝুড়িতে করে বেল বিক্রি করছে। আমার পক্ষ হতে একহালি কিনুন। ওখানেই রাস্তার উপর আছাড় দিয়ে একটা ভাঙ্গুন এবং খেয়ে নিন। বাকি তিনটা বাড়ীতে নিয়ে যাবেন। ০০ আচ্ছা, আমি তো জানতাম মেহমানদারির এ তরীকাটা অন্য জেলার! শহীদুল ইসলাম খান, কালিনগর, আটিগ্রাম, মানিকগঞ্জ ০ সম্পাদক ভাইয়া, আমি যখন তোমার লেখা পড়ি তখন মনে হয়, এগুলো যেন আমার মনের কথা, কিন্তু তুমি লিখতে, আমি পারি না কেন? কিভাবে আমি আমার মনের সুপ্ত কথাগুলো কলমের কালিতে লিখতে পারবো, জানাবে কিন্তু! ০০ তোমার পুরো চিঠিটা দেখো তো কয় লাইনের! তাতেও একটি শব্দ ছুটে গেছে। তুমি লিখতে চেয়েছিলে, ‘কিন্তু তুমি লিখতে পারো, আমি লিখতে পারি না কেন?’ তাহলে কী পরিমাণ গাফলতের সাথে তুমি চার/পাঁচ লাইনের চিঠিটা লিখেছো! তোমাদের অধিকাংশের এই হলো অবস্থা। মনে হয় কোন একটা ঘোরের মধ্যে আছো তোমরা, এজন্যই তোমরা লিখতে পারো না। লেখার প্রতি তোমাদের অযত্ন, অবহেলা, গাফলত ও অন্যমনস্কতা দেখলে দুঃখে আমার কলজে ফেটে যেতে চায়। অথচ তোমাদের লেখাগুলো নিয়ে সারা মাস আমি কী করি! তারপর জানতে চাও, আমি লিখতে পারি, তোমরা কেন লিখতে পারো না! রাগ করো না, আমার মনে হয়, তোমরা লিখছো না, লেখা নিয়ে... করছো। ভাবতে পারো, আমি বানিয়ে লিখছি, তাই তোমার ছোট্ট চিরকুটটা সংরক্ষণ করে রাখলাম। বলতে পারো, তারপরো কেন রাত জেগে এই সব করছি? এ আশায় যে,একজন দু’জন হয়ত তোমাদের মধ্য হতে বের হয়ে আসবে? নাও, কোথায় রসগোল্লা, আর চমচম! এ তো হয়ে গেলো তেতুল চিঠি, মুসাব্বর পত্র! আবারও বলছি, মন খারাপ করো না, কষ্টটা ধরে রাখতে না পেরে কিছু শক্ত কথা বলে ফেললাম। আসলে তোমরা যাই করো, আমাদের তো কাজ হলো, বাস্তব হোক, আর অবাস্তব, তোমাদেরকে তারগীব দিয়ে যাওয়া। নইলে তো এখন যদ্দুর হচ্ছে তাও হবে না। তোমরা তো একেকজন নবাবের পুত্তর! মেজাজ বিগড়ে গেলে আবার লেখাই ছেড়ে দেবে। (আস্তাগফিরুল্লাহ) সাওন ইসলাম, কাছিমুল উলুম, নগরকান্দা, ফরিদপুর ০ সম্পাদক ভাইয়া, তুমি না ভারি বোকা। ০০ আসলেও তাই, নইলে কি উপরের চিঠি ও তার উত্তর প্রকাশ করতে যাই! ০ তা না হলে কেন তুমি পুষ্পের ঘ্রাণ অন্যকে দিয়ে দিচ্ছো! তবু তার বিনিময়ে কিছু চাচ্ছো না! ০০ পুষ্প সুবাস বিলায় হিসাব করে, জানতাম না তো! যেদিন চালাক হবো -এবং আল্লাহ না করুন- সেদিন হয়ত চাওয়ার চিন্তা মাথায় আসতে পারে। আল্লাহ যেন হিফাযত করেন। একটা কথা, আল্লাহ চাহে তো তুমি যখন বড় আলিম হবে এবং ঘোষণা দেয়া হবে, ‘এখন আপনাদের সামনে ওয়ায ফরমাইবেন স্বনামধন্য শায়খুল হাদীছ হযরত মাওলানা সাওন মুদ্দা যিল্লুহুল আলী!’ তখন কেমন শোনাবে বলো দেখি! বিষয়টি এখন থেকেই চিন্তা করা ভালো, কী বলো! শিহাবুদ্দীন, (কালিয়া), গওহারডাঙ্গা খাদেমুল ইসলাম মাদরাসা ০ সম্পাদক ভাইয়া, এটাই আমার ‘জিবনের’ পুষ্পে দেয়া প্রথম লেখা। রাতে স্বপ্নে দেখলাম আমার লেখা পুষ্পে প্রকাশিত হয়েছে। তাই সকালে খুশিমনে খাতা কলম নিয়ে রোযনামচা লিখতে বসে গেলাম এবং ... ০০ চেষ্টা করো আরেকটা স্বপ্ন দেখতে; তখন হয়ত এ লেখাটা ছাপার অক্ষরে দেখতে পারবে। এমনিতে বাস্তবে ‘জিবনের’ প্রথম লেখা জীবনেও প্রকাশিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। যদি শিখতে চাও, মেহনতের সাথে নিয়মিত লিখে যাও এবং বানান শুদ্ধ করার চেষ্টা করো।

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা