মুহররম ১৪৩২ হি: (১৮)

তোমাদের চিঠি / আমাদের পত্র

তোমাদের চিঠি / আমাদের পত্র

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

 

নাফীসা কানিয, ঐশী

লক্ষ্মীবাজার, ঢাকা-১১০০ 

০ সম্পাদক ভাইয়া, আপনি অনেক খারাপ। আপনি বলেছেন আমার রোযনামচা নাকি অনেক সুন্দর হয়েছে। তাহলে ছাপাননি কেন? ... আমি তো শুনেছিলাম আপনি বিদ্যা-বুদ্ধির জাহায, তাহলে এত বিদ্যা-বুদ্ধি এখন গেলো কই? 

০০ আচ্ছা বাবা, এখন থেকে বলবো, তোমার রোযনামচা সুন্দর হয়নি। এখনো কি বলবে, আমি অনেক খারাপ!

০০ কার কাছে শুনেছো? আসলে কেউ তোমাকে বোকা পেয়ে মশকরা করেছে। আমি তো বড় জোর ‘বিদ্যা-বুদ্ধির ডিঙ্গিনৌকা’!

উম্মে হাবীবা তামান্না

ঈশ্বরদাস লেন, বাংলাবাজার

০ সম্পাদক ভাইয়া! এই যে একঝুড়ি প্রশ্ন নিয়ে আমি হাজির!

০০ আচ্ছা, ঝুড়িটা টেবিলের উপর রাখো, আর চেয়ারটা সরিয়ে...।

০ প্রশ্ন করার আগে একটা জরুরি কথা, চশমাটা নাকে দিন এবং ..।

০০ উত্তর দেয়ার আগে একটা জরুরি কথা, মাথায় ঘোমটা দাও এবং ...!

০ আমার প্রথম প্রশ্ন, পৃথিবীটা চ্যাপটা না হয়ে গোল হলো কেন?

০০ পৃথিবীটা চ্যাপটা হওয়ার সুযোগ পেলো কোথায়! তার আগেই তো তোমার নাকটা চ্যাপটা হয়ে বসে আছে!

০ আমার দ্বিতীয় প্রশ্ন..

০০ এই মেয়ে, পালা; আমার কাজ পড়ে আছে ম্যালা!

এনামুল হাসান

পটিয়া মাদরাসা, চাটগাঁ

০ সম্পাদক ভাইয়া, অবসর আছেন তো! অবসর থাকলে আমার কিছু কথা শুনুন।

০০ ঘুমের সময়টুকু ছাড়া আমি অবসরই থাকি, তুমি নির্দ্বিধায় বলো।

০ আপনি বলছেন, প্রতিদিন তিনটি শব্দের বানান শিখতে। তো আমি কি যে কোন তিনটি শব্দের বানান শিখবো, না বিশেষ বিশেষ শব্দের বানান শিখবো।

০০ কঠিন প্রশ্ন! আচ্ছা, যে কোন তিনটি শব্দের বানান শিখতে পারো। যেমন, আমি, তুমি, সে, রাত, দিন, আজ, কাল, বই, কলম, ইত্যাদি।

মুহম্মদ আব্দুল্লাহ

মারকাযুদ্দাওয়াহ আলইসলামিয়্যাহ, ঢাকা- ১২১৬

০ আপনার লেখা ‘লেখার প্রতি কৃতজ্ঞতা’ পেয়েছি। আশা করি এ লেখা আপনার হৃদয়ের লেখা। তাহলে লেখার প্রতি কৃতজ্ঞতার দাবী কী এবং সে দাবী পূরণে আপনি কী করছেন এ সম্পর্কে একটি লেখা তৈরী করে অনুগ্রহপূর্বক আমার সঙ্গে দেখা করুন (সময় নিয়ে)। আপনার ভবিষ্যত উজ্জ্বল হোক।

আরিফুর-রহমান

বীরপুর, নরসিন্দী

০ তোমার কয়েকদিনের রোযনামচা পেয়েছি। ভালোই হচ্ছে। লিখতে থাকো। তুমি লিখেছো, ‘জীবনের ঝুকি নিয়ে তারা কাজ করে।..’ এভাবে চন্দ্রবিন্দু ছুটে গেলে তোমার কলমের সম্ভাবনাটি কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ থেকে যাবে।

সযত্নে লিখতে গিয়ে ‘স'কে ‘ব’-এর সঙ্গে সংযুক্ত করেছো কেন?

তুমি লিখেছো, ‘কেন বন্ধ হয়ে যায় হৃদয়-ঝর্ণার পানি? হঠাৎ মনে হলো, যিনি আমার কলমের মালিক এবং হৃদয়ের খালিক তিনিই তো দান করেন কলম-ঝর্ণার পানি!’

এধরনের ক্ষেত্রে ঝর্ণার পানি বলা হয় না, বলা হয়, স্রোত বা প্রবাহ। আর ‘কলম, মালিক ও খালিক’-এর সঙ্গে হৃদয় শব্দটি উপযুক্ত নয়, কলব শব্দটি উপযুক্ত। 

মাসুমা সাদিয়া

সরাইল, শহীদবাড়িয়া

০ সম্পাদক ভাইয়া, পুষ্পের লেখাগুলো পড়ে আমার লিখতে অনেক ইচ্ছা হয়, কিন্তু আপনি যে ...!

০০ তোমার লেখা দেখে আমারও একটা কিছু ইচ্ছা হয়, কিন্তু তুমি যে ...!

০ আপনি কিন্তু দিন দিন অলস হয়ে পড়ছেন ...।

০০ তুমি কিন্তু দিনদিন মুখরা হয়ে পড়ছো!

০ আপনি তো আমাদের ভাইয়া! তো ভাইয়ার কাছে সবার কত আবদার থাকে। আমার আবদার হলো, আমার লেখা যেন পুষ্পের পাতায় ছাপা হয়।

০০ ভাইয়ার বুঝি কোন আবদার থাকতে নেই। যেমন ধরো আমার আবদার হলো, সবাই যেন হৃদয়ের ডাকে লিখতে থাকে এবং পুষ্পের আহবানে লেখা পাঠাতে থাকে। ছাপা হলে ভালো, না হলে আরো ভালো।

তোমার লেখা পেয়েছি, পড়েছি, খুশী হয়েছি।

আব্দুস-সালাম

কোলাপাড়া মাদরাসা, মুন্সিগঞ্জ

০ প্রিয় পুষ্প, শোনো, দু’টি লেখা পাঠিয়েছি।

০০ শুনলাম।

০ আমার লেখা তোমার পাপড়িতে স্থান লাভ করার লোভ মোটেও রাখি না।

০০ জ্বি, ঠাকুরঘরে কে রে! আমি কলা খাই না!

০ সম্পাদক ভাইয়াকে কানে কানে বলো, ‘আমি তাকে ভালোবাসি’!

০০ কানে কানে বলতে হবে

কেন? দাল মে কুছ কালা হায় নাকি?!

সম্পাদক সাহেব বলেছেন, তোমার নাকে নাকে বলতে, তোমার লেখা নাকি তার কিছু কিছু পছন্দ!

ইকবাল হোসাইন

যাত্রাবাড়ী মাদরাসা, ঢাকা

০ সম্পাদক ভাইয়া, আপনার কী যেন এক জাদু আছে। এটা কী কলমের জাদু, না হাতের জাদু! কলমের জাদু হলে দয়া করে বলুন কোন কোম্পানির কলম, আমি সেই কোম্পানির কলম কিনবো। আর যদি হাতের জাদু হয় তাহলে ...।

০০ তোমার মা তোমাকে ‘জাদু’ বলতো না! এখনো বলে! তো শোনো জাদু! তোমার নিজের ভিতরে জাদুশক্তি সৃষ্টি করো। তখন অন্য কোন জাদু নিয়ে  ‘মস্তক ঘর্মাক্ত’ করার প্রয়োজন হবে না।

মুহিউদ্দীন বিন আব্দুল কুদ্দুস

সিরাজগঞ্জ

০ ... পুষ্পের পাতায় আমার লেখা আসে না তাতে আমার মনে কোন দুঃখ নেই, তবে..

০০ আচ্ছা! এত দুঃখ!

০ সবে তো লেখার হাতে খড়ি, তাই না পাড়ি শব্দ চয়ন করতে, না পাড়ি বাক্য গঠন করতে।

০০ হাত ও খড়ি যদি দূরে দূরে থাকে তাহলে হাতেখড়ি হবে কীভাবে! আর হাতেখড়ি হয়নি বলেই তো শব্দচয়ন ও বাক্যগঠন কোনটাই ‘পাড়ছো না’ ঠিকমত হাতেখড়ি হলেই ‘পারবে’।

মাসঊদুর-রহমান

মাদারীপুর

০ সম্পদাক ভাইয়া, আমি চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র

০০ না বললেও চলতো, তোমার প্রশ্ন থেকেই বুঝতে পারছি, তুমি  ‘কোন্ শ্রেণীর’!

০ কতজন আপনাকে কত প্রশ্ন করে, কিন্তু আটকাতে পারে না। আমি এবার খুব বুদ্ধি করে একটি প্রশ্নের ফাদ পেতেছি। এবার আপনাকে আটকা পড়তেই হবে।

০০ চন্দ্রবিন্দু ছাড়া ফাঁদ পেতে আমাকে আটকাবে! বোকা!

০ রাগ করবেন না যেন, আমার প্রশ্ন হলো আপনি পাগল, না ছাগল?

০০ তুমি কাকে তোমার ভাইয়া বানাতে আগ্রহী?!

আতাউর-রহমান

বাইতুল উলূম, ঢালকানগর, ঢাকা

০ ... রোযার মাসে রোযা রাখিয়া বহু কষ্ট-ক্লেশ সহ্য করিয়া অনেকগুলা (মানে- ‘জমা-এর আকাল্লে মিকদার’) চিঠি পাঠাইলাম। কিন্তু কোন খবর নাই। বড় কষ্টে আছি। তাড়াতাড়ি কষ্টনাশক ঔষধ পাঠাইয়া দেন।

আজ আর বেশী কিছু লিখিব না, কারণ যা গরম পড়িয়াছে! হাবিজাবি লেখা পড়িতে গিয়া আপনার মাথাটা যদি গরম হইয়া যায়! ....

০০ ঔষধ তো তোমার কাছে আছে বৎস! একটি টিকটিকি ধর। উহার উদর চিরিয়া ডিম্ব বাহির কর। অতঃপর আহার না করিয়া ফেলিয়া দাও। ইনশাআল্লাহ কষ্ট বিনাশ হইয়া যাইবে।

লিখিতে থাক। গরম হইবে না। কারণ এখন গরমেও ভেজাল।

মুহীউদ্দীন (পিরোজপুর)

০০ এই দুষ্ট! এত সুন্দর রসগোল্লা এত দেরীতে কেন? এদিকে আমার চমচম যে শেষ। নে, এখন এইটা খা!

 

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা