রমযান ১৪৩০ হিঃ (১৩)

তোমাদের চিঠি / আমাদের পত্র

তোমাদের চিঠি / আমাদের পত্র

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

মুহম্মদ ইউসুফ, মাদরাসাতুল মাদীনাহ ০ ... নামের সাথে অবস্থার মিল নেই কেন? সুন্দর বন তো সুন্দর নয়, ওখানে তো জানের ভয়! রাজবাড়ীতে নেই কোন রাজা, আর শান্তিবাগে নেই শান্তির ছিটেফোঁটা! ০০ আমারও অবাক লাগে, সৌন্দর্য নেই, অথচ সুন্দর বন! রাজা নেই, অথচ রাজবাড়ী! শান্তি নেই, অথচ শান্তিবাগ! তলব নেই, অথচ তালিবে ইলম! কী অদ্ভুত কাণ্ড! খাদেমুল ইসলাম শরীফ পীরগঞ্জ, রংপুর ০ সম্পাদক ভাইয়া, ... আপনার ‘বীজগুলো’ কবে অঙ্কুর হয়ে মাটির উপরে আসবে! ০০ হয়ত ভাবছে, কী হবে মাটির উপর এসে, আবার তো মাটির নীচেই যেতে হবে! এই কান ধরলাম, আর কখনো বীজবপনের কথা বলবো না। মুহম্মদ যাইদ, মদীনাতুল উলূম মাদরাসা, নটেশ্বর, নোয়াখালি ০ দাদু ভাই! দয়া করে সালাম গ্রহণ করুন .. ০০ ‘ওয়ালাই কুম সালাম’ ০ এ পর্যন্ত কত রসগোল্লা পাঠালাম, কিন্তু একটা চমচমও পেলাম না। তবে আব্বু সান্ত্বনা দিয়ে বললেন .. ০০ রাগ করো না নাতু ভাই! রসগোল্লা সবক’টা পেয়েছি, খেয়েছি এবং মজা করে ঢেকুর তুলেছি, কিন্তু বুড়ো মানুষের যা হয়, চমচম পাঠাতে ভুলে গেছি। এখন তো চমচম শেষ, জিলিপিতে চলবে! ০০ দাদু, চমচম না পেলেও আপনার মচমচে দু‘আ থেকে যেন বঞ্চিত না হই। ০০ মচমচে দু‘আটা কেমন! ও বুঝেছি মকবুল দু‘আ! করছি, আল্লাহ যেন কবুল করেন। ০ দাদু ভাই! আপনার নেক নযর পাওয়ার দাওয়াইটা এবার পেয়ে গেছি, আব্বু বলেছেন, আপনি আপনার আম্মাকে খুব ভালোবাসেন ০০ এবং আব্বাকেও ০ তো আমি আমার আল্লাহর কাছে দু‘আ করছি এবং সর্বদা দু‘আ করবো .. ০০ এবং আব্বার জন্যও, জাযাকাল্লাহ। নাতু ভাই, এটা কি তোমার হস্তাক্ষর! তাহলে তো দারুণ! আর বানান ভুল নেই! আহ, অন্তত একটুকরো চমচমও যদি থাকতো! আচ্ছা, নতুন চমচম এলে, সবার আগে তোমাকে। যহীরুল ইসলাম, মদীনাতুল উলূম, নটেশ্বর, নোয়াখালী ০ দাদু ভাই! ০০ জ্বি নাতু ভাই! উপরের জিলিপিটা দুই ভাইয়ে ভাগ করে খাও। হাসিব হোসাইন উত্তরা বাইতুস্‌সালাম, ঢাকা ০ জনাব সম্পাদক সাহেব! ০০ বাপ্‌পুস! আমি সাহেব হলাম কবে থেকে রে! ০ আপনার উপর আমি খুব রেগে আছি ০০ বোঝাই যায়। ০ পরপর কয়েকটি লেখা পাঠিয়েছি! কিন্তু কোন খবর নেই! ০০ আছে, খবর আছে। পর সংবাদ এই যে, তোমার লেখাগুলি পঠিত ও পছন্দিত হইয়াছে, তবে উহারা ‘ছাপিত’ হইবে না। ০ কেয়ামতের দিন যখন আল্লাহ জিজ্ঞাসা করবেন .. তখন আবেগের জোয়ারে ভেসে বলবো .. ০০ বেরাদর, উহা বহুতই নাযুক স্থান, তখন না থাকিবে আবেগ, না থাকিবে উহার জোয়ার! শুধু দু‘আ করি, আল্লাহ যেন তখন আমাদের সবাইকে মাফ করে দেন। রাসেল হোসাইন, কাশেফুল উলূম, মধুপুর, টাঙ্গাইল ০ সম্পাদক ভাইয়া, আপনার পুষ্প যেমন মজাদার, তেমনি মজাদার আপনার মুড়িভর্তা। সত্যি, এত সুন্দর মুড়িভর্তা বানাতে পারেন কীভাবে? ০০ আমি বহু প্রকার ভর্তা বানাইতে পারি! এপর্যন্ত কত অপদার্থ আমার হাতে ‘ভর্তা’ হইয়াছে! আসিফ হোসাইন বাইতুস্‌সালাম, উত্তরা, ঢাকা ০ .. আমার নিম্নলিখিত প্রবলেমটির উপর আপনার ডাগর ডাগর চোখ দু’টি বুলিয়ে ইহসান ফরমাইবেন। ০০ ফরমাইবার জন্য তো আমি তৈয়ার, কিন্তু প্রবলেমখানা তা তো বয়ান করবে! ০ কিছুদিন থেকে লেখা-পড়ায় আমার মন বসে না, তাই বড় টেনশন ফিল করছি। আপনার কাছে ‘হাতজোড়’, আমার নিকট পাঁচ রিতিল পরিমাণ ‘তাওয়াজ্জুহ’ পাঠিয়ে দিন। ০০ ‘হাতজোড়’ কেন, বেজোড় হলেও নো প্রবলেম। এককাজ করো, চাঙ্খার পোলে যেখানে রাস্তার জংশন, তার কাছাকাছি আছে করীম ম্যানশন, তার বামদিকে আছে একটা সেন্টার, যেখানে হয় বিভিন্ন ফাংশান, তার থেকে একটু দূরে আছে চাইনিজ, নাম হলো চ্যাংশন, অর্ডার দাও একপ্লেট হ্যাংশ্যন, খাও গপাগপ, চলে যাবে সব টেনশন। তাওয়াজ্জুহ! হাতজোড় করে চাইতে হবে না, ওতেই হয়ে যাবে। ভালো কথা, হ্যাংশ্যন মানে কি জানো! চীনা ভাষাটা আমার জানা নেই, তবে বোধ হয়, ব্যাঙ-এর ঠ্যাং। বাংলায় হতে পারতো ঠ্যাংশ্যন। যাক গে, সত্য করে বলো তো, আমার জবাবটা হলো ‘ক্যায়স্যান’? জ্যায়স্যান কা ত্যায়স্যান, নয়! আফা আলফারূকী, দড়াটানা মাদরাসা, যশোর ০ সম্পাদক ভাইয়া, পরিষ্কারে ‘ষ’, কিন্তু পুরস্কারে কেন ‘স’? ০০ আমাকে প্রশ্ন কেন, বাংলায় তিন শ-এর ঝামেলাটা কি আমি বাঁধিয়েছি। তবে সম্ভবত কারণ এই যে, পরিষ্কার করতে ঝাড়ু/ঝাঁটা লাগে, আবার ঝড়/ঝঞ্ঝা সব উড়িয়ে পরিষ্কার করে নিয়ে যায়, তো শক্ত হরফের সঙ্গে শক্ত মিল আরকি! ০ আমার কথা নাকি কর্কশ, অনেক চেষ্টা করেছি, সারে না, সেদিন তো পেট ভরে রসগোল্লা খেলাম, যাতে মিস্টার কর্কশ সাহেব জনাব মিষ্টি ছাহেবের কাছে পরাস্ত হন, কিন্তু কিছুতেই কিছু হলো না। ০০ হবেও না, পেট ভরে কেন পেটুক! মুখ ভরে খেতে পারলে না! ০ ও, আরেকটা কথা মনে পড়েছে; আপনি তো লেখার জন্য সাধনা করেন, আমাদেরও সাধনা করতে বলেন। কপালটা ছিলো খারাপ, তাই ভাবলাম আপনার উপদেশমত কাজ করি। একরাত সাধনা করলাম, তারপর একে একে পাঁচদিন করলাম শয্যার আরাধনা। ০০ সাধনা মানে নিয়মিত নিদ্রা এবং সময়মত কর্ম, সাধনা মানে মাত্রাজ্ঞান, সবকিছুতে, মিষ্টি খাওয়াতেও। সাধনা মানে কান ধরে টান, তবে শুধু নিজেরটা। নূর আহমদ তালহা জামেয়া ইসলামিয়া পটিয়া ০ .. ভালো লাগে না। নিজেকে বড় অপরাধী মনে হয়। তাই ইচ্ছে করে শৈশবকে ফিরে পাওয়ার, কিংবা শৈশবের কাছে ফিরে যাওয়ার ০০ ফিরে পাও, বা ফিরে যাও, তখন কিন্তু মক্তবে ভর্তি হতে হবে। মনে নেই, মক্তবে মুর্গী বানিয়ে রাখা হতো! আনাসুর রহমান হাটহাজারী মাদরাসা, চট্টগ্রাম ০ ... হে পুষ্পের মহান শিল্পী! আমি চাই আপনার মত সাহিত্যের সাধক এবং কলমসৈনিক হতে। এ বিষয়ে আমার কি ‘কর্ণিয়’? আমি আপনার নির্দেশিত পথে চলতে চাই ...। ০০ প্রথম কথা, আপতত আমি সাহিত্যের এবং কলমের সেবক আছি, সাধক হওয়ার জন্য এখনো আমাকে অনেক দূরের পথ পাড়ি দিতে হবে এবং অনেক স্তর পার হতে হবে। দ্বিতীয় কথা, জীবনে চলার পথে তুমি যে কারো, বা অনেকের জীবন ও কর্মকে সামনে রাখতে পারো, তবে তুমি শুধু তোমার মত হওয়ার চেষ্টা করো। কেউ আসলে কারো মত হওয়ার কথা নয়; প্রত্যেকে যদি নিজের মত হতে পারে তাহলেই তার জন্ম ও মৃত্যু এবং মাঝখানের জীবন সব সার্থক। তৃতীয়ত আপতত রোযনামচা লেখা এবং বানানের ত্রুটি থেকে মুক্ত হওয়া তোমার ‘করণীয়’। মুনীর হোসাইন রিকাবী বাজার, মুন্সীগঞ্জ ০ .. আশা করি ভালো আছেন, আমি পুষ্পের নতুন পাঠক! ০০ পাঠক, বন্ধু ও লেখকরূপে পুষ্পের উদ্যানে তোমাকে স্বাগতম। পিপিলিকা থেকে শিক্ষার কথা তুমি লিখেছো, ‘বিশবার ব্যর্থ হওয়ার পরও সে ধৈর্য হারায়নি। সত্যি, শিক্ষা লাভ করার মত ঘটনা। শাহীন আহমদ, সিলেট ০ সম্পাদক দাদু ভাই! একটা কথা ভাবছি, দেখি আপনি কী উত্তর দেন। আচ্ছা, মনে করুন, আপনি দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেলেন তখন আপনি কীভাবে দেশটা চালাবেন? ০০ আস্তে, ‘ওনারা’ যেন শুনতে না পায়। ইস, সবাই যদি তোমার মত ভাবতো! আচ্ছা, মনে করো, আমি তোমাকে আমার উপদেষ্টা বানালাম, তখন তুমি আমাকে কী পরামর্শ দেবে? এমনিতে আমি সুযোগ পেলে কী করবো জানো, আমি দেশটাকে চালাবো না, থামাতে চেষ্টা করবো। আমীর হামযা, মাদানী নগর মাদরাসা, ঢাকা ০ .. সবাই বিভিন্ন প্রশ্ন করে আপনাকে এমন নাজেহাল করছে দেখে আমার বড় মায়া হলো। প্রশ্নের জ্বালায় আপনার তো মনে হয় ঘুম হারাম হয়ে গেছে, না! আচ্ছা, একটা বুদ্ধি শুনুন; এখন থেকে দুষ্টু ছেলেগুলোকে আপনি প্রশ্ন করতে শুরু করুন, বুঝুক উত্তর দেয় ক্যায়সা কঠিন! তখন সবক’টা পালাবে ল্যাজ তুলে। কেমন হলো বুদ্ধিতা। ০০ ওয়ান্ডার ফুল! তোমাকে দিয়েই শুরু করি; বলো তো ঢাকা শহরে কত কাক, আর তোমার মাথায় কত চুল? মুস্তফা সাঈদ মাদরাসাতুন্‌নূর, মোমেনশাহী ০ ভাইয়া, তুমি তো একদিন খুব ছোট ছিলে; তারপর কীভাবে বড় হয়েছো! আমারও না, বড় হতে খুব ইচ্ছে করে। কীভাবে তোমার মত বড় হওয়া যায়! ০০ আমি না, দিন-রাত খেতাম, মাদরাসায় ওস্তাদের হাতে, বাড়ীতে কখনো আব্বার হাতে, কখনো

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা