যিলক্বদ ১৪৩০হিঃ (১৪)

তোমাদের চিঠি / আমাদের পত্র

একটি চিঠি / একটি উত্তর

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

আমাদের মাদরাসায় কিছু ছাত্র একটি সাহিত্য আসর শুরু করেছে। আমাকে তারা আসরে যোগ দেয়ার জন্য জোর অনুরোধ করছে। কিন্তু আমার মনে হয়, এতে মূল লেখা-পড়ার ক্ষতি হবে, তাদের অবস্থাও তা প্রমাণ করে, কারণ দরসের লেখা-পড়ায় তারা অমনোযোগী।

তারা আরেকটি কথা বলে যে, সাহিত্য শিখতে হলে বাংলাভাষার বরণীয় সাহিত্যিকদের লেখা পড়তে হবে। যেমন, হুমায়ূন আহমেদ, হুমায়ুন আযাদ, কবি শামসুর রহমান, রবিন্দ্রনাথ। তারা হলেন আমাদের মাইল ফলক, তাদের অনুসরণ না করলে কখনো ভালো সাহিত্যিক হওয়া সম্ভব না, এ সম্পর্কে আমাকে সুপরামর্শ দিয়ে বাধিত করবেন

তাসনীম, ছায়াবিতান, কুমিল্লা

উত্তর: বিশদ উত্তর দেয়া এখন সম্ভব নয়, প্রয়োজনও নেই। সংক্ষেপে এই যে, কোন কাজই বিজ্ঞ উস্তাযের রাহনুমায়ী ও দিকনির্দেশনা ছাড়া উপকারী নয়, বরং ক্ষেত্রবিশেষে বড় ধরণের ক্ষতির কারণ হয়। আর দরসিয়াত বলো, সাহিত্যচর্চা বলো, সবকিছু হওয়া দরকার নিযামুল আওকাতের পূর্ণ অধিনে, যাতে কোনটি দ্বারা কোনটি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

শুধু শামসুর রহমান ও হুমায়ূনেরা কেন? আলমাহমূদ ও আলী আহসানেরা কী দোষ করেছেন? তদ্রূপ শুধু ঠাকুর কেন, নজরুল, ফররূখ নয় কেন? যাদের সাহিত্য শুধু সাহিত্য নয়, বিশেষ চিন্তা ও মতবাদের বাহন সেগুলো পড়া অপরিপক্ব বয়সের কাজ নয়। এমনকি ইসলামী মনোভাবের কোন কোন মুসলিম সাহিত্যিকের লেখায়ও ইসলামের ভুল উপস্থাপন রয়েছে, যা বুঝে ওঠা সবার পক্ষে সম্ভব নয়। সুতরাং শুরুতে শুধু নির্ভরযোগ্য আলিমদের নিরাপদ সাহিত্যই অধ্যয়ন করা উচিত এবং কিছু কিছু বই বিজ্ঞ উস্তাদের তদারকিতে পড়া উচিত। আল্লাহ সঠিক পথে পরিচালিত করুন, আমীন।

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা