রমযান ১৪৩০ হিঃ (১৩)

টেকনাফ ও তেতুলিয়া (স্বদেশ)

কাওমি মাদরাসা কার কী ক্ষতি করেছে?

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট
কিছুদিন আগে আমাদের চৌকশ বাণিজ্যমন্ত্রী মন্তব্য করেছিলেন, ‘কওমী মাদরাসা- গুলো জঙ্গিবাদের প্রজনন- ক্ষেত্র’। দেশের সাধারণ মানুষ তখন বুঝতে পারেনি, একথা বলে বাণিজ্যমন্ত্রী কিসের বাণিজ্য করেছেন। তবে তারা তার বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেছিলেন। এখন অবশ্য তার বাণিজ্যের প্রকৃতিটা কিছুটা আঁচ করা যাচ্ছে। সমপ্রতি বাংলাদেশে বেশ কিছু ভারতীয় নাগরিক জঙ্গিবাদী তৎপরতায় লিপ্ত থাকার অপরাধে ধরা পড়েছে, যারা ছদ্মপরিচয়ে অখ্যাত কিছু মাদরাসায় জড়িত ছিলো। নির্ভেজাল দ্বীনী শিক্ষাকেন্দ্রগুলোর প্রতি বিদ্বেষী পত্রপত্রিকাগুলো এ নিয়ে এমনই শোরগোল তুলেছিলো যে, আল্লাহ পানাহ। অথচ বাংলাভাই থেকে শুরু করে এপর্যন্ত বহু জঙ্গীর সন্ধান পাওয়া গেছে যাদের সামান্যতম সম্পর্কও ছিলো না মাদরাসাশিক্ষার সঙ্গে। তাদের সম্পর্ক ছিলো বিভিন্ন সাধারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাথে। আমরা আবারও দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই, কওমী মাদরাসা হচ্ছে এদেশে খালেছ দ্বীনী ইলম, শিক্ষা-দীক্ষা ও আদর্শ প্রচারের কেন্দ্র। কোরআন ও সুন্নাহ শিক্ষাদান করা এবং দেশ ও জাতির দ্বীনী খেদমত আঞ্জাম দেয়াই এগুলোর উদ্দেশ্য। জঙ্গিবাদের সাথে কোন মাদরাসার দূরতম সম্পর্কও নেই। তাই বহু তদন্ত ও তল্লাশি চালিয়েও কোন কওমী মাদরাসার সাথে জঙ্গিবাদের সম্পর্ক প্রমাণ করা সম্ভব হয়নি, ইনশাআল্লাহ হবেও না। ওয়াকিবহাল মহলের আশংকা যে, কোন গোপন পরিকল্পনার অধীনে ভারত থেকে জঙ্গিবাদী আমদানী করে বাংলাদেশের কওমী মাদরাসাগুলোকে জড়িত করার চক্রান্ত চলছে। তাদের ধারণা আরো জোরালো হয়ে উঠছে একারণে যে, এপর্যন্ত যারা ধরা পড়েছে তারা সবাই স্বীকার করেছে যে, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পূর্ণ সহযোগিতায় তারা সীমান্ত অতিক্রম করেছে। তাই অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না, যদি বিষয়টি পুরোপুরি সাজানো হয়ে থাকো। তবে আল্লাহ যাদের হিফাযত করবেন তাদের ক্ষাতি কেউ করতে পারে না, ইনশাআল্লাহ।
শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা