সফর ১৪৩১ হি:(১৫)

টেকনাফ ও তেতুলিয়া (স্বদেশ)

জ্বালানীবিহীন ইঞ্জিন উদ্ভাবন!

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

 আধুনিক বিশ্ব যখন জ্বালানী সংকটে দিশেহারা তখন বাংলাদেশী বিজ্ঞানী রাইয়ান আহমদ জ্বালানীবিহীন ইঞ্জিন তৈরীর দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছেন বলে খবরে প্রকাশ। সত্তরোর্ধ্ব এই বিজ্ঞানী দীর্ঘ ২৭ বছর নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে তার গবেষণাটিকে একটি গাণিতিক ভিত্তির উপর দাঁড় করিয়েছেন, যার মূল কথা হলো, ‘চাঁদ তার নিজস্ব অক্ষের উপর ঘূর্ণনের পাশাপাশি নিজস্ব কক্ষপথে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে। যে কোন গতির জন্য শক্তি প্রয়োজন। চাঁদ ভিন্ন কোন সূত্র থেকে জ্বালানী লাভ করছে না। তাহলে চাঁদের এই গতির শক্তি-উৎস কী? তা হলো তার নিজস্ব ওজন!’

দুঃখজনক বিষয় এই যে, এমন একটি বৈপ্লবিক গবেষণার জন্য বিজ্ঞানী রাইয়ান ন্যূনতম সরকারী সহযোগিতাও পাননি। খবরে প্রকাশ, স্ত্রীর গহনা ও জমিজমা বিক্রি করে তিনি তার গবেষণার খরচ যুগিয়েছেন। অথচ এদেশে কোটি কোটি টাকা অপচয় হয় কতভাবে, কত নামে! বিজ্ঞানী রাইয়ান বলেন, জ্বালানী- বিহীন ইঞ্জিন তৈরী করা সম্ভব হলে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের বিস্ময়। তখন শুধু প্রযুক্তির স্বত্ব-আয় দ্বারাই সমৃদ্ধ দেশ গড়া সম্ভব হবে।

অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণে আমাদের আশংকা, এমন অপার সম্ভাবনাপূর্ণ গবেষণা হয়ত শেষ পর্যন্ত অন্ধকারেই হারিয়ে যাবে, অথবা উন্নত বিশ্বে পাচার হয়ে যাবে।

ইতিপূর্বে বিজ্ঞানী নূরুল হুদা জ্বালানী খরচহীন বিদ্যুত উৎপাদনের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছিলেন। তখন তা নিয়ে প্রচুর লেখালেখি হয়েছিলো। কিন্তু প্রয়োজনীয় সহযোগিতার অভাবে তিনি আর অগ্রসর হতে পারেননি। তবু বর্তমান ‘ডিজিটাল’ সরকারের কাছে আমাদের দাবী, আমরা জানি না, এ গবেষণা কতটা সফল হবে। তবে বিজ্ঞানীকে যেন নিরুৎসাহিত না করা হয়। বরং প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান  করে যেন গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেয়া হয়। তার গবেষণা যদি ব্যর্থও হয়, তবু এটাকে অর্থের অপচয় বলার সুযোগ নেই। এমন একটি বৈপ্লবিক গবেষণা যেন অর্থের অভাবে বন্ধ না হয়ে যায়। আমাদের এ আহবান কি শেষ পর্যন্ত অরণ্যে রোদন বলে প্রমাণিত হবে!

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা