শাবান ১৪৩১হিঃ (১৭)

টেকনাফ ও তেতুলিয়া (স্বদেশ)

হত্যাকাণ্ড, আমাদের কর্মকাণ্ড!

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট
আইনবহির্ভূত যে কোন হত্যাকাণ্ডই জঘন্য অপরাধ, বিশেষ করে জ্ঞানচর্চার সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠে ছাত্রহত্যা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। সুশীল সমাজ এবং প্রতিটি বিবেকবান মানুষের কর্তব্য হলো, এসকল হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া। আর সরকার ও প্রশাসনের দায়িত্ব হলো দলমত নির্বিশেষে যে কোন হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন- করা এবং দোষী ব্যক্তিকে কঠোর ও দৃষ্টান-মূলক শাসি- প্রদান করা, যাতে ভবিষ্যতে কোন অপরাধী অপরাধ সঙ্ঘটনে সাহসী না হয়। সাংবাদিকদের বলা হয়, অথবা একসময় বলা হতো, জাতির বিবেক। সুতরাং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রোনিক উভয় মাধ্যমের সাংবাদিক- দের নৈতিক দায়িত্ব হচ্ছে বস'নিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন এবং নিরপেক্ষভাবে অপরাধীকে সনাক্তকরণে সহোযিগতা করা। কোন দল বা মতের প্রতি অন্ধ সমর্থন, সুশীল ও সাংবাদিক সমাজের জন্য কিছুতেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। কিন' আমাদের সামনে বাস-বতা কী? যখন বিশেষ কোন দলের আভ্যন-রীণ কোন্দলে কোন ছাত্র নিহত হয়, তখন সমর্থক বুদ্ধিজীবীরা বিবৃতি দিতে ভুলে যান। সাংবাদিকরা প্রথমে চেষ্টা করেন প্রতিপক্ষের উপর দায় চাপানোর, একান-সম্ভব না হলে তারা দায়সারাভাবে খবর পরিবেশন করে একেবারে চুপ মেরে যান। এমনকি প্রশাসনের দায়িত্বশীল মন্ত্রী পর্যন- মন-ব্য করেন, ‘হঠাৎ করে ঘটনা ঘটে গেলে আমাদের কী করার আছে, পুলিশের ঘটনাস'লে পৌঁছতেও তো সময় লাগে’, ইত্যাদি। অথচ প্রতিপক্ষের হাতে কোন ছাত্র খুন হওয়ার নিছক সন্দেহের উপর বুদ্ধিজীবীরা গর্জে ওঠেন, সংবাদপত্রের ভাষা তখন হয়ে ওঠে ‘ঘাতকের বুলেটে নিভে গেলো তাজা প্রাণ’ ধাঁচের কাব্যময়। আর প্রশাসন তো যেন এমন সুযোগেরই অপেক্ষায় থাকে। ঘটনা ঘটেছে কোন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে, আর কোন রকম বিচার তদন- ছাড়াই শুরু হয়ে যায় দেশব্যাপী ধরপাকড়। এভাবে কোন সভ্য দেশ চলতে পারে না এবং আগামী প্রজন্মের জন্য তা কল্যাণকর হবে না।
শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা