যিলক্বদ ১৪৩০হিঃ (১৪)

টেকনাফ ও তেতুলিয়া (স্বদেশ)

ঘড়ির কাঁটা বিঁধছে বুকে!

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট
ঘড়ির কাঁটা একঘণ্টা এগিয়ে আনার মাধ্যমে দিনের আলো সংরক্ষণ করার যেদু’টি উদ্দেশ্যে সরকার ঘোষণা করেছিলো তা হলো, প্রথমত বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে লোডশেডিং-এর যন্ত্রণা থেকে মানুষকে মুক্তি দেয়া। দ্বিতীয়ত যানজটের দুর্বিষহতা কমিয়ে আনা। তো ঘোষিত উদ্দেশ্য সফল হয়েছে কি না, সে প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েও বলতে হয় যে, ঘড়ির কাঁটা একঘণ্টা এগিয়ে আনার সময় বলা হয়েছিলো, পয়লা অক্টোবর থেকে তা আবার আগের অবস্থায় ফিরে যাবে। কিন্তু এখনো তা কার্যকর করা হয়নি, প্রকৃতির দিন-রাতে পরিবর্তন এসেছে, সরকারের দিন-রাত চলছে ‘ডিজিটাল’ নিয়মেই। এতে জনগণের দুর্ভোগ পৌঁচেছে চরমে। বলা যায়, ঘড়ির কাঁটা এখন বিঁধতে শুরু করেছে জনগণের বুকে। সবচে’ বড় দুর্ভোগটা পোহাতে হচ্ছে স্কুলগামী সন্তানদের মায়েদেরকে, বিশেষত যারা নিজেরাও কর্মজীবিনী।

ঘড়ির কাঁটা এগিয়ে আনার সময় অবস্থাটা ছিলো এই- সূর্যাস্তের সময় ঘড়িতে বাজতো আটটা; এখন বাজে সাড়ে ছয়টা। সামনে আরো কমবে। অর্থাৎ পুরো শীতকালটায় দিনের পরিধি কমবে দু’ ঘণ্টারও বেশী। তাছাড়া শীতকালে যে সময়টাতে দিন শরু হবে তখন বিদ্যুতের ব্যবহার অনিবার্যভাবেই বাড়বে। তাহলে শেষ পর্যন্ত লাভ হচ্ছে কোথায়? তাছাড়া একটা বিষয় মনে হয় কেউ হিসাবেই আনছে না যে, ঘড়ির কাঁটা যতই আগ-পিছ করা হোক, মাগরিব ও ফজর তো পড়তে হবে সূর্যের উদয়-অস্তকে অনুসরণ করেই, আর আলহামদু লিল্লাহ এখনো দেশের মানুষ নামায পড়েন।

সরকার জোর দিয়ে বলছে, মানুষ যেহেতু বর্তমান সময়সূচীতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে সেহেতু ঘড়ির কাঁটায় পরিবর্তন আনার প্রয়োজন নেই। কিন্তু এতে শুধু এটাই প্রমাণিত হয় যে, জনজীবনের সঙ্গে কর্তাবাবুদের সম্পর্ক নেই। নইলে তারা এমন অবাস্তব কথা বলতে পারতেন না। ক্ষমতাসীনদের মনে রাখতে হবে যে, সরকার জনগণের দুর্ভোগের জন্য নয়, দুর্ভোগ লাঘবের জন্য।

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা