যিলক্বদ ১৪৩০হিঃ (১৪)

টেকনাফ ও তেতুলিয়া (স্বদেশ)

নীতিবর্জিত শিক্ষানীতি, জাতির ভবিষ্যৎ কী?

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট
সরকার যে নতুন শিক্ষানীতি প্রকাশ করেছেন তাতে গোটা জাতি স্তব্ধ। আমাদের স্থির বিশ্বাস, শিক্ষাকমিশনের উদ্দেশ্য জাতিকে ধর্মশিক্ষা থেকে বঞ্চিত করা ছাড়া আর কিছু নয়। দেশের প্রায় সকল বিশিষ্ট ব্যক্তি কথিত শিক্ষানীতি প্রত্যাখ্যান করেছেন।

শিক্ষা হলা জাতির মেরুদণ্ড। সুতরাং শিক্ষানীতি হতে হবে এমন যাতে জাতি মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়াতে পারে। পৃথিবীর সকল জ্ঞানী-গুণী স্বীকার করেন, ধর্ম, নৈতিকতা ও মানবিকতাই হলো জাতির মেরুদণ্ড। সুতরাং জাতির মেরুদণ্ড সোজা রাখতে হলে শিক্ষানীতিতে অবশ্যই ধর্মশিক্ষা ও নীতিশিক্ষাকে যথাযথ গুরুত্ব দিতে হবে, অন্যথায় সে শিক্ষানীতি হবে জাতির সর্বনাশের কারণ।

দুঃখের সঙ্গেই বলতে হয়, শিক্ষাকমিশনে যাদের অন্তভুক্ত করা হয়েছে তাদের মাদরাসা শিক্ষার প্রতি তো বটেই, এমনকি সাধারণ ধর্মশিক্ষার প্রতিও যেন একটি অন্ধবিদ্বেষ রয়েছে, অন্তত শিক্ষানীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে তাদের আচরণ ও মানসিকতা সেটাই প্রমাণ করে। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ডঃ এমাজুদ্দীন তাই বলতে বাধ্য হয়েছেন, শিক্ষাকমিশনের চেয়ারম্যান যে চিন্তা-চেতনার অধিকারী তা দেশের ৯০ভাগ মানুষের চিন্তা-চেতনার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয় বলে আমি মনে করি।’ তিনি আরো বলেন, যে শিক্ষানীতিতে ধর্মশিক্ষা নেই এবং মাদরাসা শিক্ষার মত গৌরবময় ঐতিহ্যের অধিকারী শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব নেই সেটা আর যাই হোক জাতীয় শিক্ষানীতি হতে পারে না।

শিক্ষার উদ্দেশ্য কী? শুধু চাকুরিজীবী এবং বস্তুজ্ঞানী তৈরী করা, নাকি আদর্শ মানব তৈরী করা, যাদের মাঝে থাকবে সকল মানবীয় গুণ? সম্ভবত আমাদের শিক্ষানীতি প্রণেতারা মনে করছেন, আগামী প্রজন্মে তাদের মানুষ দরকার নেই, দরকার শুধু বস্তুজ্ঞানের চাকুরিজীবী ও কর্মজীবী। ১৯৬৬ তে বৃটেনে ধর্মশিক্ষা বাদ দেয়ায় কী ভয়াবহ অবক্ষয় নেমে এসেছিলো এবং বিশ বছর পর ৮৬তে কেন ধর্মশিক্ষা পুনঃচালু করা হয়েছিলো সে ইতিহাস খুব বেশী দূরে নয়। সেখান থেকেও শিক্ষানীতির জন্য শিক্ষা নেয়া যায়!

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা