রবিউল আওয়াল ১৪৩২হিঃ (১৯)

কচি ও কাঁচা

ছোট বন্ধুরা!

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

 

আমার সালাম নাওসেদিন হয়েছে এক মজার কান্ড! হাঁ, কান্ডটা মজারই বটে, তবে শুধু আমার জন্য, তোমাদের জন্য কিন্তু কান্ডটাতে স্বাদ-মজা কিচ্ছু নেই! কেন! কারণ, কান্ডটা শুনলে তোমরা আচ্ছা রকম জব্দ হবেতখন আর বলতে পারবে না, রোযনামচা লিখতে পারি না 

আচ্ছা শোনো এবার মজার কান্ডটাতা তোমরা আবার মুখ লাগিয়ে দিয়ো না, কান্ডটা শুনে মাশাআল্লাহ বলোমাশাআল্লাহ বললে আর মুখ লাগে নামাশাআল্লাহর বরকতে মুখলাগাটা দূর হয়ে যায়মুখলাগা মানেটা কী, তা অবশ্য আমি জানি নানানীরা বলে, দাদীরা বলে; তাই বললামনযর লাগার কথা অবশ্য আছে হাদীছে মুখলাগা মানে যদি হয় নযর লাগা, তাহলে ঠিক আছে 

আচ্ছা শোনো, আমার ...না থাক; নামও বলবো না, পরিচয়ও বলবো না, মুখলাগার দরজটাই দিলাম বন্ধ করেবুদ্ধিটা যদি আগে হতো তাহলে এত কথা বলার দরকার হতো নাযাক, শোন, ছোট্ট একটি ছেলে, বয়সটা যেন কত! ওর মা বলেছিলো, আমি ভুলে গেছি! বুড়ো মানুষ তো! বয়সটা যে হলো তো তিনকুড়ির কাছাকাছি! 

তা ধরো তিন বছর কি আরো কমসেদিন দুপুরে দুধ-ভাত খাইয়ে ওর মা ওকে আদর করে বললো, লক্ষ্মী ছেলেটি ঘুমিয়ে থাকো! ঘুম থেকে উঠলে তোমাকে চকোলেট দেবো

চকোলেট বলে কথা! ছেলেটি লক্ষ্মীর মত ঘুমিয়ে পড়লো, আবার লক্ষ্মীর মত জেগে উঠলোজেগে উঠে দেখে, আম্মু জায়নামায বিছাচ্ছেন, নামায পড়বেন

মায়েদের কত কাজ! সব সময় সব কথা কি আর মনে থাকে! আম্মু নামাযে দাড়িয়ে গেলেন, আর চকোলেট না পেয়ে ছেলেটির মনটা গেলো খারাপ হয়েসে একা একা বলতে লাগলো, আমি যদি রোযনামচা লিখতে পারতাম, তাহলে কত সুন্দর করে রোযনামচা লিখতাম, আম্মু বলেছে, ঘুমুলে চকোলেট দেবেআমি কত সুন্দর করে ঘুমিয়েছিএখন আম্মু ভুলে গেছেওয়াদা ভুলে গেলে কত গোনাহ হয়! আচ্ছা নামায শেষ হলে আম্মুকে মনে করিয়ে দেবো, তখন আম্মুর আর গোনাহ হবে না

বলো তো, একটা বাচ্চা ছেলের, এর চেয়ে সুন্দর রোযনামচা কি আর হয়! তবু তোমরা বলবে, রোযনামচা লিখতে পারি না!

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা