রবিউল আওয়াল ১৪৩২হিঃ (১৯)

কচি ও কাঁচা

চাঁদকে ভালোবাসি

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

 

আমি জিজ্ঞাসা করলাম, তোমরা কোত্থেকে আসো? কোথায় যাও? 

মেঘশিশু বললো, আমাদের দেশ হলো সাগরেআল্লাহর হুকুমে আমরা বাস্প হয়ে সাগর থেকে উঠে আসি এবং আল্লাহর হুকুমে মেঘ হয়ে আকাশে ভেসে বেড়াইআল্লাহ যখন যেখানে হুকুম করেন, আমরা বৃষ্টি হয়ে নামিতখন মাঠে মাঠে ফসল হয়আমরা আবার নদীর পানিতে মিশে সাগরে ফিরে যাই 

আমি বললাম, মেঘশিশু! মেঘশিশু! তুমি দুঃখ করো নাএখন থেকে আমি তোমার বন্ধু হলাম, তুমি আমার বন্ধু হলেআমাদের দেশে যখন বৃষ্টি হবে, আমি তখন মনের আনন্দে বৃষ্টিতে ভিজবো, আর ভাববো, বৃষ্টি হয়ে তুমি এসেছো আমার সঙ্গে খেলা করতে, আমাকে আনন্দ দিতে

মেঘশিশু ভেসে ভেসে দূরে চলে গেলো, আর আমি উড়ে উড়ে মেঘের রাজ্য পার হয়ে গেলামউপরের দিকে তাকিয়ে দেখি, চাঁদমামা আমারই দিকে তাকিয়ে আছেন, আর মিষ্টি করে হাসছেনচঁদমামা যখন হাসেন, রাশি রাশি জোসনা ঝরে, আর চাঁদের জোসনায় পৃথিবীটা হেসে ওঠে

কিছুক্ষণের মধ্যে আমি পৌঁছে গেলাম চাঁদমামার কাছেআমাকে কাছে পেয়ে চাঁদমামা কী যে খুশী! আমিও খুশী হলামখুশী হবো না! কত জোসনা রাতে পৃথিবী থেকে চাঁদমামাকে দেখেছি! কত ইচ্ছে হতো চাঁদমামার কাছে আসতে, চাঁদমামাকে কাছে পেতে! সেই চাঁদ মামার বুকে আজ আমি দাঁড়িয়ে আছি!

চাঁদমামা বললেন, মনের আনন্দে আমার বুকে যত খুশী ঘুড়ে বেড়াওআমি ঘুরে বেড়ালামকত কিছু দেখলাম! চাঁদেও যে এত বড় বড় পাহাড় আছে জানতাম না তো! পৃথিবী থেকে কিচ্ছু দেখা যায় না তো!

হঠাৎ পিপাসা পেলোচাঁদমামা বললেন,  আমার কাছে যেপানি নেই!আমি বললাম, তাহলে আমি পৃথিবীতে ফিরে যাই

এবার আমি ডানা মেলে পৃথিবীর দিকে উড়তে শুরু করলামহঠাৎ একটি ডানা ভেঙ্গে গেলো, আর আমি ঘুম থেকে...!

 

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা