আরাকান সংখ্যা (৩/১)

কচি ও কাঁচা

ছোট্ট বন্ধুরা!

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

ছোট্ট বন্ধুরা!

আমার সালাম নাও। কত দিন পরে দেখা তোমাদের সঙ্গে বলো দেখি?! কী বললে! তোমাদের সঙ্গে আগে দেখা হয়নি আমার!! কচি ও কাঁচার এ মাহফিলে তোমরা নতুন!! ও এজন্যই তো সবকিছু কেমন যেন অন্যরকম লাগছে! তা সেই ছোট্টমণিরা কোথায় গেলো, যাদের সঙ্গে আমার এত বন্ধুত্ব ছিলো?! এত মায়া ছিলো, মমতা ছিলো!! আচ্ছা, ওরা সব বড় হয়ে গেছে!! তার মানে মাঝখানে অনেকগুলো বছর পার হয়ে গেছে!! হবেই তো! আমি ঘুমিয়ে ছিলাম বলে সময় তো আর ঘুমিয়ে ছিলো না!! তার মানে আমি আরো বুড়ো হয়ে গেছি!! হলামই বা, আল্লাহর রহমতে এখনো তো লিখতে পারি ভালো!! আচ্ছা যাক, এসো তোমাদের সঙ্গেই নতুন করে ভাব করি। বড়দের কাছে আমার পরিচয় পেয়েছো নিশ্চয়! আমার অনেক গুণের কথা শুনেছো নিশ্চয়?! ওমা, কিছুই শুনোনি!! ক্ষতি নেই, আমি নিজেই তোমাদের শোনাবো আমার গুণের কথা একটা একটা করে। এখন আমার কাছ থেকে এই সুন্দর উপহারটি গ্রহণ করো। দেখো তো কী নাম এর? হাঁ, পুষ্প!! পড়ে দেখো, তোমাদের জন্য কত মজার কত সুন্দর শিক্ষার, তারার মত, মুক্তার মত, ফুলের মত সুবাসিত লেখা রয়েছে। পড়ে কেমন লাগলো জানাবে কিন্তু!! আচ্ছা, জরুরি একটা কথা। আমাদের দেশের দক্ষিণপূর্বে একটা দেশ আছে, নাম তার আরাকান!! সেই দেশে বাস করে অনেক মুসলমান। তারা আমাদের ভাই, রক্তের ভাই না হলেও দ্বীনী ভাই। আল্লাহ যে বলেছেন মুমিনরা সব ভাই ভাই!! ওদের বলা হয় রোহিঙ্গা মুসলিম। ওদের এখন বড় বিপদ। ঐ দেশের রাজা ওদের উপর খুব যুলুম করছে। ওদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিচ্ছে। ধরে ধরে মেরে ফেলছে। ওরা অনেকে এখন আমাদের দেশে আশ্রয় নিয়েছে। তোমাদের বয়সের অনেক শিশুও আছে। কেউ মা হারিয়েছে, কেউ বাবা হারিয়েছে। কত কষ্ট ওদের! তোমরা ওদের জন্য দুআ করো। করবে তো!! আর ... থাক!


আমার রোহিঙ্গা বোন!!
আজ দু’দিন হলো আব্বা টেকনাফ থেকে ফিরেছেন। আমাদের দেশের দক্ষিণে একটি নদী আছে নাফ নদী। সেই নদীর ওপারে একটি দেশ আছে। আরাকান। সেখানে বাস করে রোহিঙ্গা মুসলিম। দেশের রাজা খুব অত্যাচারী আর নিষ্ঠুর। রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর খুব যুলমু করে। রাজার জুলমু থেকে বাঁচার জন্য সব কিছু ছেড়ে রোহিঙ্গারা আমাদের দেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের এখন না আছে থাকার ঘর, না ক্ষুধার অন্ন, না আছে বস্ত্র। ওদের অনেক সাহায্য দরকার। আব্বু রোহিঙ্গা মুসলিমদের আশ্রয় শিবিরে গিয়েছিলেন অনেক সাহায্য নিয়ে। আব্বুর কাছে শুনেছি, রোহিঙ্গা শিবিরে একটি মেয়ে আছে। আমার বয়সের, একটু কম হবে, বা বেশী, তার নাম হলো সালমা। তার মাকে বাবাকে ...


কে তি নি ?

বিপদের সময় মানুষ কাকে ডাকে, কার সাহায্য কামনা করে? কে তিনি? নদীতে সাগরে ঝড় তুফানের মুখে মানুষ কাকে ডাকে, কার সাহায্য প্রার্থনা করে? কে তিনি? ক্ষুধায়, অভাবে, রোগে শোকে মানুষ কাকে ডাকে, কার সাহায্য আশা করে? কে তিনি? যালিমের যুলমু থেকে, অত্যাচারীর অত্যাচার থেকে বাঁচার জন্য মানুষ কাকে ডাকে, কার কাছে ফরিয়াদ করে? কে তিনি? তিনি আল্লাহ! তিনি সর্বশক্তিমান আল্লাহ!! সকল দয়ালুর বড় দয়ালু আল্লাহ!! বিপদে, অভাবে, রোগে শোকে আমরা তাকেই ডাকি, তারই কাছে সাহায্য চাই। তিনিই শুধু পারেন বিপদগ্রস্ত মানুষকে, মযলুমানকে সাহায্য করতে এবং অভাবীর সমস্ত অভাব দূর করতে

আমার প্রাণ কাঁদে। ...

হুযুর! আপনার জন্য আমার সালাম। আপনি আমাকে চেনেন না, চিনবেন কীভাবে আমাকে তো দেখেননি!! আমি কিন্তু আপনাকে খুব ভালো করে করে চিনি! ০০ কীভাবে? তুমি তো আমাকে দেখোনি!! ০ আপনার বই পড়ে আপনাকে চিনেছি এবং ভালোবেসেছি। যখন ছোট ছিলাম, আকীদা সিরিজ, পড়েছি, সিরাত সিরিজ পড়েছি, আর পড়েছি পুষ্পের ছোটদের লেখাগুলো। ০০ তাহলে তো তুমি অনেক পড়েছো! অনেক শিখেছো!! তাহলে তো তুমি ভারি মিষ্টি মেয়ে!! যারা লিখতে ভালোবাসে, পড়তে ভালোবাসে, তাদের আমি খুব ভালোবাসি। ০ এখন তো একটু বড় হয়েছি! এখন আমি বাইতুলাøহর মুসাফির পড়ি, বাইতুলাøহর ছায়ায় পড়ি, আর পড়ি পুষ্পের কিশোরদের জন্য লেখাগুলো। হুযূর, আপনার লেখা আমার খুব ভালো লাগে। আমি স্বেপ্ন দেখেছি, পুষ্প আবার এসেছে। আমার স্বপ্ন কবে পূর্ণ হবে? হবে তো?? ০০ আল্লাহর হুকুম হলে হবেই তো!! ০ আমার বড় ভাই আপনার মাদরাসায় পড়েন। তিনি বলেছেন, আপনি আরাকানের মুসলমানদের সাহায্য করছেন। আমার কাছে একশ টাকা আছে। সেটা পাঠালাম। আরো বেশী থাকলে পাঠাতাম। আরাকানের মুসলমানদের জন্য আমার প্রাণ কাঁদে। ...

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা