রজব ১৪৩৯ হিঃ (৩/৩)

সম্পাদকের রোযনামচা

সম্পাদকের রোযনামচা

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

২৮/৩/৩৯ হি.

একটি ছেলে তার রোযনামচায় লিখেছে ‘অনলঝরা’ কলম...। ‘অনলবর্ষী’-এর ব্যবহার সাহিত্যের ভাষায় রয়েছে; যেমন- অনলবর্ষী বক্তৃতা, অনলবর্ষী লেখনী/লেখা/কলম। আগুনঝরা /অগ্নিঝরা-এর ব্যবহারও রয়েছে। অনলঝরা-এর ব্যবহার কিন্তু নেই। শুনতেও শ্রুতিসম্মত নয়। হয়ত নতুনত্বের প্রতি আকর্ষণ থেকে এটা করা হয়েছে। কিন্তু কাজটা এত সহজ ও হালকা নয়। শুরুতে এধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ঠিকও নয়, বরং সাহিত্যের অঙ্গনে যে ব্যবহার মানসম্মত বলে স্বীকৃত তার মধ্যেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখা কর্তব্য।

২৯/৩ /৩৯ হি.

একটা শব্দ এতদিন আমি ভুল করে জানতাম এবং ভুল করে লিখতাম। মাত্র সেদিন একটি লেখা পড়ার সময় হঠাৎ করেই ধরা পড়লো আমার ভুল। শব্দটি হলো পরাকাষ্ঠা, যার অর্থ হলো কোন কিছুর চরম সীমা বা চূড়ান্ত স্তর। বলা হয়, ‘সে তো প্রভুভক্তির পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করেছে।’ সাহসের/শক্তির/আনুগত্যের পরাকাষ্ঠাও বলা হয়।

‘পরা’ হচ্ছে বাংলাভাষার বহু উপসর্গের একটি, যা আতিশয্য, বৈপরীত্য প্রভৃতি প্রকাশ করে। যেমন জয় এর বিপরীত হলো পরাজয়। পরাস্ত, অর্থাৎ যে চরমভাবে অস্ত গেলো। পরাধীন-এর পরা কিন্তু উপসর্গ নয়। বরং পর এবং অধীন-এর একত্ররূপ। সুতরাং এখানে পর মানে অন্য, ভিন্ন, অনাত্মীয়, যার সঙ্গে পরিচয় বা সম্পর্ক নেই।

কাষ্ঠা মানে সীমা। তো পরাকাষ্ঠা মানে হলো চূড়ান্ত সীমা। আমি এতদিন জানতাম ‘পারাকাষ্ঠা’। কী অমার্জনীয় অবহেলা! একটা শব্দ ব্যবহার করছি, কিন্তু কখনো মনে হয়নি, দেখি তো শব্দটির প্রকৃতরূপটি কী?!

পরাশক্তি, পরাবাস্তব, শব্দদু’টি এখানে স্মরণযোগ্য।

৩/৪/৩৯ হি.

আরাকানসংখ্যা ‘স্বাগতম’ পৃষ্ঠায় একটি বাক্য এরকম, ‘লাল সূর্যের প্রভাত যেন তাদের জীবনে দ্রুত উদিত হয়।’ পুরো সংখ্যাটি অত্যন্ত তাড়াহুড়ার মধ্যে করা হয়েছে বলে সম্পাদনার খুব একটা সুযোগ হয়নি। এখন মনে হচ্ছে বাক্যটা এমন হবে, ‘তাদের জীবনে অচিরেই যেন লাল সূর্যের প্রভাত উদিত হয়।’

প্রথম কথায় একটি বাক্য প্রথম সংস্করণে এরূপ ছিলো, ‘আনন্দের মত বেদনাকেও জীবনে আমি সাদরে বরণ করেছি এবং লাভবান হয়েছি।’

এখন মনে হচ্ছে ‘এবং লাভবান হয়েছি’ অংশে ছন্দপতন ঘটেছে বক্তব্যের আবেদনময়তায়। লাভবান শব্দটা একটু যেন স্থূলতার ছাপ ধারণ করে; যেন সওদাগরি শব্দ! পরে দ্বিতীয় সংস্করণে এভাবে সম্পাদনা করেছি, ‘আনন্দের মত বেদনাকেও জীবনে আমি সাদরে বরণ করেছি এবং বেদনার কল্যাণশিশিরে সিক্ত হয়েছি।’ এখানে বক্তব্যটা শুরু-শেষ একই রকম আবেদনময়তা ধারণ করছে। গতির ছন্দপতন নেই।

৪/৪/ ৩৯ হি.

পাঠকদের পক্ষ হতে লেখা এখনো তেমন আসতে শুরু করেনি। সময় তো যথেষ্ট পার হয়েছে। মনে হয় এসংখ্যায়ও খালি জায়গাগুলো আমাকেই ভরাট করতে হবে। আসলে দীর্ঘ দিনের বিচ্ছিন্নতা এত তাড়াতাড়ি দূর হবে বলে আশা করাটাও ঠিক নয়। এসংখ্যার রম্যরচনাটা কী হবে ভাবছি, এর মধ্যে দেখি কম্পিউটারের ফাইলে একটা লেখা পড়ে আছে। আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম। পুষ্প ছিলো না বলে আলকাউছারের নিয়ত করে লিখেছিলাম। পরে আর পাঠানো হয়নি একটা কথা চিন্তা করে। যাক, এ সংখ্যার জন্য রম্যরচনার কাজটা সহজ হয়ে গেলো।

রম্যরচনা যদি সাময়িক প্রসঙ্গের উপর হয় তখন প্রসঙ্গটি জানা না থাকলে পাঠকের পক্ষে রসগ্রহণ করা ঠিকমত হয়ে ওঠে না।

আমাদের রাজনীতির অঙ্গনে একজন আছেন যার মুখের লাগামটা বরাবরই একটু শিথিল। তিনি তার প্রতিপক্ষকে লক্ষ করে ফোঁড়ন কেটেছিলেন, ‘মুই কার খালুরে!’ এতে ভব্যতার অভাব রয়েছে। তো এটাকে উপলক্ষ করেই রম্যচনাটা লেখা। (অনিবার্য কারণে লেখাটা চতুর্থ সংখ্যায়...)

৭/৪/ ৩৯ হি.

আজ একটা লেখা এসেছে, মাগুরা থেকে। লেখক আরাকানসংখ্যা হাতে পেয়ে কী পরিমাণ আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত, তা প্রকাশ করার চেষ্টা করেছেন। লেখাটা ভালোই। বক্তব্যে অন্তরঙ্গতার ছাপ রয়েছে; তবে সঙ্গে রয়েছে কিছুটা অতিশয়তার দোষ। ব্যক্তিগত পত্র হিসাবে হয়ত ঠিক আছে, কিন্তু পাঠকের সামনে প্রকাশ ও পরিবেশনের জন্য ...।

ভদ্রলোকের অনুভূতিকে আমি শ্রদ্ধা করি; করতেই হবে।

অন্তরঙ্গতা যে এখন খুবই দুর্লভ!

১৮/৪/৩৯ হি.

দীর্ঘ সাত বছরের ব্যবধানে কোন প্রকার পূর্বঘোষণা ছাড়া পুষ্পের তৃতীয় প্রকাশনা শুরু হয়েছে। ভেবেছিলাম, প্রকাশিত হওয়ার খবর সবার জানতে জানতেও তো অনেক সময় চলে যাবে! কিন্তু না! আল্লাহ বড় মেহেরবানি করেছেন। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আল্লাহর গায়বি মদদ যে শামিলে হাল ছিলো তা তো আমার মত স্থূল দৃষ্টির মানুষও অনুভব করতে পেরেছে। প্রকাশিত হওয়ার প্রথম দিনেই আল্লাহ সর্বত্র সবার অন্তরে সাড়া দান করেছেন। ভেবে অবাক হই, সবার জানা হলো কীভাবে! ব্যস, আল্লাহর দয়া ও করুণা!!

২৩/৪/৩৯ হি.

প্রথম সংখ্যাটি বিশেষ সংখ্যা হিসাবে দুই রঙে ছাপা হবে কি না, সিদ্ধান্তে আসতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে। একদিকে সৌন্দর্যের প্রশ্ন, অন্যদিকে সময়ের সঙ্কট। শেষপর্যন্ত সৌন্দর্যকে গ্রহণ করেছি, আর সময়ের সঙ্গে পাল্লা দেয়ার চেষ্টা করেছি। সবই ঠিক ছিলো, কিন্তু লেখার মান, তা বোধহয় কিছুটা ক্ষুণœ হয়েছে।

সামনের সংখ্যাগুলো কেমন হবে মানে ও বর্ণে, সজ্জায় ও  কলেবরে, তা নিয়ে বেশ চিন্তায় আছি। ছেলের চিন্তা হলো আমাকে নিয়ে। পত্রিকা সাদামাটা হোক, আমার কষ্ট যেন কম হয়। আমার কিন্তু ইচ্ছা, পরিশ্রম বাড়লেও এবার সবকিছু  যেন একটু ভিন্ন আঙ্গিকে হয়। দেখি, আল্লাহ কী করেন। তাঁর ইচ্ছাই তো শেষ পর্যন্ত কার্যকর হয় এবং তাতেই তো কল্যাণ!!

২৪/৪/৩৯ হি.

আল্লাহর রহমতে ষোড়শ পৃষ্ঠার ‘তোমাকে’ ‘তাকে’ ‘সবাইকে’ এ তিনটি লেখা এক বৈঠকেই পেয়ে গেলাম। লেখাও হয়ে গেলো। যখন আসমান থেকে প্রবাহ আসে এমনই হয়! তবে আকাশের করুণার প্রতীক্ষায় থাকতে হয়। (লজ্জার কথা, এমন ক্ষেত্রেও প্রথমে লিখেছিলাম ‘অপেক্ষায়’! ‘প্রতীক্ষায়’ শব্দটি যদি প্রথমেই এসে যেতো, ভাবতাম, লেখা কিছুটা শেখা হয়েছে।

২৫/৪/৩৯ হি.

আল্লাহ্র রহমতের কি কোন শেষ আছে! ছেলেকে বললাম, আরাকানসংখ্যার জন্য প্রচ্ছদ তৈরী করো। তার উপর যেন পাহাড় ভেঙ্গে পড়লো! ‘প্রচ্ছদের আমি কী জানি! আমার দ্বারা কীভাবে সম্ভব!! এত বড় গুরুত্বপূর্ণ প্রচ্ছদ!’

বললাম, তুমি করবে কেন?! তোমার রবকে বলো, তিনি যেন করে দেন। আর আমার কথাটা মনে রেখো, ‘আর্ট’-এর সাহায্যে এঁকো না, ‘হার্ট’-এর সাহায্যে এঁকো।

আলহামদু লিল্লাহ্, আমার বিশ্বাস হয়েছে, ও নিজে করেনি, রাব্ব ওকে দিয়ে করিয়েছেন! আল্লাহ্র সাহায্য হলে কী না হয়! আর আল্লাহ্ তো গোনাহগার বান্দাকেও সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত! বান্দা যখন হেঁটে অগ্রসর হয়, আল্লাহ্ তার দিকে দৌড়ে অগ্রসর হন, এটা তো ‘কুদসের কালাম’! তারপর আর কী বাকি থাকে!!

(আলকুদসের প্রচ্ছদও সেই করেছে এবং মাশাআল্লাহ ...!!)

২৬/৪/৩৯ হি.

একজন চিঠি লিখেছেন আরাকান -সংখ্যা পাওয়ার পর। সারা চিঠিতে শুধু প্রচ্ছদের প্রশংসা! এটা আমার ভালো লাগেনি। প্রচ্ছদের মধ্যেই আটকে থাকলে হবে! প্রচ্ছদ তো লক্ষ্য নয়, উপলক্ষমাত্র। আলোচনায় ভিতরের কথা কিছুই থাকবে না, এ কেমন কথা!! চিন্তার ভারসাম্য খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

এক ছোট্ট মণি চিঠি লিখেছে, আরাকানের মযলূমানের জন্য তার দিল কাঁদে। পুষ্পের কচি ও কাঁচার সব কটি লেখা সে পড়েছে। রোহিঙ্গা শিশুর রোযনামচা একবার নিজে পড়েছে, একবার আম্মু পড়ে শুনিয়েছেন। অনেক নাকি কেঁদেছে! জানতে চায়, নূরে জান্নাত এখন কোথায়। ওকে দেখতে, একটু আদর করতে খুব নাকি ইচ্ছে ওর!

এই একটা চিঠি এ সান্ত¦না দেয় যে, আমাদের কষ্ট কিছুটা হলেও কাজে এসেছে। অন্তত একটি নিষ্পাপ হৃদয়কে তো স্পর্শ করেছে!!

২৮/৪/৩৯ হি.

আল্লাহর যত শোকর আদায় করি, কম হবে। আরাকান-সংখ্যার সম্পাদকীয়টি শুরু থেকে শেষ আল্লাহর বিশেষ দান ছাড়া আর কিছু নয়। যতক্ষণ লিখেছি স্পষ্ট অনুভব করেছি, হৃদয়ের ক্ষত থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। ‘কাঁটার আঘাত’ সাধারণত রূপক অর্থেই ব্যবহৃত হয়, আমার ক্ষেত্রে এর রূপকতা সামান্যই। প্রায় পুরোটাই বাস্তব। কাঁটার আঘাতে আসলেই ফুল ফোটে, যদি আঘাতকে শান্ত-সংযতভাবে গ্রহণ করা যায়। পুষ্পের তৃতীয় প্রকাশনার শুভযাত্রা এবং আরাকানসংখ্যা পুরোটাই হচ্ছে ‘কাঁটার আঘাতে ফোটা ফুল’! এমনকি আলকুদ্সের সংখ্যাটিও!

২৯/৪/৩৯ হি.

একজন মমতাময়ী মা লিখেছেন বিগলিত হৃদয়ের ফোঁটা ফোঁটা ‘কালি’ দিয়ে ‘আরাকান-সংখ্যাটি পড়ে আমার চোখ থেকে যত অশ্রু ঝরেছে; প্রতিটি ফোঁটা যদি মুক্তা হতো! প্রতিটি মুক্তা আমি মুহাজিরীনের খেদমতে ব্যয় করতাম!!

আহ, শান্তি! এমন মমতাময়ীও আছেন আমাদের দেশে! আমার পুষ্প ধন্য এমন মমতাময়ীর হাতের স্পর্শ লাভ করে!

আশা করি, আলকুদসসংখ্যা হাতে পাওয়ার পর তার আনন্দ হবে আরো আকাশস্পর্শী!

৪/৫/৩৯ হি.

আলকুদসসংখ্যা কীভাবে শুরু হলো এবং শেষ হলো, কিছুই বলতে পারবো না। শুধু এই যে, আল্লাহ ইচ্ছা করেছেন, সাহায্য করেছেন তাই সম্ভব হয়েছে। এর যা কিছু সৌন্দর্য অবশ্যই তা আল্লাহর পক্ষ হতে, আর যা কিছু অসম্পূর্ণতা, তা বান্দার সীমাবদ্ধতার কারণে।

৫/৫/৩৯ হি.

লেখা কিন্তু এখনো তেমন আসেনি যেমন আমি আশা করি। কলমের সঙ্গে পুষ্পের পাঠকদের এখনো হয়ত মমতার সম্পর্ক গড়ে উঠেনি। এদিকে দু’একজন এত লেখা পাঠাচ্ছে যে ... কিন্তু একজনের ক’টি লেখা এক সংখ্যায় ছাপা যায়! প্রতিটা বিভাগের জন্য, (চিঠিপত্র, রম্য, রোযনামচা, কচি ও কাঁচা) যদি পর্যাপ্ত লেখা আসে তাহলে আমার জন্য পুষ্পের কাজ কিছুটা সহজ হয়। সবচে’ বড় কথা, কলমের জগতে কিছু নতুন প্রতিভার আত্মপ্রকাশ ঘটে। এখনো আশা করি। আশার আলো নিয়েই তো মানুষ বেঁচে থাকে!

৬/৫/৩৯ হি.

আলকুদসসংখ্যা চাররঙ্গে ছাপাতে গিয়ে কঠিন অভিজ্ঞতাই হলো! আমাদের সব ক্ষেত্রে, সব বিষয়ে দক্ষতার, কাজের প্রতি আন্তরিকতার এত অভাব!  পেশাদারিত্ব নেই কারো মধ্যে!! সামনে কী করবো বুঝে উঠতে পারছি না!

৬/৬/৩৯ হি.

তৃতীয় প্রকাশনার তৃতীয় সংখ্যার কাজ আল্লাহ্র রহমতে প্রায় গুছিয়ে এসেছে। পাঠকের চিঠি ও লেখাও এসেছে কিছু। তবে...

১৯/৪/৩৯ হি.

পিছনের নয়াদিগন্তের একটা সংখ্যা হাতের কাছে পেলাম। মনে হলো আগে পড়া হয়নি। শিরোনাম হলো, ‘জনগণ অবৈধ সরকারকে উৎখাত করবেই’। প্রথম পৃষ্ঠা থেকে গিয়েছে ১৩-এ। সেখানে গিয়ে দেখি, শিরোনামের অংশবিশেষ, ‘জনগণ অবৈধ (প্রথম প্রষ্ঠার পর)।

যদি এমন করা হতো, জনগণ অবৈধ... তাহলেও কিছুটা রক্ষা হতো। কোন পত্রিকার আভিজাত্যের জন্য এগুলো খুবই দোষের। অল্পসংখ্যায় হলেও রুচিশীল পাঠক রয়েছেন আমাদের সমাজে এবং মূলত তারাই সমাজ নিয়ন্ত্রণ করেন। সুতরাং রুচিশীল পাঠকের কাছে  আভিজাত্য রক্ষা করার বিষয়ে অবশ্যই যতœশীল হওয়া দরকার।

একটা জিনিস দেখেছি, বামপন্থী ও বামঘারানার কাজে যথেষ্ট কুশলতা থাকে। পুরো শরীরে আভিজাত্যের একটা ছাপ থাকে। ডানপন্থী ও ইসলামী ঘারানার কাজে রুচিশীলতার বড় অভাব! উদ্দেশ্যে বিরাট, আয়োজনে ক্ষুদ্র; এটা আসলেই লজ্জার।

ভালোই হলো, প্রথম আলো ( ৬ / ২ / ১৮  খৃ.) একটা শিরোনাম পেলাম ‘বঙ্গবন্ধু চর’ কথাটা কত খারাপ অর্থের হয়ে যেতে পারে! জিয়ার ক্ষেত্রে যেমন তারা ব্যবহার করেন!! আসল ঘটনা হলো, দেশের সবকিছু বঙ্গবন্ধুর নামে হতে হতে একটা চরেরও নাম রাখা হয়েছে বঙ্গবন্ধুচর। ভালো কথা, বঙ্গবন্ধুর নামে চর হতেই পারে। সেক্ষেত্রে চর শব্দটা আলাদা না লিখে একত্রে লেখাই হলো সঙ্গত; নইলে গুরুতর অর্থবিপত্তি ঘটতে পারে!

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা