রজব ১৪৩০ হিঃ (১২)

কিশোর পাতা

চাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট
চাঁদকে মানুষ ভালোবাসে। চাঁদ আছে মানুষের কল্পনায়, গানে, কবিতায়। চাঁদ আছে মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসায়। চাঁদ আছে জীবনের আনন্দে-বেদনায় এবং মিলনে, বিরহে ও শিহরণে। চাঁদের প্রতি মানুষের ভালোবাসা, শুধু তার সৌন্দের্যর জন্য নয়। কারণ চাঁদের চেয়ে সুন্দর অনেক কিছু আছে এই বিশাল প্রকৃতিতে। চাঁদের প্রতি মানুষের ভালোবাসার কারণ, প্রকৃতির মাঝে চাঁদই একমাত্র ‘সুন্দর’ যা হতে পারে সময়ের অতীত ও ভবিষ্যতের মাঝে সেতুবন্ধন! একদিন যারা এই পৃথিবীতে ছিলো, আমার আপনজনেরা, যাদের রক্ত আমার শিরায় প্রবাহিত, এই চাঁদকে তারা দেখেছিলো, চাঁদের আলোতে হেসেছিলো; এই চাঁদকে তারা ভালোবেসেছিলো। চাঁদের আলোতে যেন তাদের সবার মুখের ছবি দেখা যায়। হৃদয় তাদের প্রতি আশ্চর্য এক মমতায় বিগলিত হয় এবং তাদের প্রতি শুভকামনায় ব্যাকুল হয়। এই চাঁদকে আমি আজ দেখছি। একদিন আমি থাকবো না, চাঁদ থাকবে। আর থাকবে আমার আপন জনেরা, যারা আসবে অদূর এবং সুদূর ভবিষ্যতে, যাদের শিরায় প্রবাহিত হবে আমারই রক্ত! তারা চাঁদকে দেখবে, চাঁদের আলোতে হাসবে, তখন হয়ত তারা চাঁদের আয়নায় দেখতে পাবে আমার মুখের ছবি; হয়ত তাদেরও হৃদয় বিগলিত হবে আমার প্রতি শুভ কামনায়। আজ রাতে পূর্ণিমার চাঁদের দিকে তাকিয়ে আমার হৃদয় এ অদ্ভুত অনুভূতিতে আপ্লুত হলো। মনে হলো, এই পূর্ণিমার চাঁদ যেন আমার অস্তিত্বকে ছড়িয়ে দিলো সময়ের অতীতে ও ভবিষ্যতে। আমি যেন দেখতে পেলাম আমার অতীতের আপনজনদের এবং আমার ভবিষ্যতের প্রিয়জনদের। তাই চাঁদের প্রতি অদ্ভূত এক ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতায় সিক্ত হলো আমার হৃদয়।
শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা