যিলক্বদ ১৪৩০হিঃ (১৪)

কিশোর পাতা

কিশোর বন্ধুরা!

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট
সালাম গ্রহণ করো। গত সংখ্যার সম্পাদকীয়টি কি তোমরা পড়েছো? এ সম্পর্কে চিন্তা করেছো? তোমরা যদি এ সম্পর্কে তোমাদের মন্তব্য ও মতামত লিখে পাঠাতে, খুশী হতাম। যাক, সম্পাদকীয়টির শেষ বাক্যটি ছিলো- ‘এভাবে অতীত তোমাকে সমৃদ্ধ করবে, আর ভবিষ্যৎ তোমার কাছ থেকে সমৃদ্ধ হবে।’ সহজ সরল কয়েকটি শব্দের সহজ সরল একটি বাক্য, কিন্তু সারা জীবন মনে রাখার মত মহামূল্যবান একটি বাক্য। আজ এ সম্পর্কেই কিছু বলতে চাই। তার আগে একটি উদাহরণ শোনো। একদিন বেড়াতে গিয়েছিলাম একগ্রামের একবাড়ীতে। উঠানে ছিলো একটি আমগাছ। তখন গাছে আম ছিলো। বড় বড় এবং খুব মিষ্টি। তিনি (বেশ গর্ব করে) বললেন, এগাছটি আমার বাবার হাতে লাগানো। আমার জন্মের আগে লাগিয়েছিলেন। বাবা-এ গাছের আম খেয়ে যেতে পারেননি। যখনই এ গাছের আম খাই বাবার কথা মনে পড়ে, বাবার জন্য দু‘আ আসে। লোকটির কথা খুব ভালো লাগলো। আমিও তো এ গাছের আম খেলাম! তাই দিল থেকে মরহূমের জন্য দু‘আ করলাম, আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতের মিঠা ফল দান করেন। হঠাৎ নযরে পড়লো উঠানের একপাশে একটি আমগাছের চারা। খুব বড় না, আবার খুব ছোট না। আমার কৌতূহল হলো; জিজ্ঞাসা করলাম, এটা কে লাগিয়েছে। তিনি মৃদু হেসে বললেন, ‘ঐ গাছেরই আমের অঁটি; আমি রোপণ করেছিলাম, আমার পরবর্তীদের জন্য।’ আমার মনে হলো, এই মানুষটি অতীত থেকে সমৃদ্ধ হয়েছেন এবং ভবিষ্যতকে সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করছেন। ঘটনাটি মনে পড়ে গেলো, তাই বললাম। আমি আসলে তোমাদের বলতে চেয়েছিলাম, কীভাবে অতীত থেকে সমৃদ্ধ হওয়া যায় এবং কীভাবে ভবিষ্যতকে সমৃদ্ধ করা যায়! আবার সুযোগ হলে সেকথা বলবো ইনশাআল্লাহ।
শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা