জুমাদাল আখেরা ১৪৩১হিঃ (১৬)

কিশোর পাতা

কিশোর বন্ধুরা

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

সালাম গ্রহণ করো। পুষ্পের প্রতি তোমাদের অনুভব-অনুভূতি আমি উপলব্ধি করতে পারি এবং পুষ্পের বিলম্বিত প্রকাশে তোমাদের যে কষ্ট তাও বুঝতে পারি। তবে আমারও কিছু বলার আছে। আমিও চাই, পুষ্পের সঙ্গে তোমাদের নিয়মিত দেখা হোক; চেষ্টার ত্রুটি করি না, তবু তা হয়ে ওঠে না। কিছু কথা কখনো বলিনি, বলা সঙ্গতও মনে করিনি, কিন-তোমাদের অভিযোগ যেভাবে বাড়তে শুরু করেছে তাতে মনে হয়, পুষ্পর শুরু থেকে শেষ, যেভাবে প্রস'ত হয় তা তোমাদের জানা দরকার। পুষ্পের পৃষ্ঠাসংখ্যা এখন চল্লিশ, মানে মাসের হিসাবে প্রতিদিন একপৃষ্ঠার বেশী। পুষ্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অটুট রাখার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নিয়মিত বিভাগের সব লেখা আমাকেই লিখতে হয়, আর যারা কাছে থাকে তারা জানে, প্রতিটি লেখা কতটা সময় দাবী করে। তোমাদের পক্ষ হতে ‘কাঁচামাল’-এর সরবরাহ আছে বলে কাজ অবশ্য কিছুটা সহজ হয়, তবু সেগুলোর সম্পাদনায় দীর্ঘ সময় ব্যয় হয়। তদুপরি অনিবার্য কারণে অক্ষর বিন্যাস ও অঙ্গসজ্জার পুরো কাজ আমাকেই করতে হয় এবং সেটা রাতের পর রাত জেগে, স্বাসে'্যর প্রতি অবিচার করে। তারপর ধরো অন্যান্য লেখার দায়িত্ব আছে। গত সংখ্যার পর ‘এসো কলম মেরামত করি’ প্রস'ত করতে দীর্ঘ সময় লেগেছে। এটা তো তোমাদের জন্যই করেছি। কাজটা না হলে কি ভালো হতো? কিন' তাতে বর্তমান সংখ্যা বিলম্বিত হয়ে গেছে। আরো কিছু দায়িত্ব আছে, স্বাস'্যসমস্যা আছে, ব্যক্তিজীবন আছে। সাধ্যের ভিতরে আমি চেষ্টা করছি, যেন পুষ্পের আগামী দিনের যোগ্য সম্পাদক এখন থেকেই গড়ে ওঠে। আমার কাজ সহজ হয় এবং পুষ্পের ভবিষ্যত নিরাপদ হয়, কিন' ..! পুষ্পকে তোমরা সত্যি যদি ভালোবাসো, তাহলে কেউ না কেউ আগামী দিনের পুষ্পের জন্য নিজেকে প্রস'ত করো। কথার চেয়ে এখন বেশী দরকার কাজ। শিশুরা বোঝবে না, নবীনরা শোনবে না, তো তোমাদের চেয়ে আপন আমার কে আছে বলো! তাই কথাগুলো শুধু তোমাদেরকেই বলা। আশা করি তোমরা বোঝবে। তবে একটি কথা, আমার যা লিখতে লাগে এত দিন, এত অল্পে তোমরা তা পড়ে ফেলো কীভাবে! আমি কিন' বুঝতে পারি না। আমার মনে হয়, কী যে মনে হয় তা আল্লাহই ভালো জানেন!

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা