জুমাদাল আখেরা ১৪৩১হিঃ (১৬)

কিশোর পাতা

বাতাসের প্রতি কৃতজ্ঞতা

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট
আল্লাহর কত অসংখ্য নেয়ামত আমরা ভোগ করি সারা জীবন! কোন্‌ নেয়ামতের কী শোকর আদায় করতে পারে মানুষ! বাতাসের কথাই চিন-া করো। আমাদের জীবনে বাতাস কত বড় নেয়ামত! পানিও অনেক বড় নেয়ামত, তবু পানি ছাড়া কিছু সময় চলে, কিন' বাতাস ছাড়া! বাতাস ছাড়া কি এক মুহূর্ত বেঁচে থাকা সম্ভব! আমাদের চারপাশে বাতাসের অদৃশ্য একটি বেষ্টন আছে বলেই আমরা বুক ভরে শ্বাস গ্রহণ করতে পরি। বেঁচে থাকার জন্য রাজা-প্রজা, আমীর-গরীব, প্রতিমুহূর্তে সবারই সামান প্রয়োজন বাতাসের, তাই আল্লাহ প্রকৃতির মধ্যেই রেখে দিয়েছেন বাতাসের অফুরন- প্রবাহ। এর উপর নেই কোন দেশের কোন রাজার মালিকানা। বাতাস আছে বলেই পাখীরা ডানা মেলে আকাশে ওড়ে, মানুষ আকাশে বিমান ওড়ায়। বাতাস আছে বলেই মেঘেরা আকাশে ভেসে বেড়ায়। যখন যেখানে প্রয়োজন করে বৃষ্টিবর্ষণ। তৃষ্ণার্ত ভূমি ফিরে পায় তার সজীবতা ও প্রাণ। বাতাস আছে বলেই ঋতুবদল হয় এবং বাগানে বসন- আসে, গ্রীস্মের দুপুরে গাছের ছায়ায় আমরা শীতল বাতাস উপভোগ করি। বাতাস আমাদের গা জুড়িয়ে দেয়। বাতাসে ধানের শীষ দোল খায়, তা দেখে আমাদের চোখ জুড়ায়। এখনো বাতাসের সাহায্যে পালতোলা নৌকা দূর দেশে যায়। প্রতিমুহূর্ত ভোগ করি যে নেয়ামত, আমরা কি মনে রাখি তার কথা!
শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা