মুহররম ১৪৩২ হি: (১৮)

কিশোর পাতা

ঘুমের প্রতি কৃতজ্ঞতা

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট
সময়ের অপচয় নিয়ে যখন কথা ওঠে সবার আগে ঘুমের কথা ওঠে। রীতিমত পরিসংখ্যান দিয়ে বলা হয়, ষাট বছরের জীবনে বিশ বছর ঘুমের মধ্যে কেটে যায়। ঘুমের হাতে সময়ের এ বিপুল অপচয় না হলে জীবন আরো সুন্দর হতো! সভ্যতা ও সাহিত্য আরো সমৃদ্ধ হতো! ঘুম কি আসলেই সময়ের অপচয়? রাত এবং রাতের ঘুম, কোরআন তো বলে, মানুষের আরামের জন্য, তাহলে কীভাবে তা হতে পারে অপচয়?! ঘুম আমাদের ক্লানি- দূর করে, ঘুম আমাদের সজীবতা দান করে, ঘুম আমাদের নতুন কর্মোদ্যম দান করে, ঘুম আমাদের... থাক! নব-উদ্দীপনায় ইবাদতে নিমগ্ন হবে, এ চিন-া নিয়ে ঘোমাও, তোমার ঘুম ইবাদত হবে, ঘুমের মধ্যেও তোমার আমলনামা সমৃদ্ধ হবে। ঘুম মানুষের জীবনে অনেক সৌভাগ্য বয়ে আনে। ঘুমের মধ্যে মানুষ জীবনের অনেক জটিল সমস্যার সমাধান লাভ করে, স্বপ্নযোগে। ঘুম এবং ঘুমের স্বপ্নের সঙ্গে রয়েছে নবুয়তের এক কোমল সম্পর্ক। ঘুমের অঙ্গনে স্বপ্নের বাতায়নে কতবার কতজন পেয়ারা নবীর দীদার লাভ করেছে! তাহলে ঘুমের চেয়ে আনন্দের, ঘুমের চেয়ে সৌভাগ্যের আর কী হতে পারে! আমার কথা যদি বলো, আমার কলমের জন্যও রয়েছে ঘুমের অনেক উপহার! ঘুমের মধ্যে একদিন এক আগন'ক আমাকে বলেছিলেন- ‘এ ভুল করো না, এ ফুল ছিঁড়ো না; তিলে তিলে গড়ে উঠুক এ উদ্যান।’ তাই আমার ঘুমের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আকাশের কাছে শুধু এই মিনতি, আমাকে সুন্দর ঘুম দাও, সুন্দর এবং পবিত্র।
শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা