রজব ১৪৩০ হিঃ (১২)

কাশগর ও কায়রো

ইরানে এত সহজ হবে না!

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে দ্রুত আগুয়ান ইরানকে নিয়ে আমেরিকা ও পশ্চিমা শক্তি ভয়ঙ্কর এক খেলায় মেতে উঠেছে। তারা সমপ্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী প্রেসিডেন্ট আহমদি নেজাদ ও তার সরকারকে উৎখাত করতে চায়। এজন্য এমন কোন ঘৃণ্য পন্থা ও কৌশল নেই যা তারা গ্রহণ করছে না। এমনকি সাধারণ কূটনৈতিক শিষ্টাচারেরও পরোয়া নেই তাদের। আহমদি নেজাদের ইরানই এখন একমাত্র মুসলিম দেশ যে, আমেরিকার দম্ভ ও অহঙ্কারের সামনে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। জাতিসঙ্ঘের দীর্ঘস্থায়ী কঠোর অবরোধ এবং বিশ্বশক্তিবর্গের সকল হুমকি-ধমকি উপেক্ষা করে পারমাণবিক শক্তি অর্জনের ন্যায়সঙ্গত অধিকার রক্ষার পথে এখনো ইরান অবিচল রয়েছে। কূটনৈতিক চাল-পাল্টা চালের প্রতিযোগিতায়ও আহমদি নেজাদ এপর্যন্ত অসামান্য দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। পারমাণবিক গবেষণায় ইরান এগিয়ে চলেছে। ইরান বলছে, তার পারমাণবিক গবেষণা সম্পূর্ণরূপে শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে নিবেদিত। কিন্তু আমেরিকা, ইউরোপ ও ইসরাইল মনে করে, ইরান গোপনে পারমাণবিক বোমা তৈরী করছে। সুতরাং যে কোন মূল্যে তা প্রতিহত করতে হবে। সাবেক প্রেসিডেন্ট বুশ ভেবেছিলেন, আমেরিকা, অথবা তার নির্দেশে ইসরাইল বিমান হামলা চালিয়ে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেবে। কিন্তু অল্পদিনেই বুশ বুঝতে পেরেছেন, ইরাক ও আফগানিস্তানে যা সম্ভব হয়েছে, ইরানে তা খুব সহজে সম্ভব হবে না, বরং তাতে শাব্দিক অর্থেই আমেরিকার জন্য কেয়ামতের পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। তাই বুশ একটি গোপন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন, যার উদ্দেশ্য হলো ইরানের অভ্যন্তরে অরাজকতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে আহমাদি নেজাদকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা। স্বয়ং আমেরিকার দায়িত্বশীল মহল থেকে প্রকাশ করা হয়েছে যে, ইরানে অন্তর্ঘাত ও সহিংসতা পরিচালনার জন্য সিআইএ-কে শত শত কোটি ডলার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ইরানের ভিতরে ও বাহিরে মার্কিনপন্থী ইরানীদের মাঝে অর্থবিতরণ ও প্রযুক্তিগত সুবিধা সরবরাহ করার কথাও তারা স্বীকার করেছেন। (এসম্পর্কে রাশিয়ার দৈনিক প্রাভদা ২১.৬.০৯ তারিখে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।) একারণেই পশ্চিমা বিশ্ব ও আমেরিকা ইরানের সামপ্রতিক নির্বচনকে ‘গরম লোহা’ রূপে ব্যবহার করছে। নির্বাচনের আগে এমনকি পশ্চিমা গণমাধ্যম থেকে পরিচালিত প্রতিটি জরিপেই দেখা গেছে, আহমেদি নেজাদই বিপুল ব্যবধানে জয়ী হতে চলেছেন। আমেরিকায় সবচে’ নিরপেক্ষ বলে পরিচিত ‘টেররফ্রি টুমরো’ (সন্ত্রাসমুক্ত আগামী)-এর জরিপের ফল ছিলো আহমদি নেজাদের অনুকূলে ২:১। ওয়াশিংটন পোস্ট ও লন্ডন টাইমস-এর ভবিষ্যদ্বাণীও ছিলো প্রায় অভিন্ন। অন্য এক জরিপে দেখা গেছে ত্রিশটি প্রদেশে মুসাভির কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতাই নেই; এমনকি তার নিজ গোত্র আজেরিদের, প্রতি তিনজনে একজন নেজাদের সমর্থক। আগের নির্বাচনেও নেজাদ অসম্ভব জনপ্রিয় ছিলেন। চারবছরের শাসনকালে তার জনপ্রিয়তা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। পশ্চিমা পর্যবেক্ষদের মতেই এর কারণ হলো, তার ও তার পরিবারের জীবনযাপন খুব সাধারণ। আগেও তার কোন সঞ্চয় ছিলো না, এখনো নেই। অতি সাধারণ একটি পরিবার থেকে তিনি উঠে এসেছেন, আর পুরোনো মডেলের একটি গাড়ি ব্যবহার করেন। সবদিক থেকেই তিনি জনসাধারণের কাছের মানুষ। বিশেষ করে তেল থেকে অর্জিত অর্থে ‘দরিদ্রকল্যাণ কর্মসূচী’ গ্রহণ করে তিনি শহর ও গ্রামের সাধারণ মানুষের হৃদয় জয় করে নিয়েছেন। পক্ষান্তরে মুসাভির জনপ্রিয়তা হলো ধনী, অভিজাত ও সুবিধাভোগী শ্রেণীর মধ্যে। তাছাড়া তিনি আমেরিকা, ইসরাইল ও পশ্চিমা বিশ্বের পছন্দের প্রার্থী বলে পরিচিতি লাভ করেছিলেন। কারণ ইহুদিনিয়ন্ত্রিত বিশ্বমিডিয়া আদাজল খেয়ে মুসাভির পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছিলো এবং এটা তার জন্য বুমেরাং হয়েছিলো। রিগ্যান প্রশাসনের সহকারী অর্থমন্ত্রী এবং বর্তমান সময়ের আলোচিত কলামিস্ট পল ক্রেগ রবার্টস তার সামপ্রতিক এক নিবন্ধে এ প্রসঙ্গে লিখেছেন- ‘স্বাধীন চেতনা থেকে ইরানের নির্বাচনের বিষয়টি ভাবুন। আপনি যদি দেশপ্রেমিক হন, আর আপনার দেশ যদি অব্যাহত হুমকির মুখে থাকে, আর তা যদি হয় দু’টি দাম্ভিক সামরিক শক্তির পক্ষ হতে পারমাণবিক হামলার হুমকি তাহলে কি আপনি দেশের সেরা রক্ষকের পরিবর্তে আমেরিকা ও ইসরাইলের পছন্দের প্রার্থীকে ভোগ দেবেন? আপনি কি বিশ্বাস করেন যে, ইরানের দেশপ্রেমিক জনগণ আমেরিকার পুতুল সরকার কায়েমের জন্য ভোট দেবে?’ নির্বাচনে আহমদি নেজাদ প্রত্যাশা মোতাবেক ভূমিধ্বস বিজয় অর্জন করলেন। আর তখনই আগে থেকে প্রস্তুত সিআইএ, বৃটিশ ও ইসরাইলী গোয়েন্দ সংস্থা পরাজিত প্রার্থী মুসাভিকে ক্রীড়নক বানিয়ে ভয়ঙ্কর খেলায় নেমে পড়লো। ইরানের নির্বাচন কমিশনের প্রধান কামরান দানিশ জাও সরকারি টেলিভিশনে ফলাফল ঘোষণা করে জানালেন- ‘প্রায় সাড়ে চার কোটি ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছে সাড়ে তিন কোটিরও বেশী ভোটার। অর্থাৎ ভোট পড়েছে ৮৫ শতাংশ, যা একটি রেকর্ড। প্রদত্ত ভোট থেকে আহমদি নেজাদ পেয়েছেন দুই কোটি আঠারো লাখ, অর্থাৎ ৬৩ দশমিক ৩ শতাংশ। পক্ষান্তরে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুসাভি পেয়েছেন মাত্র ৩২ শতাংশ। এর পরই শুরু হলো সাজানো খেলা। মুসাভি ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে দাবী জানালেন, কাপচুপির মাধ্যমে তাকে পরাজিত করা হয়েছে। সুতরাং নির্বাচন বাতিল করতে হবে এবং নতুন নির্বাচন দিতে হবে। একবারও তিনি ভেবে দেখলেন না, এমন উদ্ভট দাবী করে পারমাণবিক শক্তি অর্জনের প্রায় দোরগোড়ায় উপনীত দেশকে তিনি নৈরাজ্যের কোন্‌ অতল গহ্বরে নিক্ষেপ করছেন! মুসাভি নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে বলে দাবী করেছেন, আর আমেরিকা ও তার মিত্রবর্গ তা লুফে নিয়ে সম্পূর্ণ অবাধ, নিরপেক্ষ এবং ভোটারদের স্বতঃস্ফুর্ত ও অচিন্তনীয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে সফল একটি নির্বাচনের দিকে সন্দেহের অঙ্গুলি নির্দেশ শুরু করেছে, কিন্তু এপর্যন্ত তারা কোন তথ্য-প্রমাণ পেশ করতে পারেনি। ইরানী নির্বাচনের কারচুপি নিয়ে বিশ্বমিডিয়ায় এমন তোলপাড় চলছে যেন এটাই এখন প্রধানতম আন্তর্জাতিক সমস্যা। অথচ খোদ যুক্তরাষ্ট্রে বুশ ও আলগোরের নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির জ্বলন্ত প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও মার্কিন ও বিশ্বমিডিয়া সেগুলো বেমালুম চেপে গিয়েছিলো। এখানেই একটি বিষয় সামনে আসে যে, একটি দেশের নির্বাচন কি সম্পূর্ণরূপে তার আভ্যন্তরীণ ব্যাপার নয়? এবং নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নির্ধারণ করার একমাত্র অধিকার কি সংশ্লিষ্ট দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষের নয়? ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আলী খামেনি -যিনি সাংবিধানিকভাবে সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী- পরিষ্কার ভাষায় ঘোষণা করেছেন নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে। কোথাও কোন কারচুপি হয়নি। অভিযোগকারী পরাজিত প্রার্থীও কারচুপির কোন প্রমাণ দাখিল করতে পারেননি। দশ বিশ লাখ ভোটের ব্যবধান হলে অভিযোগ বিশ্বাসযোগ্য হতো। এককোটি দশ লাখ ভোট কীভাবে কারচুপি হতে পারে? তারপরো আমেরিকা ও তার মিত্রদের প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে। ওবামা বলছেন কারচুপি হয়েছে বলেই মনে হয়। বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউরোপীয় ইউনিয়নের মন্ত্রীদের এক সভায় বলেছেন, ‘নেজাদের বিজয়ের ব্যাপারে মারাত্মক সন্দেহ রয়েছে।’ আর জার্মানির চ্যান্সেলর সকল কূটনৈতিক শিষ্টাচার বর্জন করে ইরানী রাষ্ট্রদূতকে তলব করে নির্বাচনের ব্যাপারে আরো স্বচ্ছতা দাবী করেছেন। আমাদের প্রশ্ন, একটি দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে এমন নির্লজ্জ হস্তক্ষেপের আইনগত বা নৈতিক কোন প্রকার অধিকার কি আছে অন্য একটি দেশের, যত ক্ষমতাধর ও শক্তিশালী হোক সে দেশ? ওবামা তার কায়রো ভাষণে কী বললেন, আর এখন ইরানের ক্ষেত্রে কী করছেন! মুসাভি শুরু থেকেই নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের পরিবর্তে চরম নাশকতা, সহিংসা ও জ্বালাও পোড়াও-এর পথ বেছে নিয়েছেন। প্রথম তিন চার দিনেই তার উন্মত্ত সমর্থকরা এমন ভয়াবহ তাণ্ডব সৃষ্টি করেছে, যার নযির বিপ্লবোত্তর ইরানের ইতিহাসে নেই। প্রাপ্ত খবরে প্রকাশ, শুরুর কয়েকদিনেই সাতশ’ ভবন ধ্বংস করা হয়েছে, তিনশ ব্যাংক জ্বালানো হয়েছে এবং চারশর বেশী পুলিশ আহত হয়েছে, আর বিশজনের মত সহিংস বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে। পশ্চিমা বিশ্ব চরম আনন্দ-উল্লাসের সাথেই নাশকতা ও সহিংসার সচিত্র খবর ফলাও করে প্রচার করেছে। ইহুদিনিয়ন্ত্রিত বিশ্বমিডিয়া যেখানে মুসাভির পক্ষে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভের ছবি বারবার দেখাচ্ছে সেখানে আহমাদি নেজাদের পক্ষে লক্ষ লক্ষ মানুষের শোভাযাত্রার খবর পর্যন্তউল্লেখ করছে না। যেন তাদেরই পরিচালিত নির্বাচনপূর্ব জরিপগুলো ভোজভাজির মত মিলিয়ে গেছে! ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লা খামেনীর নির্দেশে ইরান সরকার যখন সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে শুরু করেছে তখন এমনকি জাতিসংঘ মহাসচীবও ‘তীব্র নিন্দা’র আশ্রয় নিয়েছেন, অথচ তিনি গাজায় ইসরাইলী পাশবিকতার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে পর্যন্ত রাজী হননি। অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা তেহরানের রাজপথে নিহত তরুণীর ভিডিও চিত্র দেখে ক্রুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন, তিনি বলেছেন, দৃশ্যটি হৃদয়বিদারক। অথচ তিনি গোন্তানামো বন্দিশিবিরের নির্যাতনের ছবিগুলো প্রকাশ করার অনুমতি দেননি এই অজুহাতে যে, তাতে আমেরিকার প্রতি ঘৃণা বেড়ে যাবে। জানতে ইচ্ছে হয়, পাশবিক নির্যাতনের ঐ ছবিগুলো দেখে ওবামার কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিলো! একথা এখন প্রমাণিত সত্য যে, ইরানের নির্বাচনপরবর্তী নাশকতার পিছনে আমেরিকার কালো হাত সক্রিয় রয়েছে এবং মুসাভি বুঝে বা না বুঝে সিআইএ’র ক্রীড়নক হিসাবে কাজ করে যাচ্ছেন। পল ক্রেগ রবার্টস একটি তথ্যসূত্র ব্যবহার করেছেন যাতে বলা হয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেছেমর্মে গোয়েন্দা-প্রমাণ রয়েছে। আরো তথ্য রয়েছে যে, নির্বাচনের পর একটি তথাকথিত সবুজ বিপ্লব অনুষ্ঠানের জন্য সিআইএ ইরানের অভ্যন্তরে প্রায় পঞ্চাশ কোটি ডলার ব্যয় করেছে। পল ক্রেগ রবার্টস তার নিবন্ধের পরিশেষে লিখেছেন, ‘মনে হচেছ পরাজিত প্রার্থী মুসাভির সাহায্য নিয়ে আমেরিকা ইরাকের মত ইরানেও একটি ‘নিপীড়িত জনগণ’ সৃষ্টি করার চেষ্টায় নেমেছে, যাদের মুক্তির জন্য আমেরিকা আবার ত্রাণকর্তার ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে এবং হয়ত মুসাভিকে ইরানের কারজাঈ, বা মালিকীরূপে পছন্দ করে রাখা হয়েছে।’ পরিস্থিতি দৃষ্টে মনে হয় আহমদি নেজাদ পরিস্থিতির উপর মোটামুটি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছেন এবং মুসাভির ভাগ্য বলতে গেলে নির্ধারিত হয়ে গেছে। যদিও আমেরিকা ‘সুবর্ণ সুযোগটি’ কিছুতেই হাতছাড়া করতে চাইবে না। হয়ত খেলার এ পর্যায়ে মুসাভির পরিবর্তে নতুন কোন মুখ সামনে আনার চেষ্টা করা হবে, মুসাভি হয়ত মালিকীর পরিতর্বে ইরানের চালাবিতে পরিণত হবেন। আমেরিকার তাতে কোন মাথাব্যথা নেই। তবে মুসলিম পিতার পুত্র হিসাবে কিছুটা সহানুভূতির সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামাকে আমরা পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দিতে চাই, তিনি যদি এখনো নির্বাচনী কারচুপি নিয়ে খেলতে চান এবং সহিংসতার পালে নতুন করে হাওয়া দিতে চান তাহলে তাকে সেই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হবে আরো ভয়াবহ আকারে যে অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিলেন তারই দলের পূর্বসূরী প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার ইরানে মরুভূমিতে। ইরানে খেলাটা এত সহজ হবে না।

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা