যিলক্বদ ১৪৩০হিঃ (১৪)

কাশগর ও কায়রো

ইরানকে আমেরিকার হুঁশিয়ারি!

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

তেহরানে মার্কিন দূতাবাস দখলের ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট ওবামা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ত্রিশ বছর ধরে ইরানের কাছ থেকে আমরা শুধু বিরোধিতার কথাই শুনছি, কিন্তু এ মুহূর্তে ইরান কোন পথে তার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে সেটা তাকেই স্পষ্ট করতে হবে। মার্কিনপন্থী শাহের পতন ঘটিয়ে ইসলামী বিপ্লবী সরকার ক্ষমতা দখলের পর ১৯৮৯ সালের ৪ঠা নভেম্বর ইরানী ছাত্ররা ইরানবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে মার্কিন দূতাবাস দখল করে নিয়েছিলো। তখন ছাত্ররা ৫২জন মার্কিন কূটনীতিককে ৪৪৪ দিন আটক করে রাখে, যা বিশ্ব কূটনীতির ইতিহাসে বিরল ঘটনা। এমনকি জিম্মী উদ্ধারের মার্কিন কমান্ডো প্রচেষ্টাও শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়। ওবামার ভাষায় ‘শুধু ঐ ঘটনাই দু'দেশের সম্পর্ককে সংঘাতের পথে নিয়ে যায়। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র অতীত ভুলে গিয়ে পারস্পরিক স্বার্থ ও সম্মানবোধের ভিত্তিতে নতুন সম্পর্ক সৃষ্টি করতে চায়। বিবৃতিতে তিনি স্বীকার করেন যে, শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচী পালনের অধিকার ইরানের রয়েছে। আমরা সত্যি বুঝতে অক্ষম যে, ইরান যেখানে বারবার ঘোষণা করেছে যে, তার পরমাণু কর্মসূচী শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যেই নিবেদিত সেখানে তাহলে সমস্যাটা কোথায়? তাছাড়া তিনি যে, দূতাবাস দখলের ঘটনাকেই ঘটনার শুরু বলছেন তারই বা সত্যতা কতটুকু। তাছাড়া এ প্রশ্নও তো উঠে আসবে যে, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের কাছ থেকে শুধু বিরোধিতা পেয়ে আসছে, কিন্তু ইরান আমেরিকা ও সিআইএ-এর কাছ থেকে কী পেয়ে আসছে? সততা, সদিচ্ছা, সহযোগিতা! আমেরিকা কি আসলেই সব ভুলে যেতে চায়? ইসরাইলের পারমাণবিক শক্তি অর্জনের বিষয়টিও? ইরানের পক্ষে কি এত সহজে তা ভোলা সম্ভব? কিংবা একসঙ্গে সত্তরজন সংসদ সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনা?

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা