সফর ১৪৩১ হি:(১৫)

তোমাদের পাতা

আমাকে

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

আমি যখন হারিয়ে ফেলি আমাকে, আকাশের দিকে তাকিয়ে চাঁদকে বলি, তুমি কি দেখেছো আমাকে? বলতে পারো, কোথায় পাবো আমাকে? একটু খুঁজে দাও না আমাকে?

চাঁদ মিষ্টি হাসে। সে হাসিতে জোসনা ঝরে। জোসনাঝরা হাসি উপহার দিয়ে চাঁদ আমাকে বলে, আগে বলো, আমাকে খুঁজে পেলে কীভাবে? আলো দেখে! তাহলে তুমি যদি খুঁজে পেতে চাও তোমাকে, একটু আলো গ্রহণ করো, তাদের কাছ থেকে যাদের কাছে আলো আছে, জ্ঞানের আলো, চিন্তার আলো এবং পবিত্রতার আলো। আলো নিভিয়ে অন্ধকারে কেউ কিছু খুঁজে পায় কখনো!

আর তুমি নিজেই যদি হতে পারো আলোকিত সত্তা তাহলে তো নিজেকে হারিয়ে ফেলা পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ তোমার আলোতেই খুঁজে পাবে নিজেকে। আর তুমি নিজে! হারাবে না কখনো। আলো কি হারিয়ে যায় কখনো! আলো কি খুঁজতে যায় নিজেকে কখনো!

আমি যখন হারিয়ে ফেলি আমাকে, বাগানে গিয়ে ফুটে থাকা ফুলগুলোকে  বলি, তোমরা কি দেখেছো আমাকে? বলতে পারো, কোথায় পাবো আমাকে? একটু খুঁজে দাও না আমাকে?

ফুলেরা মিষ্টি করে হাসে। চাঁদের হাসিতে আলো থাকে, ফুলের হাসিতে সুবাস থাকে। ফুলেরা সুবাস ছড়ানো হাসি উপহার দিয়ে আমাকে বলে, আগে বলো, আমাদের তুমি খুঁজে পেলে কিভাবে? সুবাস দিয়ে! তাহলে তুমি যদি খুঁজে পেতে চাও তোমাকে, গ্রহণ করো একটু সুবাস, তাদের কাছ থেকে যাদের কাছে সুবাস আছে, জ্ঞানের সুবাস, চিন্তার সুবাস এবং পবিত্রতার সুবাস। সুবাসের মাঝেই তুমি খুঁজে পাবে তোমাকে।

আর তুমি নিজেই যদি হতে পারো সুবাসিত সত্তা তাহলে তো নিজেকে হারিয়ে ফেলা পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ তোমার সুবাসেই খুঁজে পাবে নিজেকে। আর তুমি নিজে! হারাবে না কখনো। সুবাস কি হারিয়ে যায় কখনো! সুবাস কি খুঁজতে যায় নিজেকে কখনো!

এমন সময় প্রতিটি সৃষ্টির আড়াল থেকে ভেসে এলো মমতাসিক্ত একটি বাণী- তুমি তো লুকিয়ে আছো তোমার নিজেরই ভিতরে! সেই ‘তুমি’ ব্যাকুল প্রতীক্ষায় আছে তোমার! 

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা