মুহাররম ১৪৪৫ হিঃ

তোমাদের পাতা

পাশবিকতা ও প্রতিবাদ

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

লজ্জা তো আগেই বিদায় নিয়েছে, বিশ্বমোড়ল এবং তাদের অনুগত বিশ্বমিডিয়ার আচরণ থেকে মনে হয় চক্ষুলজ্জাও এখন বিদায় নিয়েছে। এখন তো রীতিমত পাশবিকতা ও হিংস্রতা শুরু হয়েছে। ফ্রান্সসহ ইউরোপে মসজিদে হামলা এবং মুসলিমনিধনের ঘটনাও এখন পুরোনো।

সম্প্রতি সুইডেনে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় কোরআন ‘অবমাননার’ রীতিমত নারকীয় উল্লাস চলছে, তার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। সভ্যবিশ্বে কোন জাতির  ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা নাকি গুরুতর অপরাধ। অথচ তথাকথিত মানবাধিকারের নামে মুসলিম উম্মাহর প্রাণপ্রিয় ধর্মগ্রন্থ আলকোরআনের অবমাননাকে রাষ্টীয় বৈধতা দেয়া হয়েছে! মুসলিম উম্মাহর ধৈর্যের আর কত পরীক্ষা নেবে পশ্চিমাশক্তি!

মুসলিমবিশ্বে পক্ষ হতে ‘কার্যকর’ প্রতিবাদ কোথায়! আমরা সহিংস প্রতিবাদের কথা বলছি না, কার্যকর প্রতিবাদের কথা বলছি। এরদোগান যদ্দুর পেরেছেন করেছেন, তিনি একা আর কত দূর যেতে পারেন!সম্প্রতি সুইডেনপ্রবাসী এক মুসলিম অভিনব পন্থায় প্রতিবাদ করেছেন, যা আমাদের কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে। তিনি ইহুদি-খৃস্টানদের ধর্মগ্রন্থ হাতে নিয়ে জনসমক্ষে বলেছেন, ‘তোমরা যা করেছো আমি তা করার অনুমতি পেয়েছি, কিন্তু করবো না।’ আশা করি, অমুসলিমরা এ থেকে শিক্ষা নেবে।

পুনশ্চঃ কোরআনের সঙ্গে ‘পোড়ানো’ শব্দের ব্যবহার অসম্মানজনক মনে হয়। বড়জোর বলা যায় ‘অগ্নিসংযোগ’, আমরা ব্যবহার করেছি ‘অবমাননা’।  ১৭/১/৪৫ হি. ৫/৮/২০২৩ খৃ

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা