মুহররম ১৪৩২ হি: (১৮)

তোমাদের পাতা

তোমাকে

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

 


কী বলবো তোমাকে?! কীভাবে বলবো?! তুমি যে শুনতে চাও না! তুমি যে বুঝতে চাও না! 

অবুঝ ভেবে কত দিন কতভাবে বুঝিয়েছি তোমাকে! ফুলের কোমলতা, আলোর স্নিগ্ধতা এবং মমতার পরশ বুলিয়ে কত কথা বলেছি তোমাকে; তবু তুমি শুনলে না! হায়, তবু তুমি বুঝলে না!  

জীবনে এখন আশার আলো নিভে আসছে এবং নেমে আসছে হতাশার আঁধার। এখন তোমাকে আর কিছু বলার নেই আমার! শুধু কামনা করি, জীবন সুন্দর হোক তোমার। 

জীবনে যখন আলো ছিলো, জোসনা ছিলো; প্রাণ ছিলো, সজীবতা ছিলো তখন ভেবেছি, মায়া দিয়ে, মমতা দিয়ে, সেবা ও ভালোবাসা দিয়ে পারবো জয় করতে তোমার হৃদয়। হৃদয়ের উত্তাপে কঠিন হৃদয়ও তো গলে, গলতে পারে!

এখন জীবনের সন্ধ্যাদিগন্তে সূর্যের অস্তকালে বুঝেছি একটি সত্য, কৃতজ্ঞতা একটি স্বর্গীয় পবিত্রতা; সব হৃদয়ে থাকে না তা। কোমল ও পবিত্র হৃদয় শুধু পারে কৃতজ্ঞতা লালন করতে এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে।

কেউ যদি বলতো তোমাকে, এমন কেউ যাকে তুমি বিশ্বাস করো, যদি বলতো, কৃতজ্ঞতা না হোক, কর্তব্য রক্ষা করো। যদি বলতো, আলো ছেড়ে যেয়ো না অন্ধকারের দিকে! মরুদ্যান ছেড়ে যেয়ো না মরুভূমি ও মরীচিকার দিকে! যদি বলতো! তোমার জীবনে আছে কেউ?! জীবনের পিচ্ছিল পথে প্রয়োজন আছে এমন মানুষের সঙ্গ লাভের।

এখনো এমন করে কেন চাই তোমাকে? আমার দুর্বলতা! তোমার যোগ্যতা! শুধু স্বপ্নের আকুতি। জীবনের উদ্যানে এখনো আমি চাই কিছু স্বপ্নের ফুল ফোটাতে! কিন্তু হায়! পৃথিবীতে সব আছে; হিরা, মণি-মুক্তা, আলো, বাতাস এবং মানুষ; নেই শুধু কাজের মানুষ।

 

 

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা