রজব ১৪৩৯ হিঃ (৩/৩)

এসো কলম মেরামত করি

এসো কলম মেরামত করি

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

এ যুগে অস্ত্রের যুদ্ধ যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি গুরুত্বপূর্ণ কলমের যুদ্ধ। সৈনিকের জন্য অস্ত্রের প্রশিক্ষণ, আর লেখকের জন্য কলমের প্রশিক্ষণ একই রকম অপরিহার্য।

প্রিয় পাঠক! কম তো নয়, দীর্ঘ সাতবছর পর এই আসরে তোমাদের সঙ্গে আবার দেখা! তোমাদের সঙ্গে মানে, আগের তোমরা কে কোথায় আছো, কী অবস্থায় আছো কিছুই তো জানি না! হয়ত এর মধ্যে অনেক নতুন মুখ এসেছে। তাদের স্বাগত জানাতে হবে, পরিচয় গড়ে তুলতে হবে। পুরোনোদের খোঁজখবর নিতে হবে। তারপরই না শুরু হতে পারে এই আসরের মূল আলোচনা, ‘কলমের মেরামত’!

কিন্তু শুরু করতে গিয়ে দেখি, আগের সেই ছন্দটা আর ফিরে আসছে না। এখন সত্যি আফসোস করি! কত ভালো হতো যদি পুষ্পের প্রকাশনা অব্যাহত থাকতো! যদি তোমাদের সঙ্গে মিলে আমাদের সবার কলম মেরামতের কাজটা একই ভাবে জারি থাকতো!

আল্লাহর যা ইচ্ছা, তাই হয়েছে। চলো, অতীতের জন্য আফসোস না করে নতুন প্রতিজ্ঞায় নতুন করে আবার যাত্রা শুরু করি।

***

পুষ্প তো বন্ধ ছিলো! তবে আল্লাহর রহমতে আমার চিন্তা বন্ধ ছিলো না এবং বন্ধ ছিলো না কলমের লেখা। তোমাদের কথা সবসময় ভাবতে চেষ্টা করেছি। তেমাদের জন্য কিছু না কিছু লিখতে চেষ্টা করেছি। ভেবেছি, আল্লাহর ইচ্ছায় একদিন না একদিন পুষ্প তো ফিরে আসবে আমাদের জীবনে। তখন না হয় এ লেখাগুলো তোমাদের সামনে পরিবেশন করবো ‘হারানো দিনের উপহার’ বলে!

সেখানেও আছে কিছু কষ্ট! কিছু দুর্ঘটনা!! আমার চিরকালের দুর্বলতা এই যে, নিজের কাগজপত্র নিজে গুছিয়ে রাখতে পারি না। ছাপার অক্ষরে যদি না আসে, যতেœর অভাবে অনেক মূল্যবান লেখা হারিয়ে যায়। এবারও তাই হয়েছে। রম্যরচনার লেখাগুলো হারিয়ে আবার, আল্লাহর শোকর, ফিরে পেয়েছি! ‘এসো কলম মেরামত করি’-এর লেখাগুলো সেই যে গায়েব হলো, আর পেলাম না। বেশ মূল্যবান লেখা ছিলো। অবশ্য বড়শি থেকে ফসকে যাওয়া মাছটা নাকি বড়ই হয়!

যাক, অনেক তালাশ করার পর একটা লেখা পেলাম। প্রায় পাঁচ বছর আগে লিখে রেখেছি তোমাদের জন্য, যদি কখনো দেখা হয়, তোমাদের উপহার দেবো, আর যদি তার আগেই এসে যায় বিদায়ের সময় তাহলে তো ...

সেই লেখাটি এখন বতর্মান সংখ্যায় তোমাদের উপহার দিলাম। লেখাটি অবশ্য পূর্ণাঙ্গ কিছু ছিলো না। হালকা একটা খসড়া বা রূপরেখা এঁকে রেখেছিলাম। এখন সেটাকে সাজিয়ে গুছিয়ে পূর্ণাঙ্গ রূপ দেয়ার চেষ্টা করেছি। নাও, ইচ্ছে হয় পড়ো, ইচ্ছে হয় পাঠ করো, আর ইচ্ছে হয় অধ্যয়ন করো। মাঝখান থেকে আমি বিদায় নিচ্ছি আবার আগামী সংখ্যার জন্য, ইনশাআল্লাহ।

***

তরুণদের মধ্যে এখন লেখক অনেক। বলা হয়, সবাই দু’হাতে লিখছে। অবাক হয়ে ভাবি, কীভাবে তা সম্ভব?! আমার তো চুলদাড়ি পেকে এলো, এখনো এক হাতেই লেখা হলো না। মাত্র দু’টি আঙ্গুলে অল্পসামান্য লিখে যাই গারীবানা হালতে। লিখে সেই লেখাটি ভুলে যাওয়া, এখন তরুণ লেখকদের. বলা যায়, বৈশিষ্ট্য। একটা লেখা থেকে ফারেগ হওয়া মাত্র নতুন লেখা এবং লেখার তাগাদা হাযির! আগের কোন লেখার দিকে ফিরে তাকাবার ফুরসত বড় একটা হয় না। অন্যদের কথা তেমন জানি না, আমার ছাত্রদের তো এ অবস্থাই দেখি, শুনি! সেদিন আমার এক ছাত্রের অনূদিত বই হাতে পেলাম। ওরা নিজেরা আমাকে দেয় না। না দেয়ার যুক্তিসঙ্গত কারণ অবশ্য আছে! মুফতে অনেক তিরস্কার শুনতে হয়! যাক, খবর পেলে আমি নিজেই সংগ্রহ করি, দেখি, কার লেখার কী অবস্থা?!

সংগ্রহ করি কোত্থেকে? এখানেও বিড়ম্বনা! বলতে হয় বাজার থেকে!! এটা অবশ্য তরুণদের দোষ নয়, পিছন থেকেই চলে আসছে। আমার রুচিতে বড় বাঁধে। যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করি, বাজার, মার্কেট, বেচা-কেনা, এজাতীয় স্থূল ও সওদাগরি শব্দগুলো। বই তো মাছগোশত নয়, নয় কাপড়চোপড়, ঘড়ি, চশমা এবং ...!! 

হতে পারে, আমার কোন লেখায়ও এরূপ কোন শব্দ এসে যায়! তবে চেষ্টা করি।

এরকম আরেকটা শব্দ আছে, ‘পাঠক এ লেখা খাবে না/গিলবে না। এক প্রকাশক বলছেন, আমরা চেষ্টার ত্রুটি করছি না, কিন্তু ক্রেতাকে যদি খাওয়াতে না পারি, কী করবো?! হাসতে হাসতে বললাম, কেন ‘লবণ-মরিচ’-এর পরিমাণ বাড়িয়ে দেন!

তাই করা হচ্ছে। প্রকাশকের পক্ষ হতে লবণ মরিচ হচ্ছে প্রচ্ছদ! শিল্পগুণ যাই হোক, বাহারটা হয় দেখার মত! আরেকটা লবণ-মরিচ হচ্ছে, ‘প্রকাশকের পক্ষ হতে তরুণ লেখকের জন্য এই সনদ ‘এর পর তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। লিখে যাচ্ছেন দু’হাতে সমানে।’ ‘এ বয়সেই লেখালেখির হাতটি বেশ পরিপক্ব হয়ে উঠেছে। রীতিমত বিপ্লব নিয়ে এসেছেন লেখার জগতে ...!’ এগুলো লেখা থাকে কখনো ‘প্রকাশকের কথায়’ কখনো বইয়ের ‘জ্যাকেট’ এ প্রথমে ও শেষে। আমার এক ছাত্রের এরকম একটা বই-এর জ্যাকেটে দেখলাম শেষ বাক্যটি হচ্ছে, ‘ব্যক্তিগত জীবনে তিনি তিন সন্তানের জনক...!’ আমাদের জীবনে এগুলোর সঙ্গে পরিচয় ছিলো না, এখনো নেই। ইচ্ছেও হয় না। আমার মনে হয় তরুণদের জন্য এগুলো হচ্ছে পথের বাধা। বলতে কষ্ট হয়, তবু এটাই তিক্ত সত্য যে, লেখার সঙ্গে লেখকের সম্পর্ক এখন প্রায় পুরোটা বৈষয়িক।

বলছিলাম, এখনকার তরুণেরা লেখার পর লেখার সঙ্গ ত্যাগ করে খুব তাড়াতাড়ি। লেখাটা যেই শেষ হলো, লেখার সঙ্গে সম্পর্কটাও শেষ হয়ে গেলো; যেন মা-পাখী ও তার ছানা!

লেখার সঙ্গে আমার সম্পর্কটি কখনো এমন ছিলো না, এখনো না। লেখার সঙ্গে আমার সম্পর্ক যেন মানবী মা ও তার সন্তান!

একটি লেখা সমাপ্ত হওয়ার পর, তখনই আমি লেখাটির সঙ্গ ত্যাগ করি না। দীর্ঘ সময় লেখাটিকে সঙ্গ দান করি, যতেœর সঙ্গে, মমতার সঙ্গে! যতদূর সম্ভব চেষ্টা করে যাই লেখাটির অবয়ব, কাঠামো, বিন্যাস ও ভাষা সুন্দর থেকে সুন্দর করার। ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হওয়ার পরো সময়-সুযোগ বের করে পিছনের লেখাকেও সঙ্গ দেয়ার চেষ্টা করি;

ইতিহাসের কাঠগড়ায় ... বইটি কত আগের লেখা!! আমি যখন নূরিয়ায় তখনকার!! ছাপা হওয়ার পরো বিভিন্ন সংস্করণের সময় যতেœর সঙ্গে আবার দেখেছি। তারপরো দেখা বন্ধ হয়নি। এই সেদিন আবার পড়লাম। হঠাৎ নযরে পড়লো ত্রুটিটা! আর জিহ্বার আগায় কামড়!! ‘মওদূদীর অপবাদ, আমাদের জবাব’, কেমন হলো! কত সুন্দর হতো যদি লিখতাম, ‘মওদূদীর অপবাদ, আমাদের প্রতিবাদ’!

তো বলছিলাম, নিজের লেখার সঙ্গ ত্যাগ করা ঠিক নয়। আর লেখার সঙ্গে সম্পর্কটা হওয়া দরকার মায়া-মমতার, ‘বাণিজ্য ও মুনাফার নয়’।

***

‘দু’হাতে লেখা’ থেকে মনে পড়লো, এই বুড়ো বয়সে আমিও কিন্তু আগের মত নেই। আমিও শুরু করেছি দু’হাতে লিখতে এবং প্রায় সবক’টি আঙুল ব্যবহার করে! কম্পিউটারের এটাই নিয়ম তো! তবে এখানেও আমি কিছু ‘আদাব’ রক্ষা করি, যা লিখে প্রকাশ করা সঙ্গত মনে হয় না। কখনো যদি তেমন কারো দেখা পাই সামনে বসিয়ে না হয় বলবো।

অনেক দূর চলে এসেছি; ফিরে যাই আগের কথায়। আমার ছাত্রের সদ্যপ্রকাশিত বইটি হাতে পেলাম। প্রচ্ছদ, চমৎকার! ভিতরে! কষ্ট পাওয়ার মত অবস্থা। কয়েক দিন পর দেখা। জিজ্ঞাসা করলাম, বইটি কত দিনে তরজমা করেছো!

হুযূর, ব্যস্ততা তো অনেক বেড়ে গিয়েছে। তেমন সময় করে বসতে পারি না। ষোল সতের দিন লেগেছে।

 বলো কি, এতটা সময় তো আমার লেগে যায়, বইটা পড়ে পরিচয় ও অন্তরঙ্গতা তৈরী করে লেখা শুরু করার জন্য প্রস্তুত হতেই! নাহ, তোমরা পারো বটে! কিন্তু তুমি তো বলতে, ‘আমি এমন সাহিত্যিক হতে চাই...!’ এটা তো সাহিত্যিক হওয়ার পথ নয়! এমনকি লেখক হওয়ারও পথ নয়!

দেখলাম, বেচারা ওঠার জন্য উসখুস শুরু করে দিয়েছে। আমিও অল্পতেই ছেড়ে দিলাম। বেচারা হয়ত সহজে আর আসবে না। কিন্তু আমি যে ওদের কল্যাণের জন্যই বলি!

যাই হোক, বইটির এক স্থানে লেখা হয়েছে ‘তার মনমাতানো সব লেখা তরুণ প্রজন্মকে চিন্তার খোরাক যোগায়’।

এটা কেন হয়েছে?! লেখার প্রতি যতœ ও মমতার অভাবের কারণে। লেখাটি সম্পন্ন হওয়ার পর পর্যপ্ত সময় ও সঙ্গ না দেয়ার কারণে।

প্রথম দফায় লেখার টানে যে কোন শব্দ এসে যেতে পারে। পরবর্তী পর্যায়ের পর্যাপ্ত কাটাচেরা/সম্পাদনা/ঘষামাজা/ পরিচর্যা হতে থাকলে লেখার ত্রুটি কমে আসে এবং মোটামুটি একটা গ্রহণযোগ্য চেহারা লাভ করে। মনমাতানো শব্দটি সম্পর্কে চিন্তা করার প্রয়োজন ছিলো যে, এখানে এর প্রয়োগ ও ব্যবহার ঠিক আছে কি না। আমাকে জানতে হবে এর সঠিক ব্যবহার-ক্ষেত্র কী? এটি সাধারণত হালকা ও লঘু বিষয়ে ব্যবহৃত শব্দ। যেমন মনমাতানো বেটিং/বোলিং/খেলা/গান/নাচ ইত্যাদি।

লেখার সঙ্গে এ শব্দের ব্যবহার রীতিমত অনাচার। মনমাতানো লেখা/বয়ান/ আলোচনা/পর্যালোচনা/ভাষণ, এগুলো খুবই পীড়াদায়ক।

তিনি আরো লিখেছেন, ‘এমন বড় মাপের লেখক চিন্তাবিদ...

‘বড় মাপের’ কথাটার সাধারণ ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। কিন্তু সংবেদনশীল ক্ষেত্রে এবং স্মরণীয় বরণীয় কোন  ব্যক্তিত্বের ক্ষেত্রে এরূপ ব্যবহার লঘুতা সৃষ্টি করে। ‘এমন উচ্চস্তরের’ লিখলেই ঠিক হয়। ‘বড় মাপের খেলোয়াড়’ সুন্দর! ‘বড় মাপের বুযুর্গ’ ছি!

আরেকজন, তিনিও আমার ছাত্র, লেখার অঙ্গনে এখন ‘প্রবীণতা’ অর্জন করে ফেলেছেন, লিখেছেন, ‘ছোটদের জন্য লিখতে হলে আগে নিজে ছোট হওয়া লাগে।’

করা লাগবে, যাওয়া লাগবে, আসা লাগবে, এগুলো ছোঁয়াচে রোগের মত ছড়িয়ে পড়েছে লেখকদের কলম থেকে কলমে। করতে হবে, যেতে হবে, আসতে হবে, এটাই ছিলো এতদিনের ব্যবহার। হঠাৎই শুরু হয়েছে এই নতুন উপদ্রব! ‘ছোটদের জন্য লিখতে হলে, নিজে আগে ছোট হতে হবে’। ‘হওয়া লাগবে’, আর ‘হতে হবে’ এর পার্থক্য বোঝার চেষ্টা করুন।

সাড়া ফেলা, আর সাড়া জাগানো এক জিনিস নয়। উল্লাস ও হৈচৈজাতীয় বিষয় হলে বলা যায়, সাড়া ফেলেছে। যেমন নতুন সার্কাস/যাত্রাদল/ফিল্ম এলাকায় সাড়া ফেলে দিয়েছে। পক্ষান্তরে কিতাবটি পাঠকমহলে বেশ সাড়া জাগিয়েছে। এধরনের শব্দচয়নে যথেষ্ট রুচিশীলতা ও চিন্তামনস্কতা অর্জন করতে হবে। আফসোস, এ সমস্ত বিষয়ে মেহনত ও চেষ্টাসাধনা ছাড়াই আমরা ‘দু’হাতে লিখে যাচ্ছি, আর চারহাতে ....!!

ফল এই দাঁড়াচ্ছে যে, দশবছর আগে যে স্থানে ছিলো, দীর্ঘ দশবছরের চড়াই উৎরাই পাড়ি দেয়ার পরো দেখা যায়, একই স্থানে দাঁড়িয়ে আছে। লেখার চিত্রে ও চরিত্রে গুণগত কোন পারিবর্তন ঘটেনি। আসলে তো প্রত্যেক লেখকেরই কর্তব্য, লেখার মঞ্চে আত্মপ্রকাশ করার পূর্বে এতটা প্রস্তুতি সেরে নেয়া যাতে পড়ার সময় পাঠকের মনে হয়, তিনি পথ সম্পর্কে অভিজ্ঞ একজন মুসাফিরের সফরসঙ্গী হয়েছেন।

একটা অনুরোধ জানিয়ে এবারের জন্য বিদায় নেবো, ‘উঁকি মারা এবং উঁকি দেয়া এ দুইয়ের আভিজাত্যের যে পার্থক্য তা বোঝা দরকার, খুবই দরকার!! আভিজাত্য ছাড়া আমাদের খেলা ও লেখা খোঁড়াতেই থাকবে, এখন যেমন হচ্ছে!

 

দু’টি শব্দের

যুক্ত ও বিযুক্ত ব্যবহার

দু’টি শব্দের যুক্ত ও বিযুক্ত ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা পিছনে যথেষ্ট পরিমাণেই হয়েছে। এখানে আরো কিছু আলোচনা পেশ করছি। আসলে বিষয়টি এমনই ব্যাপক ও বিস্তৃত যে, কয়েক মজলিসে সম্পূর্ণ হওয়ার মত নয়। শিরোনামের সঙ্গে মিল রেখে ‘যুক্ত’ শব্দটি দিয়েই শুরু করি; ‘এই কাজটিতে আগে থেকেই কিছু ত্রুটি ছিলো, এখন নতুন একটি ত্রুটি যুক্ত হয়েছে। এখানে ত্রুটি ও যুক্ত আলাদা হবে। পক্ষান্তরে ‘ত্রুটিযুক্ত কাজ করার চেয়ে না করাই ভালো।’ এখানে  ত্রুটিযুক্ত একত্রে হবে। কারণ ত্রুটি ও যুক্ত মিলে কাজ এর ছিফাত হয়েছে।

চিঠির শেষে নিজের স্বাক্ষর যুক্ত করা কর্তব্য। সভাপতির স্বাক্ষরযুক্ত চিঠি পেয়েছি।

যুক্ত শব্দ ও শব্দযুক্ত, দেখুন কখন আলাদা, কখন একসঙ্গে! যুক্ত শব্দের অধিক ব্যবহার জিহ্বার জন্য উচ্চারণকে ভারাক্রান্ত করে ফেলে। ‘ক্ষ’ এটি যুক্ত বর্ণ, ক ও ষ মিলে গঠিত হয়েছে। ক্ষমা, সক্ষম, রুক্ষ, এগুলো ক্ষ-যুক্ত শব্দ। কঠিন যুক্ত বর্ণ ব্যবহার না করাই ভালো। কঠিন শব্দযুক্ত বাক্য আবেদন সৃষ্টি করতে পারে না।

মুক্ত পরিবেশে চিন্তামুক্ত জীবন যাপন করা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। দেশের মুক্তির জন্য আমাদের এ লড়াই। নেতার কারামুক্তির জন্য আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই। মুক্তিদিবস তো পালন করছি, কিন্তু প্রকৃত মুক্তি কি অর্জন করতে পেরেছি?! শিক্ষককে ভক্তি করো। শিক্ষকভক্তি জীবনে উন্নতি লাভের সোপান।

বইটির প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় খণ্ড আমি পড়েছি। প্রস্তরখণ্ড।

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা