মুহররম.১৪৪০হিঃ (৩/৬)

তোমাদের পাতা

দেশ ও সমাজের দিনলিপি

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

ইতিহাসের শুরু থেকেই দেখা যায়, বড় বড় দাবানল জ্বলে ওঠার জন্য আগুনের একটি ফুলকিই যথেষ্ট। আর সেই দাবানল রাজা  ও রাজ্য এবং রাজার মুকুট ও সিংহাসন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে সারখার করে ফেলে। আগুনের সেই ফুলকিটি হতে পারে তুচ্ছ থেকে তুচ্ছ কোন ঘটনা। কৃষকের পিঠে রাজার একটি চাবুক, কিংবা প্রজার প্রতি সামান্য ঘৃণা। কিন্তু ইতিহাসে শিক্ষা হলো ..... রোববার, ২৯/০৭/৩৪ হি. ০৯/০৬/১৩ খৃ.সিটি নির্বাচন বেশ জমে উঠেছে। বিএনপিকে বাধ্য হয়েই আন্দোলন থামিয়ে নির্বাচনমুখী হতে হয়েছে, জনপ্রিয়তা প্রমাণ করা, কিংবা আওয়ামী লীগের ভোটজালিয়াতি হাতে কলমে প্রমাণ করার জন্য। আমি মনে করি, বিএনপি ঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছে, যদিও গয়েশ্বর রায় ভিন্ন কথা বলছেন।হেফাযত আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফী বলেছেন, এ দেশের কিছু ইসলামবিদ্বেষী মানুষ বলেন, আলেমরা রাজনীতি বোঝেন না। ঐ মানুষগুলো মূলত অজ্ঞ। তারা জানেন না যে, ইসলামের প্রত্যেক বিধিবিধানের মধ্যে রাজনীতি রয়েছে, আর আমরা এসব বিধিবিধান সর্বত্রই চর্চা করি। জীবনে ইসলামের বিধিবিধান পরিপূর্ণ মানাই হলো মুসলিমের রাজনীতি।(প্রতিপক্ষ কিন্তু বলেনি, আলেমরা রাজনীতি করেন না। তারা বলছে, না বোঝার কথা। সেটা বোধহয় কিছুটা ঠিক।)সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, যিনি সংবিধান সংশোধন কমিটির প্রধানরূপে সংবিধান থেকে ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপর আস্থা’ বাক্যটি তুলে দিয়েছেন, তারপর দুনীর্তির দায়ে মন্ত্রিত্ব হারিয়ে এখন দফতর -বিহীন হয়ে বহাল তবিয়তে আছেন, তিনি গতকাল চরম ধৃষ্টতা প্রদর্শন করে বলেছেন, হেফাযতে ইসলাম ৫ই মে মধ্যরাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে পিটুনি খেয়ে সুবহানাল্লাহ সুবহানাল্লাহ বলে শাপলা চত্বর থেকে পালিয়েছে। সোমবার, ৩০/০৭/৩৪ হি. ১০/০৬/১৩ খৃ.ভোট কেনার জন্য এখন পাড়ায় মহল্লায় ও বস্তিতে টাকা ছড়ানো হচ্ছে। প্রলোভন ও হুমকি, দু’টোই এখন দেয়া হচ্ছে ভোটারদের। যুগান্তর খবরটা ছেপেছে, কিন্তু বলেনি, কাজটা কারা করছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে কারা ক্ষমতা রাখে হুমকি দেয়ার এবং টাকা ছিটানোর? একটি পক্ষ তো স্বাভাবিক নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে গিয়েই নাজেহাল! বিরোধী দলীয় প্রার্থীরা সেনা মোতায়েনের দাবী জানিয়েছিলেন সঙ্গত কারণেই, কিন্তু সিইসি বলে দিয়েছেন, প্রয়োজন নেই।কিশোরগঞ্জ-৪ উপনির্বাচনে রাষ্ট্রপতির ছেলে একমাত্র প্রার্থী। সুতরাং পাস! আমার মনে হয়, আগামী জাতীয় নির্বাচন কেমন হতে যাচ্ছে তারই একটি নমুনা জাতির সামনে এসে গেছে। কামনা করি, আমার আশঙ্কা যেন অসত্য হয়।দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী জাতীয় নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা দু’দিন আগে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আগামী মাসে তিনি ৯৫ বছরে পা রাখতে যাচ্ছেন। সমগ্র দক্ষিণ আফ্রিকায় তার অসুস্থতার খবরে বিষণœতা বিরাজ করছে এবং গোটা জাতি তার আরোগ্য কামনায় প্রার্থনা করে যাচ্ছে। তিনিও রাজনীতি করেছেন, ক্ষমতায় ছিলেন। কিন্তু এখানে মনে হয়, যে কোন মূল্যে ক্ষমতায় থাকাটাই হচ্ছে একমাত্র লক্ষ্য, মানুষের ঘৃণা-ভালোবাসা কোন বিষয় না। কত পার্থক্য দু’টি মানসিকতায়!জামায়াতে ইসলামী গণগ্রেফতার ও গণনির্যাতন বন্ধ এবং নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে আজ সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করছে। ওরা পারে বটে!ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ৯ বছরের বিদেশ সফরে শুধু বিমানভাড়া বাবদ ৬৪২ কোটি ৪৫ লাখ রুপি রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে ব্যয় করেছেন। তথ্য অধিকার আইনের নতুন বাধ্যবাধকতার কারণে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে এ হিসাব প্রকাশ করা হয়। উল্লেখ্য ভারতে প্রতিবছর শুধু খাজনা পরিশোধে অক্ষমতার কারণে শত শত কৃষক আত্মহত্যা করে থাকে। আমাদের দেশের অবস্থা ...!পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ প্রতিবাদ করেই যাচ্ছেন ড্রোন হামলার বিরুদ্ধে, কিন্তু কাজ হচ্ছে না, হবে বলে মনেও হয় না। দুর্বলের দাবীই বা কী, আর প্রতিবাদই বা কী! শুধু শুধু মুরুব্বিকে চটানো!আদর্শবাদী, মুসলিম রেনেসাঁর কবি ফররুখ আহমদের আজ ৯৫তম জন্মবার্ষিকী। ১৯১৮ সালের ১০ই জুন তৎকালীন যশোর জেলার মাগুরা মহকুমার মধুমতি নদীর তীরে মাঝআইল গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি অমর হয়ে আছেন, বিশেষ করে তাঁর সাত সাগরের মাঝি কাব্যগ্রন্থের জন্য।আদর্শের প্রতি আপোশহীনতার কারণে ৭১ পরবর্তী সরকারের হাতে তিনি চরম লাঞ্ছনার শিকার হন, কিন্তু কোন অবস্থাতেই মাথা নত করেননি। চরম দারিদ্র্যের মধ্যে ১৯৭৪-এর মৃত্যু বরণ করেন। প্রথম জীবনেই তিনি দুর্ভিক্ষের উপর রচিত লাশ কবিতার জন্য খ্যাতি অর্জন করেন।মঙ্গলবার, ০১/০৮/৩৪ হি. ১১/০৬/১৩ খৃ.সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আল্লাহর নাম নিয়ে কটাক্ষ করেও পার পেয়ে গেলেন। প্রতিবাদ করেছেন শুধু হেফাযত আমীর আল্লামা আহমদ শফী। দায়টা যেন শুধু আলেম-সমাজের। আওয়ামী লীগ তার এই কালো বিড়ালখ্যাত দফতরবিহীন মন্ত্রীকে তেমন কোন তিরস্কার পর্যন্ত করেনি।হেফাযতে ইসলামের মহাসচীব মাওলানা জুনায়দ বানুনগরীকে চট্টগ্রামে নেয়া হয়েছে। সেখানে তাকে বিশেষায়ীত হাসপাতালে ভর্তি করা হবে বলে পারিবারিক সূত্রে বলা হয়েছে।পুলিশি রিমান্ডে নেয়ার পর তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তাকে বারডেমের আইসিউতে রাখা হয়। পরে অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে একই দিনে তাকে তিন তিনটি মামলায় জামিন দেয়া হয় এবং পুলিশি প্রহরা তুলে নেয়া হয়।শাপলা চত্বরের হেফাযত-সমাবেশে অভিযান সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংগঠন অধিকার। হেফাযতসূত্রে বলা হয়েছে, তাদের কাছে এ পর্যন্ত ২০২ জনের নিহত হওয়ার তথ্য আছে। নিখোঁজ রয়েছেন ২৫০০জন। তবে অধিকার বলেছে, চলমান অনুসন্ধানের প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসাবে তারা ৬১জনের নাম প্রকাশ করছে। অধিকার তার প্রতিবেদনে আরো বলেছে, অসংখ্য মানুষ হতাহত হলেও একশ্রেণীর ‘শিক্ষিত’ মানুষের নীরবতায় তারা উদ্বিগ্ন। অধিকার তার প্রতিবেদনে উক্ত অভিযানে নিরস্ত্র সমাবেশের উপর ভারী অস্ত্র ব্যবহারের কথা উল্লেখ করেছে এবং সরকারের কাছে জোরালো দাবী জানিয়েছে, কত লোক নিহত হয়েছে এবং তাদের কোথায় কবর দেয়া হয়েছে তা অবশ্যই জানাতে হবে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, অভিযানের আগে বিদ্যুৎসরবরাহ বন্ধ করা এবং বিরোধী দলীয় দু’টি টিভি চ্যানেল বন্ধ করে দেয়ার বিশ্বাসযোগ্য ব্যাখ্যা অবশ্যই জনগণের সামনে আসতে হবে।সিরিয়ায় সরকারী বাহিনীর উপর্যুপরি সাফল্যের মুখে বিদ্রোহীদের অস্ত্রসহায়তা দানের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরাক ও আফগানিস্তানের ‘মধুর’ অভিজ্ঞতার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ওবামা সিরিয়াযুদ্ধে এমন হস্তেক্ষেপের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন যাতে মার্কিন সৈন্য পাঠানোর প্রয়োজন হবে, তবে অন্যান্য উপায়ে বিদ্রোহীদের সাহায্যের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে ভাবা হচ্ছে। এদিকে সিরিয়ার বিদ্রোহী নেতারা হোয়াইট হাউজকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে যে, বড় ধরণের সহায়তা না পেলে তারা বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে।আজকের নয়া দিগন্তে মুস্তাফা জামান আব্বাসী লিখেছেন, ‘যে পথ আল্লাহর সে পথই আমার’। লেখাটি হৃদয়কে স্পর্শ করে। লেখাটি তিনি শুরু করেছেন এভাবে, ‘বিভক্ত জাতি, বিভক্ত পাঠক, বিভক্ত মন। যা বলতে চাই, তাতে বাধা ঘরে ও বাইরে। কাকে জানাই মনের কথা?’তিনি লিখেছেন, ‘স্পষ্ট জ্যোতি আছে যার কাছে তার ভীত হওয়ার কোন কারণই ঘটেনি। ১৪০০ বছর আগে যা সত্য ছিলো, এখনো তা পরিপূর্ণ সত্য, লক্ষ বছর পরও তা..। এটি কোরআনের ওয়াদা।’এরশাদ মজুমদারের লেখাটিও বর্তমান পরিস্থিতির নিরিখে খুব মূল্যবান।বুধবার, ০২/০৮/৩৪ হি. ১২/০৬/১৩ খৃ.আজ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির সমাবেশ। একমাস পর শর্তসাপেক্ষে সমাবেশ করার ‘সদয়’ অনুমতিঅবশেষে পেলো দলটি।আর মাত্র দু’দিন বাকি আছে খুলনা, রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল এই চারসিটি করপোরেশন নির্বাচনের। নির্বাচন কমিশনের নির্বিকার আচরণের আড়ালে একপক্ষের ব্যাপক সহিংসতার মধ্যেই অন্য পক্ষ শেষ মুহূর্তের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগও গুরুত্ব পাচ্ছে না কমিশনের কাছে। ফলে কমিশনের প্রতি জনআস্থা প্রায় শূন্যের পর্যায়ে নেমে এসেছে। যুগান্তর ভিতরের পাতায় লিখেছে, ‘আমাদের দুশ্চিন্তা ক্ষমতাসীনদের স্পর্শ করছে না।’বৃহস্পতিবার, ০৩/০৮/৩৪ হি. ১৩/০৬/১৩ খৃ.পুলিশি রিমান্ডে থাকাকালে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়া হেফাযত মহাসচীব, চট্টগ্রামে চিকিৎসাধীন বাবুনগরীকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছেন হেফাযত আমীর আল্লামা আহমদ শফী। আমীর ও মুরুব্বীকে কাছে পেয়ে বাবুনগরী কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এসময় আল্লামা শফী তাকে ধৈর্যধারণের উপদেশ দেন। বাবুনগরী জামিনে থাকলেও কার্যত বন্দী রয়েছেন। হাসপাতালে তাকে যারা দেখতে আসে তাদের উপর সাদা পোশাকের পুলিশ কড়া নজরদারি করছে। তাই হয়রানির ভয়ে তার ভক্ত ও ছাত্ররা এই আলিমে দ্বীনকে দেখতে হাসপাতালে যেতে পারছে না।ভাবি, নেতার জীবনে যে কোন নির্মম পরিস্থিতি আসতেই পারে, তখন নেতার কাছে কিরূপ দৃঢ়তা ও আবেগের নিয়ন্ত্রণ কাম্য!!পাশাপাশি দু’টি খবর নয়া দিগন্তে ছাপা হয়েছে। প্রথমটি হলো, ভারতীয় হাইকমিশনার বলেছেন, ৬ মাসে সীমান্তে কোন হত্যাকা- হয়নি। দ্বিতীয় খবরটি হলো, বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশী ব্যবসায়ী নিহত।ভারতীয় হাইকমিশনার আরো বলেন, ‘তিস্তাচুক্তি না হওয়াটা দুঃখজনক, তবে কোন চুক্তি ছাড়াই বাধাহীনভাবে তিস্তার পানি বাংলাদেশে ঢুকছে।’ হাঁ, তাহলে আর চুক্তির প্রয়োজন কী? যদি বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ শরন অসত্য বলেছেন তাহলে কি এটা কূটনৈতিক অসৌজন্য হবে?আমারদেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে আবার তিনদিনের রিমান্ডে দেয়া হয়েছে। গতকাল তাকে আদালতে হাজির করা হলে দেখা যায়, তিনি গুরুতর অসুস্থ। আদালতে তিনি নিজেই বলেন, রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হয়, রিমান্ডের নামে বাণিজ্য করা হয়, যার দায় প্রশাসন ও আদালত এড়াতে পারেন না। এরপরো যদি আদালত ‘চাহিবামাত্র’ রিমান্ড মঞ্জুর করে তাহলে ন্যায়বিচার পাবো কোথায়? আদালতকে দেখতে হবে, বিষয়টি কী? এ ধরণের মামলায় রিমান্ড হতে পারে কি না, হলে কয়দিনের হতে পারে? আদালত যদি এসব বিবেচনা না করেন তাহলে যা খুশী তাই আদেশ দিতে পারেন।আদালত বলেন, আপনি তো রিমান্ড বাতিল বা জামিন চান না। আপনার পক্ষে কোন আইনজীবী রাখেননি। তখন মাহমুদুর রহমান বলেন, যেখানে আইনের শাসন প্রশ্নবিদ্ধ, গণতন্ত্র বিপন্ন সেখানে আমি কী বলবো? আদালত নিজেই বিবেচনা করুন, এ মামলায় রিমান্ড হতে পারে কি না? আইনের শাসন থাকলে তো এ মামলা খারিজই হয়ে যেতো।আজ মধ্যরাত থেকে নির্বচানী প্রচারণা বন্ধ। তারপর শুধু শ্বাসরুদ্ধকর প্রতীক্ষা। বিএনপির সমাবেশ থেকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে, সিটি নির্বাচনে কারচুপি করা হলে সরকারপতন- আন্দোলন শুরু হয়ে যাবে। এসব শূন্যগর্ভ আস্ফালন আওয়ামী লীগ থোরাই কেয়ার করে! তবে যথেষ্ট গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে, সেটাই আশার বিষয়।বরিশালে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী কামালের দেহরক্ষী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তার শরীরে কমপক্ষে ১২টি গুলি ঢুকেছে। পুলিশ মূলত আহসান হাবীব কামালকে লক্ষ্য করেই গুলি ছুঁড়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।আফগানিস্তানে মার্কিন কমান্ডার জেনারেল জোসেফ ড্যানফোর্ড বলেছেন, শান্তিপূর্ণ আফগানিস্তান গড়ে তুলতে হলে তালেবানের সঙ্গে আলোচনা জরুরি। এছাড়া সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। মঙ্গলবার বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। একই দিন কাবুলে সুপ্রিমকোর্টে আত্মঘাতী হামলায় কয়েকজন বিচারকসহ ১৬জন নিহত হয়েছে। আফগান সুপ্রিমকোর্ট মার্কিন দূতাবাসের ফটক থেকে মাত্র কয়েশ মিটারের দূরত্বে অবস্থিত। হামলার দায়িত্ব তালেবান ‘গ্রহণ’ করেছে।তুরস্কে তাকসীম স্কয়ারের বিক্ষোভ দৃশ্যত এরদোগানবিরোধী সহিংসতার রূপ নিয়েছে। গতকাল বুধবার ভোরে দাঙ্গাপুলিশ বিক্ষোভ-কারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে তাদের সরিয়ে দিয়েছে। ইস্তাম্বুলের মত রাজধানী আঙ্কারায়ও বিক্ষোভ সম্প্রসারিত হয়েছে। এরদোগান ক্রমেই কঠোর পদক্ষেপের দিকে যাচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে। যুগান্তরের শিরোনাম হলো, ‘উত্তাল তুরস্কে পুলিশের তা-ব’। শিরোনামটি এমন একটি দেশের পত্রিকার যেখানে পুলিশ হত্যা করার উদ্দেশ্যেই নিরস্ত্র জনতার উপর গুলিবর্ষণ করে থাকে। পাঁচহাজার মানুষের বিক্ষোভকে বলা হচ্ছে ‘উত্তাল তুরস্ক’!শুক্রবার, ০৪/০৮/৩৪ হি. ১৪/০৬/১৩ খৃ.শাপলা চত্বরে হেফাযতে ইসলামের সমাবেশে আলেম ও ইসলামপ্রিয় জনতার উপর নির্বিচার গুলিবর্ষণ ও গণহত্যার ঘটনার একমাস পার হওয়ার পরো তদন্ত না হওয়ায় আল্লামা শফী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। গতকাল একবিবৃতিতে তিনি বলেন, ৫ ও ৬ মে দেশে এত বড় একটা ঘটনা ঘটে গেলো। ঘুমন্ত, ক্লান্ত ও যিকিররত লাখ লাখ অভুক্ত আলেম ওলামার উপর নির্বিচারে গুলি চালানো হলো, অথচ বারবার দাবী করা সত্ত্বেও সরকার বিচারবিভাগীয় তদন্তের ব্যবস্থা করছে না। উল্টো হেফাযতের নেতা-কর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে। হেফাযত মহাসচীব বাবুনগরীকে সুস্থ অবস্থায় গ্রেফতার করে ২২ দিনের রিমান্ডে নিয়ে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় জামিনে ফেরত দেয়া হয়েছে।আল্লামা আহমদ শফী আরো বলেন, যারা আল্লাহ ও রাসূলের বিরুদ্ধে কথা বলে শাহাবাগে তারা মাসের পর মাস সরকারের আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে রয়েছে, অথচ আলেমসমাজ ও তাওহিদী জনতাকে ইসলাম ও ঈমানের ইজ্জত রক্ষার দাবীতে খোলা আকাশের নীচে একদিনের জন্য বসতে দেয়া হলো না। তাদের উপর নির্বিচারে গুলি চালানো হলো। পত্রিকার খবর অনুযায়ী সেই রাতে দেড় লাখের উপর গুলি খরচ করা হয়েছে। সরকারকেই বলতে হবে, এত বিপুল পরিমাণ গুলির লক্ষ্যবস্তু কী ছিলো?আল্লামা আহমদ শফী আরো বলেন, বাইতুল মুকাররামের আশেপাশে যা ঘটেছে সেখানে কি হেফাযত কর্মীরা আদৌ ছিলো? গ্রাম থেকে আসা মাদরাসার ছাত্রশিক্ষকদের পক্ষে কি এরূপ ধ্বংসাত্মক তৎপরতা সম্ভব? কোরআন যাদের কাছে প্রাণের চেয়ে বেশী মর্যাদাপূর্ণ তাদের দ্বারা কী এভাবে কোরআনে আগুন দেয়া কল্পনাও করা সম্ভব? অথচ সব দোষ চাপানো হলো তাদের উপর! প্রধানমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছিলেন, যারা কোরআন পুড়িয়েছে তাদের ছাড়া হবে না, ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের পাকড়াও করা হবে, কিন্তু তিনি তো কিছুই করলেন না! হেফাযতের আমীর তার বিবৃতির শেষ পর্যায়ে বলেন,  ওলামায়ে কেরাম সহিংস রাজনীতির সাথে মোটেও পরিচিত নন। প্রচলিত রাজনীতির কূটচাল ও মারপ্যাচ সম্পর্কেও তারা সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ। এমন নিরীহ মানুষগুলোই গণ-হত্যার শিকার হলো। এর বিচারের ভার আল্লাহর হাতে সোপর্দ করেছি। আল্লাহর পাকড়াও থেকে কেউ বাঁচতে পারবে না। শনিবার, ০৫/০৮/৩৪ হি.১৫/০৬/১৩ হি.রাত পোহালেই আজ দেশের চার সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট। সকাল আটটা থেকে বিরতিহীনভাবে বিকেল চারটা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে। পোশাকিভাবে এটা যদিও স্থানীয় এবং দলনিরপেক্ষ নির্বাচন, কিন্তু প্রকৃত-পক্ষে এ নির্বাচন হচ্ছে দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক শক্তির মধ্যে শক্তিপরীক্ষার নির্বাচন। এ নির্বাচনেই তাদের জনপ্রিয়তার পরীক্ষা হবে, যদি নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়, যার সম্ভাবনা খুবই কম। ভোটের দিন এবং নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে ব্যাপক সহিংসতার আশঙ্কা করছে স্থানীয় মানুষসহ সারা দেশের সাধারণ জনগণ। ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা ক্যাডার কর্মীদের সঙ্গে করে সর্বশক্তি নিয়েই মাঠে রয়েছেন। প্রশাসনের ছত্রচ্ছায়া তো রয়েছেই। বিএনপি অবশ্য প্রথাগতভাবেই হুঁশিয়ারি দিয়েছে, জয় ছিনিয়ে নেয়া হলে কঠোর কর্মসূচী দেয়া হবে।মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বাংলাদেশের জন্য নির্ধারিত বাণিজ্যিক সুযোগ সুবিধা হ্রাস করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে আভাস দিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।তুরস্কে বিক্ষোভকারীদের প্রতি আবার নমনীয়তা প্রদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী রজব তৈয়ব এরদোগান। বিক্ষোভকারীদের একটি প্রতিনিধি-দলের সঙ্গে আলোচনাকালে তিনি বলেছেন, আদালতের রায় না আসা পর্যন্ত গেজিপার্ক ভেঙ্গে বাণিজ্যিক-ভবন নির্মাণের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হবে, যদি বিক্ষোভকর্মসূচী স্থগিত করা হয়। আদালত যে রায় দেবে তা সবাইকে মেনে নিতে হবে। এরদোগানের সিদ্ধান্তকে প্রজ্ঞাপূর্ণ এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বলে তুরস্কের সাধারণ জনগণ স্বাগত জানিয়েছে।ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমূদ আহমদিনেজাদের উত্তরসূরী নির্বাচনের ভোট গতকাল অনুষ্ঠিত হয়েছে শান্তিপূর্ণভাবে। পাঁচকোটি ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। মধ্যপ্রাচ্যে ইরানই একমাত্র দেশ যেখানে নিয়মিত গণতান্ত্রিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। তবু মার্কিন প্রীতিটা ঝুঁকে থাকে রাজতন্ত্র ও শায়খতন্ত্রের দিকে!ইরানের সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট আহমদিনেজাদ তৃতীয়বারের জন্য নির্বাচনে প্রতিদ্বদ্বিতা করতে পারছেন না। পর্যবেক্ষকগণ মনে করেন, তিনি প্রার্থী হলে তাকে পরাজিত করা কঠিন ছিলো। পশ্চিমা গণমাধ্যমের ভাষায়, ছয়প্রার্থীর সবাই রক্ষণশীল, তবে ধর্মীয় নেতা হাসান রূহানী কিছুটা সংস্কারপন্থী।গতকাল সকালে তেহরানের প্রধান মসজিদে প্রথম ভোট দিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনী। তিনি সবাইকে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন, তবে কাকে ভোট দিতে হবে তা বলেননি। তিনি বলেন, আমারও একজন পছন্দের প্রার্থী রয়েছেন এবং আমি তাকে ভোট দিয়েছি, তবে সে কথা আমি কাউকে এমনকি পরিবারের লোকদেরও বলিনি।কোন প্রার্থী যদি ৫০.১ শতাংশের বেশী ভোট না পান তাহলে একসপ্তাহ পর দ্বিতীয় দফা ভোট গ্রহণ করা হবে। তখন নিকটতম দুই প্রতিদ্বন্দ্বী শুধু প্রাথী থাকবেন।অন্য পাঁচপ্রার্থীর মধ্যে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী আকবর বেলায়েতিও রয়েছেন। আরেকজন হলেন পারমাণবিক সঙ্কট নিরসনে ইরানের পক্ষে প্রধান আলোচক সাঈদ জালালী। এদু’জনকেই রক্ষণশীল পক্ষের মূল প্রতিনিধি মনে করা হচ্ছে। জালালী কিছুটা এগিয়ে আছেন। তবে ভোটবিভক্তির কারণে রূহানীর অবস্থান সুবিধাজনক।মঙ্গলবার ০৮/০৮/৩৪ হি. ১৮/০৬/১৩ খৃ.সদ্যসমাপ্ত চারসিটি করপোরেশন নির্বাচন দেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে মোড় পরিবর্তন ঘটাবে বলে মনে করা হচ্ছে। নির্বাচনে সরকারী প্রার্থীদের ভরাডুবি ঘটেছে। বিশ্লেষকদের বক্তব্য হচ্ছে, ২০০৮-এর শেষদিকে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে মহাবিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছিলো। এই সুযোগে তারা অবিশ্বাস্য দ্রুততার সঙ্গে বহু মৌলিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং রাষ্ট্রীয় ও প্রশাসনিক পর্যায়ে খোলনলচে পাল্টে ফেলেছে, যার অনেকগুলোই ছিলো নির্বাহী ক্ষমতা বলে নয়, বরং আদালতের সাহায্যে। তাই জনগণের কিছুই করার ছিলো না। এবার স্থানীয়ভাবে হলেও ভোটের মাধ্যমে তারা তাদের মনোভাব জানিয়ে দিয়েছে।কিন্তু আমার যা আশঙ্কা তা হলো, সরকার এখন জনমত এড়িয়ে যাওয়ার কৌশল আরো কঠোরভাবে অনুসরণ করতে চাইবে।প্রধানমন্ত্রী পরাজয়ের কারণ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন। কারণ তো তিনি জানেন এবং তার দলেরও সবাই জানে।বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচীব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক চাইলে দেশে নির্বাচনই হবে না’ মর্মে সংসদে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য গণতন্ত্রের জন্য অশনিসঙ্কেত। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে গণতন্ত্রের অস্তিত্বই থাকবে কি না তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন সব শ্রেণী ও পেশার মানুষ।’অশনি- সঙ্কেত বলুন আর যাই বলুন, এটাই আওয়ামী রাজনীতির চিরায়ত রূপ।অবশেষে মন্ত্রিসভা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বহুল আলোচিত চুক্তির খসড়া চুক্তিটি অনুমোদন করেছে। চলতি মাসেই চুক্তিটি সম্পাদিত হতে পারে। এর ফলে মেধাস্বত্বভিত্তিক কোন পণ্য বা সেবা বাংলাদেশে পাইরেট (বা কপিরাইট অনুমদোন ছাড়া) বিক্রি বন্ধ হয়ে যাবে। তাছাড়া শিল্পপ্রতিষ্ঠানে ট্রেড ইউনিয়ন চালু করার বাধ্যবাধকতা আসতে পারে; যদিও শিল্পমন্ত্রণালয় বলছে, টিকফার সঙ্গে এগুলোর কোন সম্পর্ক নেই।সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনে সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গিগোষ্ঠীর অপপ্রচারেরই জয় হয়েছে।(অর্থৎ মূর্খ জনগণ ভুল করেছে!)জাতীয় নির্বাচনের আগেই গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে সরকার আস্থাভাজনদের পোস্টিং দিতে শুরু করেছে বলে জানা গেছে। খুব শীঘ্র বিশেষ করে জনপ্রশাসন ও পুলিশপ্রশাসনে বড় ধরণের রদবদল হবে বলে আভাস পাওয়া গেছে। মাঠপ্রশাসনও ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।একটি মানহানি মামলায় গতকাল আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। এদিকে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ মাহমুদুর রহমানকে মুক্তি এবং বন্ধ মিডিয়া খুলে দেয়ার দাবী জানিয়েছে।বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দীন কাদের চৌধুরী আদালতে বলেছেন, জীবন রক্ষার জন্য নয়, মর্যাদা রক্ষার জন্য আদালতে বক্তব্য দিতে দাঁড়িয়েছি।সিরাজুর রহমান তার কলামে লিখেছেন, ‘সিটি নির্বাচন থেকে কী শিখলাম?’ প্রশ্ন হলো, যা ‘শিখেছি’ তা থেকে কি আমরা শিক্ষাগ্রহণ করতে প্রস্তুত?মিনার রাশীদের লেখাটিও গুরুত্বপূর্ণ।আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ লেখা আছে আজকের নয়া দিগন্তে তুরস্কের উপর, যার মূল বক্তব্য, ‘তাকসীম স্কয়ার-বিক্ষোভের আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে এরদোগানের উদার গণতন্ত্রের স্থলে কামাল পাশার সেকুলার গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা।’এদিকে ইস্তাম্বুলে বিশাল সমাবেশ করে এরদোগান তার প্রতি জাতির পূর্ণ সমর্থনের বিষয়টি জানান দিয়েছেন। (তবু যুগান্তর বলে, এরদোগানের বিরুদ্ধে উত্তাল তুরস্ক!)বিক্ষোভ দমনে সেনা মোতায়েনের সম্ভাবনার কথাও জানানো হয়েছে।রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন সিরিয়ার বিদ্রোহীদের অস্ত্র দেয়ার বিষয়ে জোরালো প্রতিবাদ জানিয়েছেন।বুধবার, ০৯/০৮/৩৪ হি. ১৯/০৬/১৩ খৃ.পদ্মাসেতু দুর্নীতি সম্পর্কে বিশ্বব্যাংক ক্রমেই শক্ত অবস্থানে যাচ্ছে। আবুল হোসেনকে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে দিলেও বিশ্বব্যাংকের দাবী অনুযায়ী জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন করতে সরকার প্রস্তুত নয়। দুদক চেয়ারম্যান বলেছেন, বিশ্বব্যাংক বললেই তো কাউকে আসামী করা যাবে না! অর্থমন্ত্রীও সাফাই গেয়ে প্রতিবেদন পাঠাচ্ছেন বিশ্বব্যাংকে। প্রশ্ন হতে পারে, তাহলে বিশ্বব্যাংকের কথায় তাকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরানো হলো কেন? অর্থমন্ত্রী বলছেন, যেখানে অর্থের লেনদেনই হয়নি সেখানে দুর্নীতি হয় কীভাবে? অর্থমন্ত্রীকে এ অর্থ কে বোঝাবে যে, অর্থের লেনদেন হচ্ছে দুর্নীতির চূড়ান্ত বা সমাপ্তি স্তর, এর আগে রয়েছে প্রস্তুতি স্তর এবং অন্যান্য স্তর। বিশ্বব্যাংক সে কথাই বলেছে।নয়া দিগন্তে একটি কথিত নারী-সমাবেশকে কেন্দ্র করে একটি লেখা এসেছে।রোববার ১৩/০৮/৩৪ হি. ২৩/১৩ খৃ.তত্ত্বাবধায়কের দাবীতে রাজধানীতে বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভে পুলিশের সহিংস বাধা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সারা দেশেও পালিত হয়েছে বিক্ষোভ।গাজীপুর সিটি করপোরেশনে প্রথম বারের মত নির্বাচন হতে যাচ্ছে। আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জাহাঙ্গীরকে শেষ পর্যন্ত হাসপাতালে আশ্রয় নিতে হয়েছে। তাকে সম্ভবত সরে দাঁড়াতেই হবে। কোন প্রার্থীকে বলপ্রয়োগ বা চাপপ্রয়োগের মাধ্যমে সরে যেতে বাধ্য করা নির্বাচনী আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন নির্বিকার। বেচারাদের অবশ্য করারই বা কী আছে!তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার প্রতি প্রধানমন্ত্রীর বর্তমান অরুচির বিষয়টি সত্যি কৌতূহলোদ্দীপক! তিনি বলেছেন, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার তিনমাসের জন্য এসে দু’বছর ছিলো, আবার এলে কেয়ামত পর্যন্ত থাকবে। সে অবস্থায় আমাদের সবাইকে স্থায়ী দুর্ভোগ পোহাতে হবে। আওয়ামী লীগের ভোটচুরির নিয়ত নেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির জন্য ভালো হবে ঐ দাবী ছেড়ে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন করে জনপ্রিয়তার পরীক্ষা দেয়া।যুগান্তরে ভিতরের পাতায় মাহবুব কামাল লিখেছেন, ‘এটা বোঝার জন্য প-িত হওয়ার দরকার নেই যে, যতই দিন যাবে পরিস্থিতি বিএনপির অনুকূলে যেতে থাকবে। সুতরাং আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আওয়ামী লীগ কোনভাবেই পরাজয় এড়াতে পারবে না। ১৯৯৬-২০০১ সালের আওয়ামী লীগ সরকার চালিয়েছিলো এখনকার চেয়ে ভালোভাবে। অথচ নির্বাচনে তাদের ভরাডুবি হয়েছিলো। এ থেকে এবারের পরিণতিটা সহজেই অনুমেয়।’সুতরাং ধরে নেয়া যায়, আরেকটি সামরিক শাসনের ঝুঁকি নিতে আওয়ামী লীগ রাজি, কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা নয়।আমেরিকার পত্রিকা দৈনিক লস অ্যাঞ্জেলস টাইমস জানিয়েছে, গত কয়েক মাস ধরে অতি গোপনে সিআইএ সিরিয়ার একটি বিশেষ বিদ্রোহীদলকে নিবিড় প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছে। এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেছেন, সিরিয়ায় শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য বিদ্রোহীদের অস্ত্র দেয়া প্রয়োজন। এ বিষয়ে আলোচনার জন্য কাতারের রাজধানী দোহায় ‘সিরিয়ার বন্ধু’দেশগুলোর মন্ত্রীরা বৈঠকে বসছেন। বৈঠকের প্রাক্কালে সিরিয়ার প্রধান বিদ্রোহী গোষ্ঠী ফ্রি সিরিয়ান আর্মি (এফএসএ) বলেছে, তারা অস্ত্রসরবরাহ পেতে শুরু করেছে, যা আসাদ সরকারকে উৎখাত করার জন্য যথেষ্ট।মিয়ানামারের প্রভাবশালী বৌদ্ধভিক্ষু তার ভক্তদের উদ্দেশ্যে মুসলিম নিধনযজ্ঞে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করে বলেছেন, তোমরা দয়া ও ভালোবাসায় পূর্ণ থাকতে পারো, কিন্তু পাগলা কুকুরের পাশে ঘুমুতে পারো না। নিউইয়র্ক টাইমসের অনলাইন সংস্করণে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের ভূমিকা এভাবেই তুলে ধরা হয়েছে। উক্ত বৌদ্ধ ভিক্ষু সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, আমাকে উগ্রপন্থী বলায় আমি গর্ববোধ করি। টাইম ম্যাগাজিনে প্রচ্ছদ আইটেম হচ্ছে-ঞঐঊ ঋঅঈঊ ঙঋ ইটউউঐওঝঞ ঞঊজজঙজযুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী, সাবেক ফার্স্ট লেডি হিলারী বলেছেন, আমি সত্যি আশা করি, জীবদ্দশায় একজন নারী প্রেসিডেন্ট দেখে যাবো।ঘনঘন লোডশেডিং-এ জনজীবন বিপর্যস্ত; এদিকে কর্তৃপক্ষ মনগড়া ও হাস্যকর ব্যাখ্যা দিয়ে যেন কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিয়ে চলেছে।সোমবার ১৪/০৮/৩৪ হি. ২৪/০৬/১৩ খৃ.সংসদে অব্যাহত লাগামহীন অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে এবার নজিরবিহীনভাবে প্রতিবাদ জানালেন স্বয়ং সরকারদলীয় সদস্য আব্দুল লতীফ। দেশের ইতিহাসে সম্ভবত প্রথম এ ধরণের ঘটনায় অবাক হয়েছেন সংসদে উপস্থিত সবাই। সরকার দলীয় সদস্যরা রীতিমত অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকলেও বিপুল করতালির মাধ্যমে তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিরোধী দলের সদস্যরা। নয়া দিগন্তে ভিতরের পাতায় ‘সংসদীয় ভাষার সীমা পরিসীমা’ শিরোনামে একটি লেখা এসেছে। লিখেছেন গোলাপ মুনির। তবে তার কর্তব্য ছিলো উভয় পক্ষকে এককাতারে এনে না লেখা। কারণ বাস্তবতা এই যে, এক্ষেত্রে অনুপাত হচ্ছে দশ ও এক। তাও বিরোধী দলের সদস্য কতকটা বাধ্য হয়েই জওয়াব দিতে গিয়ে কিছুটা সীমা অতিক্রম করেন। আরো তিক্ত সত্য এই যে, এক্ষেত্রে স্বয়ং ... সকল সীমা রেখা ছাড়িয়ে যান। পক্ষান্তরে বিরোধী দলীয় নেত্রীর বক্তব্য মোটামুটিভাবে শালীনতার পর্যায়েই থাকে। এ অবস্থায় যদি লেখা হয়, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেত্রী যে ভাষায় কথা বলেন’ তাহলে একপক্ষের উপর অবশ্যই অবিচার হয়ে যায়।শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জাহাঙ্গীর-নাটকের অবসান হয়েছে। তিনি মহাজোটসমর্থিত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ-এর সমর্থনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।এ দিকে এ সিদ্ধান্তকে দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে জোরপূর্বক চাপিয়ে দেয়া বলে জাহাঙ্গীরের সমর্থক মহল ক্ষোভ প্রকাশ করছে।মাওলানা নিজামী সম্পর্কে রাষ্ট্রপক্ষের ১১তম সাক্ষী শামছুল হক ওরফে নান্নু সাক্ষি দিতে গিয়ে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন।সংসদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আবার সরকার গঠন করে ২০২১ সালের মধ্যে সোনার বাংলা গড়ে তুলবো।’ সবকিছু কি পূর্ব থেকে নির্ধারিত? বক্তব্যের শুরুতে তিনি বলতে পারতেন, ‘সুযোগ পেলে’।মৃত্যুদ-প্রাপ্ত মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর সঙ্গে তার আইনজীবীরা কেন্দ্রিয় কারাগারে দেখা করে আপীল শুনানির জন্য অপেক্ষমাণ মামলার বিষয়ে দিকনির্দেশনা গ্রহণ করেছেন।যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদকে ভূষিত হওয়ায় গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠাতা নোবেলবিজয়ী ড. ইউনুসকে অভিনন্দনপত্রের মাধ্যমে সম্মাননা জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম জিয়া।বৃহস্পতিবার ১৭/০৮/৩৪ হি. ২৭/০৬/১৩ খৃ.মূল কারণ যাই হোক, সেবাকার্য-ক্রমে গতি আনয়নের কথা বলে ঢাকা সিটি করপোরেশনকে উত্তর ও দক্ষিণ দুই ভাগ করা হয়েছে কয়েক মাস আগে। কথা ছিলো, তিনমাসের মধ্যে নির্বাচন দেয়া হবে। সেই নির্বাচন দেয়া হয়নিঊনিশ মাসেও। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছাড়া, নিয়োগকৃত আমলাদের দিয়ে চালানো হচ্ছে ডিসিসি। কার্যত সাতবছর আগে জনপ্রতিনিধিত্ব শূন্য হয়েছে ডিসিসি। ফলে বিভিন্ন জটিলতায় নাগরিক সেবা ভেঙ্গে পড়েছে। নির্বাচন না দেয়ার মূল কারণ সবারই জানা, ভরাডুবির আশঙ্কা। সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছে এগার বছর আগে ২০০২ সালে। বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী সাদেক হোসেন খোকা তাতে মেয়র নির্বাচিত হন। ঐ বছরই ১৫ই মে নির্বাচিত মেয়র-কাউন্সিলরগণ দায়িত্ব গ্রহণ করেন ২০০৭ সালের ১৪ই মে মেয়াদ শেষ হয়। তখন ক্ষমতায় সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। নির্বাচন না হওয়ায় আইন অনুযায়ী মেয়াদোত্তীর্ণ মেয়র-কাউন্সিলররা দায়িত্ব পালন করতে থাকেন। ২০১১ সালে হঠাৎ করে দুই ভাগ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে আওয়ামী লীগ সরকার। মেয়র সাদেক হোসেন খোকাকে সরিয়ে দুই অংশে দুই প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এভাবেই চলছে অভিভাবক-হীন নগরসংস্থা। আওয়ামী লীগ সরকারের সবকিছুই নজিরবিহীন।নগর আওয়ামী লীগের বৈঠকে মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন, ডিসিসি নির্বাচনেও আ’লীগের ভরাডুবি হতে পারে।সংসদে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কওমি মাদরাসাগুলোকে নিয়মের আওতায় আনা হবে। কওমি মহল আশঙ্কা করছে, এভাবে কওমি মাদরাসার স্বকীয় বৈশিষ্ট্যই নষ্ট করে ফেলা হবে।এক মতবিনিময় সভায় আল্লামা আহমদ শফী বলেছেন, উদ্দেশ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত নবিপ্রেমিক ইসলামী জনতার আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, আধুনিক শিক্ষার সকল স্তর থেকে ইসলামী শিক্ষা বাদ দেয়ার কারণেই সমাজের সর্বস্তরে আজ নীতি ও নৈতিকতার দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে।সংসদে শেখ সেলিম বলেছেন, ‘হেফাযত অভিযানে একজনের মৃত্যু প্রমাণ করতে পারলে আর রাজনীতি করবো না।’ আচ্ছা, পুরো জাতি তাহলে মেনে নিচ্ছে, একজনের মৃত্যু হয়নি। ছবিগুলো সব মিথ্যা। লক্ষাধিক গুলি ছোঁড়া ছিলো শুধু আতশবাজি। দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভির প্রচার বন্ধ করা হয়েছিলো কেন, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে সমগ্র এলাকা অন্ধকারাচ্ছন্ন করা হয়েছিলো কেন সে প্রশ্নও কেউ করবে না। স্বয়ং হেফাযত যেখানে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবী জানাচ্ছে তাতে সরকারের নীরবতা কেন তাও প্রশ্ন করার প্রয়োজন নেই।চীনের পশ্চিমাঞ্চলে জিনজিয়াং প্রদেশে রক্তক্ষয়ী সঙ্ঘর্ষে ২৭জন নিহত হয়েছে বলে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম খবর দিয়েছে। ২০০৯ সালের সহিংসতায় ২০০ লোক নিহত হওয়ার পর এটাই হচ্ছে সবচে’ বড় সহিংসতার ঘটনা। তুর্কী ভাষাভাষী প্রায় এককোটি উইঘোর মুসলিমের বেশীর ভাগ জিনজিয়াং প্রদেশে বাস করে। সরকার চীনাদের বসতি স্থাপনের মাধ্যমে উইঘোর মুসলিমদের তাদের বাসভূমিতে সংখ্যালঘুতে পরিণত করার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা করেছে। ইতিমধ্যেই উইঘোর সম্প্রদায় উক্ত প্রদেশে জনসংখ্যার ৪৫ ভাগে পরিণত হয়েছে।তালেবানদের সাথে আলোচনায় বসতে ওবামা-কারজাঈ একমত হয়েছেন। মঙ্গলবার তালেবান কারজাঈর প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে হামলা চালিয়ে চারজনকে হত্যা করার পর একটি ভিডিও কন্ফারেন্সের মাধ্যমে উভয় নেতা একথা বলেন। আরো জানানো হয় যে, কাতারের রাজধানীতে তালেবানদের দফতর খোলার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট বা আফগানিস্তান আর কোন আপত্তি করবে না। এর মাধ্যমে এ সত্যই প্রতিষ্ঠিত হলো যে, শান্তির জন্য শক্তির কোন বিকল্প নেই।দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি নেতা নেলসন ম্যান্ডেলাকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে লাইফ-সাপোর্টে রাখা হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা বলেছেন, ম্যান্ডেলার শান্তিপূর্ণ প্রয়াণের জন্য সবার প্রার্থনা করা উচিত। দক্ষিণ আফ্রিকার জনগণ এবং সারা বিশ্ব এখন সে প্রার্থনাই করছে।(চলবে ইনশাআল্লাহ)শুক্রবার, ১৮/০৮/৩৪ হি. ২৮/০৬/১৩ খৃ.

‘দেশ ও সমাজের দিনলিপি’ এ শিরোনামটির পরিধি আসলে কতটুকু? দেশে যা কিছু ঘটে ভালো ও মন্দ; সমাজের যে চিত্র প্রতিদিন দেখা যায় প্রীতিকর বা অপ্রীতিকর সবই কি উঠে আসতে পারে এখানে? দেশ ও সমাজের ক্ষুদ্র ও নগণ্য একটি অংশ হিসাবে কোন ঘটনার উপর নিজের প্রতিক্রিয়া কি তুলে ধরা যায় না?আচ্ছা, ‘দিনলিপি’ এর পরিবর্তে ‘দর্পণ’ কেমন হতো? সম্ভবত বিষয়টি চিন্তা করা যায়। এতে সমাজের চিত্রটি হুবহু উঠে আসার একটি বার্তা রয়েছে। দিনলিপি হলো লেখার বিষয়, যা লেখকের বক্তব্য ধারণ করে, পক্ষান্তরে দর্পণ হলো ছবির বিষয়। লেখার চেয়ে ছবি, অনেক বেশী বাস্তব! লেখার ক্ষেত্রে বলা যেতে পারে, ঘটনা তুলে ধরার ক্ষেত্রে লেখকের নিজের চিন্তা-ভাবনা বা ঝোঁক ও প্রবণতার দখল রয়েছে; পক্ষান্তরে দর্পণে তো তাই প্রকাশ পাবে যা বাস্তবে রয়েছে! লেখকের লেখায় ভুল পরিবেশন থাকতে পারে, কিন্তু দর্পণে যা প্রকাশ পাবে তা তো পূর্ণ বাস্তব! শেষ কথা, দিনলিপি হোক বা দর্পণ, শেষ পর্যন্ত এর উপকারিতা কী? কারো কারো মতে এটাই বা কম কী যে, বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে যাওয়া থেকে কিছু চিত্র ধরে রাখা সম্ভব হলো আগামী প্রজন্মের জন্য! হয়ত কথাটা সত্য


শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা