রবিউল আউয়াল ১৪৪০হিঃ (৩/৭)

স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা

বিশ্ব থ্রম্বোসিস দিবস

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

গত ১৩ই অক্টোবর রোয শনিবার প্রথমবারের মত বিশ্বথ্রম্বোসিসদিবস পালিত হয়েছে বাংলাদেশে। এ উপলক্ষে বারডেম অডিটোরিয়ামে সেমিনারের  আয়োজন করা হয়েছে, যাতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। পরে সংবাদসম্মেলনেরও আয়োজনও করা হয়। আমাদের স্বাস্থ্যসচেতনতা এমনই দুর্বল যে, খুব কম মানুষই হয়ত এ রোগের নাম শুনেছেন, অথচ বিশ্বস্বাস্থ্য-সংস্থ্যার পরিচালিত জরীপ অনুযায়ী বিশ্বে প্রতি চারজনের মধ্যে একজন থ্রম্বোসিস রোগে মারা যান। আমাদের দেশেও প্রতিনিয়ত অসংখ্য মানুষ থ্রম্বোসিসজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে বা পঙ্গুত্ব বরণ করছে।

রোগের কারণ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ বক্তব্যে বলা হয়, হৃদ্পি-ে ব্লক বা আবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ার কারণে, তদ্রƒপ কৃত্রিম ভাল্ব সংযোজনের কারণে রক্ত জমাট বেঁধে যেতে পারে। এর ফলে থ্রম্বোসিস রোগের উৎপত্তি হয়। অনেক সময় সাময়িক কারণেও রক্তে জমাটতা সৃষ্টি হতে পারে, যেমন দীর্ঘ সময় নড়াচড়া না করে এক অবস্থায় বসে থাকা বা শুয়ে থাকা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এ রোগ সৃষ্টি হওয়ার পর চিকিৎসা গ্রহণ করার চেয়ে, পূর্বসতর্কতা বেশী জরুরি। অর্থাৎ দীর্ঘ সময় একভাবে নিশ্চল থাকা অবশ্যই পরিহার করতে হবে। যাদের হৃদ্পি-ে কৃত্রিম ভাল্ব লাগানো হয়েছে তাদের অবশ্যকর্তব্য নিয়মিত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া এবং প্রয়োজনীয় চেকাপ করানো। তবে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর বিলম্ব না করে চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। তাহলে আশা করা যায়, প্রয়োজনীয় চিকিৎসার মাধ্যমে রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যাবে। আল্লাহ আমাদের সুস্থ রাখুন যাহেরি ও বাতেনি সর্বপ্রকার রোগ হতে, আমীন।*

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা