রবিউল আউয়াল ১৪৪০হিঃ (৩/৭)

স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা

লিভারের বড় রোগ

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

লিভার সম্পর্কে পিছনের সংখ্যায় আলোচনা হয়েছে। এখানে আমরা লিভারের সবচে’ কঠিন রোগ হেপাটাইটিস সম্পর্কে আলোচনা করবো, যার সুপরিচিত নাম হচ্ছে জন্ডিস। জন্ডিস বা হেপাটাইটিস রোগের জন্য যে ভাইরাস দায়ী তাকে বলা হয় হেপাটাইটিস-বি। (সংক্ষেপে এইচ বি) এ ভাইরাস গর্ভস্থ বা ভূমিষ্ট সন্তানের মধ্যে সংক্রমিত হতে পারে মায়ের কাছ থেকে।

সংক্রমনের একটি বড় পথ হলো এ ভাইরাস বহনকারী ব্যক্তির রক্ত গ্রহণ করা। এজন্য রক্ত সঞ্চালনের আগে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া অপরিহার্য যে, রক্তে হেপাটাইটি বি ভাইরাস রয়েছে কি না? এ রোগের সুপ্তাবস্থা হচ্ছে শরীরে ভাইরাস প্রবেশ করার পর থেকে রোগের লক্ষণ প্রকাশ পাওয়া পর্যন্ত। এটা চারসপ্তাহ থেকে চারমাস পর্যন্ত হতে পারে।  হেপাটাইটিস-বি এর উপসর্গ-গুলো হচ্ছে জ্বরজ্বর বোধ হওয়া, ক্লান্তি ও অবসাদ, শরীরে টান টান অবস্থা, বমি বমি ভাব, ক্ষুধামন্দা ইত্যাদি।

যদিও সঠিক পরিসংখ্যান নেই, তবু আনুমান করা যায় ১০% মানুষ তাদের দেহে হেপাটাইটিস -বি বহন করছে এবং তাদের অনেকে বিভিন্ন সময় লিভারের বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বহু গর্ভবতী মা (৩.৫%)হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসে আক্রান্ত। ফলে তাদের সন্তানেরা এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

এ ভাইরাসের কারণে জ-িস বা হেপাটাইটিস হয়, যা স্বল্প মেয়াদী (কয়েক সপ্তাহ) হতে পারে। উপযুক্ত চিকিৎসা দ্বারা রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়।

হেপাটাইটিস দীর্ঘ মেয়াদী হতে পারে (এমনকি সারা জীবনের জন্য)

হেপাটাইটিসের কারণে যদি লিভারে প্রদাহ দেখা দেয় এবং তা দীর্ঘস্থায়ী হয় তখন লিভারের কোষগুলো স্থায়ীভাবে নষ্ট হয়ে যায়, যাকে বলে লিভার সিরোসিস। এটা কখনো নিরাময়ের দিকে যায় না।

হেপাটাইটিস-বি একটা ভয়াবহ ঘাতক ভাইরাস। সারা বিশ্বে প্রতিবছর অসংখ্য মানুষ এইচ বি ভাইরাসজনিত রোগে মৃত্যু বরণ করছে। অথচ এ সম্পর্কে বিশেষ করে আমাদের দেশে অসচেতনতা ব্যাপক। আল্লাহ আমাদের সমস্ত রোগ ব্যাধি থেকে হেফাযতে রাখুন এবং স্থায়ী সুস্থতা দান করুন। আমীন *

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা