রবিউল আউয়াল ১৪৪০হিঃ (৩/৭)

তোমাদের পাতা

পাঠকের আদালত

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

প্রিয় পাঠক! লেখক ও সম্পাদকের জন্য পাঠকের আদালতই নাকি বড় আদালত! হয়ত তাই। এজন্য পুষ্পের মজলিসে পাঠকের আদালত কায়েম করা হলো এবং হে ‘মহামান্য পাঠক’ আপনাকে বিচারকের আসনে বসানো হলো। আশা করি আপনি ‘ইনছাফের তারাজু’ সামনে রেখে পুষ্পের লেখা, বিষয়, সজ্জা এবং অন্য যে কোন বিষয় সম্পর্কে আপনার সুচিন্তিত ও ন্যায়ানুগ ফায়ছালা জানাবেন। আমরা সে আলোকে সামনের পথ ও পন্থা নির্ধারণের চেষ্টা করবো, ইনশাআল্লাহ!

আমার পক্ষ হতে শুধু একটা পরামর্শ। আদালতে ইনছাফের চোখে সবসময় পট্টি বাঁধা থাকে, আপনি কিন্তু চোখের পট্টিটা খুলে নেবেন।  আর মর্জির খেলাফ ফায়ছালা করলে কী ‘হাশর’ হয় তার নমুনা দেখেছেন নিশ্চয়!! সুতরাং ...(-সম্পাদক)

‘পাঠকের আদালত কি শুধু দোষ ধরা, আর অভিযোগ উত্থাপনের জন্য! পাঠকের আদালতে পুষ্প কি শুধু আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকবে?

পুষ্পের সৌন্দর্যগুলো কি আদালতে আলোচিত হতে পারে না?

আমার তো মনে হয়, পুষ্পের যে সজ্জা ও উপস্থাপন অন্তত উপমহাদেশের ধর্মীয় ও ধর্মনিরপেক্ষ কোন ধারার পত্রিকাই এর তুলনায় আসতে পারে না। এ পর্যন্ত পাঠকের আদালতে এ বিষয়টি কেন উত্থাপিত হলো না, আমি অন্তত বুঝতে পারি না। তারপর, প্রতি সংখ্যার উদ্বোধনী বক্তব্যটি, এর কি কোন তুলনা আছে? (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক)

একটা বিষয় এখানে আমি বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করতে চাই, যা আমাকে অত্যন্ত মুগ্ধ করেছে। আমি মনে করি, আমার মত অনেকেই তাতে মুগ্ধ হয়েছেন।

বিষয়টি হলো পুষ্পের পাতায় পাতায় উপরে ও নীচে মূল্যবান বক্তব্য ও মন্তব্যের সমাহার, যা যেমন শিক্ষণীয় তেমনি চিন্তা ও চেতনাকে সমৃদ্ধি দানকারী। সম্পাদক এর নাম দিয়েছেন পত্রিকার মধ্যে ক্ষুদে পত্রিকা। নামটি আমার মতে সার্থক। তবে নামটি হতে পারে, ‘পুষ্পের সঙ্গে পুষ্পের কলি’।

আমি মনে করি, শুধু এ জন্যই পুষ্প সংগ্রহে রাখার উপযুক্ত হতে পারে। কোন্টি ছেড়ে কোন্টির কথা বলবো?! প্রতিটিই তো একটি করে হীরকখ-! তবু একটি বক্তব্য এখানে উল্লেখ করতে চাই, ‘সূর্যের উদয় মানে অস্তের দিকে তার যাত্রা; একটি শিশুর জন্ম মানে মৃত্যুর উদ্দেশ্যে তার অভিযাত্রা; মাঝখানের সময়টুকু সন্দুর অস্ত এবং সুন্দর মৃত্যুর প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য!’ আল্লাহ যেন আমাদের অনুভব ও উপলব্ধি দান করে করেন, আমীন।

(আব্দুল্লাহ, পিরোযপুর)

দেশ ও সমাজের দিনলিপি, বড় উপকারী ও প্রয়োজনীয় মনে হয়। কারণ দৈনিক পত্রিকা পড়া তো আমাদেরই কল্যাণের জন্য নিষিদ্ধ। তাই পুষ্পের এই বিভাগ থেকে সংবাদের প্রয়োজন, ক্ষতিকর দিক এড়িয়ে কিছুটা হলেও পূর্ণ হয়। তাছাড়া আমার মত সাধারণ পাঠক সংবাদ দ্বারা বিভ্রান্ত হতে পারে, কখনো মিথ্যা তথ্যের কারণে, কখনো বুঝতে না পারার কারণে। মিডিয়ার চক্রান্ত বোঝা তো আমাদের কাজ নয়। তবে মনে হয়, পিছনের খবরের চেয়ে সমকালীন খবরকে বেশী গুরুত্ব দিলে ভালো হতো। তাছাড়া ইসলামী দলগুলোর খবরাখবর স্থান পায় না কেন, আমরা ভেবে পাই না। সম্পাদক ...!

রোহিঙ্গাদের আমরা শরণার্থী বলেই জেনেছি; পুষ্পের মাধ্যমে জানলাম, তারা মুহাজিরীন। এ জন্য পুষ্পের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।

তবে একটি প্রশ্ন। মুহাজিরীনের ফেলে আসা সবকিছুর মালিক তো কাফিররা হয়ে যায়। তাহলে তাদের, দেশে ফিরিয়ে নেয়ার দাবী কীভাবে যুক্তিযুক্ত হতে পারে! (দেখুন উছূলুশ-শাশী) --তাকবীর হাসান

০০ (তা এক কাজ করো না কেন? আরাকান দখল করে নাও না কেন?)

ভাই ইয়াসিন

০০ পাঠকের আদালত আপনার বক্তব্যের শুনানি পরবর্তী তারিখ পর্যন্ত মুলতবী ঘোষণা করছে। তারিখ যে কোন সময় ঘোষিত হতে পারে, অপেক্ষায় থাকুন। অবশ্য এই ফাঁকে আপনি কিছু সময় ঘুমিয়ে নিতে পারেন। তবে কথা হলো ‘নাক ডাকা নট এলাউ’! নাক ডেকেছেন তো মরেছেন। তারিখ শুধু পিছাতে থাকবে!

বাংলা তারিখের অভিযোগ

সম্পাদকের নামে অত্র আদালতে একটি অভিযোগ দাখিল হয়েছে যে, তিনি পত্রিকার শুরুতে হিজরী তারিখ ও ‘ইংরেজী তারিখ ব্যবহার করছেন, কিন্তু বাংলা তারিখ ব্যবহার করছেন না। অত্র আদালত অবিলম্বে সম্পাদককে তার বক্তব্য পেশ করার জন্য আদেশ জারি করছে!

সম্পাদকের বক্তব্য

কিছু অভিযোগ, মাননীয় আদালত ইচ্ছা করলে শুনানি ছাড়াই খারিজ করে দিতে পারেন। আলোচ্য অভিযোগের ক্ষেত্রেও একথা প্রযোজ্য। কারণ বাংলাভাষা নিজেই তার মহান দিবসটি বাংলা তারিখের পরিবর্তে ইংরেজি তারিখে (২১ ফেব্রুয়ারি) পালন করে থাকে।

 

 

পুষ্পের প্রচ্ছদ

আমার ভাবনা

তৃতীয় প্রকাশনার প্রথম সংখ্যার প্রচ্ছদে ছিলো জ্বলন্ত আরাকানের পোড়া মাটির গন্ধ। দ্বিতীয় সংখ্যার প্রচ্ছদে ছিলো ইহুদি আগ্রাসনের গহ্বর থেকে দেখা যাওয়া আল-আকছার করুণ ছবি। দু’টি প্রচ্ছদই আমার মনে হয়েছে যেমন মর্মস্পর্শী তেমনই চেতনা জাগ্রতকারী।

পরবর্তী প্রচ্ছদগুলো সে তুলনায় খুবই সাদামাটা ও সাধারণ; বলতে গেলে প্রায় অভিন্ন ধাঁচে করা হয়েছে তার নির্মাণসজ্জা।

প্রতিটি সংখ্যার প্রচ্ছদ যদি তৈরী হতো ভিতরের চিন্তা ও বার্তাকে ধারণ করে আলাদা আঙ্গিকে এবং নিজস্ব স্বকীয়তা নিয়ে তাহলে ভালো হতো; তাহলে প্রতিটি প্রচ্ছদই হতো মর্মস্পর্শী ও চেতনাসমৃদ্ধ। তাহলে শুধু প্রচ্ছদই হতে পারতো পাঠকের চিন্তার জগতে নতুন দিগন্ত উন্মুক্তকারী; শুধু বর্তমান পাঠকের জন্যই নয় বরং যারা আসবে আগামীতে তাদেরও জন্য।

কোন পত্রিকা বা কিতাবের প্রচ্ছদ হয়ত পাঠকের জন্য ‘দৃষ্টিসুখ’ ছাড়া আর কিছু ধারণ করে না; কিন্তু পুষ্পের প্রচ্ছদকে আমরা কামনা করি পাঠকের জন্য বার্তাবাহীরূপে। ...

মিফতাহুল ইসলাম

প্রচ্ছদশিল্পীর বক্তব্য

প্রচ্ছদের জগতে সাধারণ ও অসাধারণ, দু’ইয়ের মধ্যে আধুনিক পার্থক্যরেখাটি এতই সূক্ষ্ম যে, অনেক সময় সাধারণকে অসাধারণ এবং অসাধারণকে সাধারণ মনে করার ভ্রম সৃষ্টি হয়।

আমার মনে হয়, অভিন্নতার মধ্যে একটি কোমল ভিন্নতা প্রচ্ছদগুলোকে আলাদা শিল্পসৌন্দর্য দান করেছে। তবে মানতেই হবে, দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য হতে পারে এবং হয়। এক্ষেত্রে সমালোচনা সার্থক হয় এবং পূর্ণাঙ্গতা লাভ করে যখন সমালোচক বিকল্প ভাবনা তুলে ধরেন। যে কোন সমালোচনার ক্ষেত্রে এটা হলো মূলনীতি, যা অধিকাংশ সময় রক্ষিত হয় না।

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা