কাশ্মীরসংখ্যা

তোমাদের পাতা

গাযওয়ায়ে হিন্দ

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

গাযওয়ায়ে হিন্দ

আমাদের সান্ত্বনা আমাদের প্রেরণা

একদিকে কাশ্মীর, অন্যদিকে ফিলিস্তীন, যেদিকে তাকাই মুসলমানদের উপর শুধু যুলুম-নির্যাতন, বর্বরতা ও নিষ্ঠুরতা। না তাদের জান-মাল ও ইজ্জত-আবরু নিরাপদ, না তাদের ভূমি ও সম্পদ। এমনকি আমাদের প্রথম কিবলা বাইতুল মাকদিস আমাদের হাতছাড়া। এতদিন সামান্য যা কিছু অধিকার ছিলো, আজ তাও নেই। বাইতুল মাকদিস ও আলকুদন আজ ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইলের রাজধানী বলে স্বীকৃতি লাভ করার পথে। আমেরিকা তো তার দূতাবাস তেলআবীব থেকে পূর্বজেরুজালিমে স্থানান্তরের ঘোষণা দিয়ে দিয়েছে!...

ফিলিস্তীনে মযলূম মুসলমানদের আহাযারি ও আর্তনাদ, সেই সঙ্গে জিহাদের জোশ-জাযবা ও উদ্দীপনায় ভরপুর কিছু নিরস্ত্র জোয়ানের প্রতিরোধ, অথচ মুসলিমবিশ্ব ও আরবজাহান নির্লিপ্ত, যেন ফিলিস্তীন কখনোই তাদের সমস্যা ছিলো না। অন্যদিকে কাশ্মীরের সবুজ উপত্যকা ভারতের হিন্দুত্ববাদী বাহিনীর নগ্ন আগ্রাসনে আজ রক্তরঞ্জিত, চারদিকে শুধু লাশ আর লাশ; সেখানে শুধু আবরুহারা নারীর বুকফাটা আর্তনাদ এবং মযলুমানের আসমানকাঁপানো ফরিয়াদ। ফিলিস্তীনের মত কাশ্মীরেও সামান্য পরিমাণে হলেও চলছে জিহাদ, আযাদীর এবং মুক্তির, ইসলামের দিকে ফিরে আসার এবং আল্লাহ্র যমীনে আল্লাহ্র কালিমা বুলন্দ করার। তাদের বুকে রক্ত আছে, কিন্তু হাতে অস্ত্র নেই। তারা আজ জিহাদের ইয্যত রক্ষা করছে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে। ফিলিস্তীনের মত কাশ্মীরের মুজাহিদীনও নিঃসঙ্গ, অসহায়। তাদের পাশে কোন মুসলিম রাষ্ট্র নেই। এমনকি পাকিস্তানও শুধু রাজনীতি, আর কূটনীতির বেড়াজালে আবদ্ধ।

সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন আসে, তাহলে ফিলিস্তীন ও কাশ্মীরের মুজাহিদীন কিসের ভরসায় লড়াই করবে যামানার এত বড় তাগুতি শক্তির বিরুদ্ধে? তাদের সামনে ফাতাহ ও বিজয়ের আশার আলো কোথায়?

ফিলিস্তীন ও কাশ্মীরের মুজাহিদীনের উদ্দেশ্যে আমাদের যে বার্তা, সেটাই এখানে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।

বস্তুত ওয়াহির মাধ্যমে আমাদের পেয়ারা নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জানা ছিলো যে, আখেরি যামানায় উম্মতের হালাত কত ‘কাবেলে রাহাম’ হবে! জিহাদ তো কেয়ামত পর্যন্ত জারি থাকবে। তো আখেরি যামানার মুজাহিদীন কত প্রতিকূলতার মধ্যে, আপন-পর সবার কী বৈরী আচরণের মধ্যে জিহাদের কঠিন দায়িত্ব পালন করবে! তিনি জানতেন। তাই আখেরি যামানার উম্মাতকে এবং উম্মাতের মুজাহিদীনকে সাহস ও সান্ত¡না প্রদানের জন্যই পেয়ারা নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিছু ওয়াহির মাধ্যমে অবগত হয়ে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছেন। আলকুদস ও বাইতুল মাকদিস সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, যার শিরোনাম হতে পারে ‘আবওয়াবে শাম ও গারকাদ’। তাতে রয়েছে ইহুদিদের বিরুদ্ধে মুসলমানদের লড়াই ও চূড়ান্ত বিজয়ের সুসংবাদ।

পক্ষান্তরে হিন্দ ও সিন্দ অঞ্চলে আখেরি যামানার যারা মুজাহিদীন হবে তাদের উদ্দেশ্যেও পেয়ারা নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছেন। ভবিষ্যদ্বাণীর উদ্দেশ্য হলো, মুজাহিদীন যেন পারিপারশিকতা প্রতিকূল অবস্থার কারণে হতোদ্যম না হয়ে পড়ে, বরং সমস্ত প্রতিকূলতার মুখেও যেন আল্লাহ্র রহমতের উপর ভরসা রেখে তারা লড়াই চালিয়ে যায়। এ বিশ্বাস তাদের শক্তি যোগায় যে, চূড়ান্ত পরিণতিতে ফাতাহ্ ও বিজয় তাকদীরে তাদেরই জন্য লেখা রয়েছে, যদি তারা হিম্মত ও সাহস এবং বাহাদুরি ও বীরত্বের সঙ্গে জিাহাদ ও কিতাল এবং লড়াই ও সংগ্রাম অব্যাহত রাখে।

গাযওয়ায়ে হিন্দ বা হিন্দের জিহাদ সম্পর্কে যে হাদীছ বর্ণিত হয়েছে, ‘সনদের চুলচেরা বিশ্লেষণ’ এড়িয়ে আমরা এখানে মূল হাদীস উল্লেখ করতে চাই। কেননা আমাদের বর্তমান উদ্দেশ্যের জন্য এটুকুই যথেষ্ট।

নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আযাদকৃত গোলাম ছাওবান রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমার উম্মতের দু’টি দল, আল্লাহ্ তা‘আলা তাদেরকে জাহান্নামের আগুন থেকে হেফাযত করেছেন। একদল, যারা হিন্দ-অভিমুখে গাযওয়া পরিচালনা করবে, আরেকদল, যারা ঈসা ইবনে মারয়াম (আ.)- এর সঙ্গী হবে।

(أخـرجـه الإمام أحمد، والنسائي، والبيهقي في الكبرى، والبخاري في التاريخ الكبير، والديلمي)

হযরত আবু হোরায়রা রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের ওয়াদা করেছেন গাযওয়াতুল হিন্দ-এর। তো যদি আমি গাযওয়াতুল হিন্দু-এ শামিল হওয়ার সুযোগ পেয়ে যাই  তাহলে ঐ গাযওয়ার জন্য আমি আমার জান-মাল কোরবান করবো। যদি ঐ গাযওয়ায় আমি নিহত হই তাহলে আমি হবো শ্রেষ্ঠ শহীদ; আর যদি যিন্দা ফিরে আসি তাহলে আমি হবো, (জাহান্নামের আগুন থেকে) মুক্ত আবু হোরায়রা।

(أخرجه أحمد والنسائي)

হযরত আবু হোরায়রা রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমার ‘সত্যবাদী বন্ধু’ রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমার এই উম্মতের মধ্যে সিন্দ ও হিন্দ-এর অভিমুখে বাহিনী প্রেরিত হবে।

তো যদি আমি তা পাই এবং তাতে শহীদ হই তাহলে তো বড় সৌভাগ্য, আর যদি আমি (এখানে তিনি একটি শব্দ বলেছেন) ফিরে আসি তাহলে আমি মুক্ত আবু হোরায়রা, আল্লাহ্ আমাকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্ত করেছেন।

(أخرجه أحمد)

এখানে কয়েকটি কথা; প্রথম কথা হলো, ছাহাবা কেরামের মধ্যে জিহাদের জাযবা এবং শাহাদাতের তামান্না কী পরিমাণ ছিলো যে, তাঁরা নিজেদের যামানার জিহাদে শরীক তো হতেনই, আগামী যামানার জিহাদে শরীক হওয়ারও তামান্না বুকের মধ্যে লালন করতেন। সেখানেও তাদের জয় পরাজয়ের চিন্তা ছিলো না, চিন্তা ছিলো শহাদাতের।

বস্তুত জিহাদের এই অপার উদ্যম ও প্রেরণা এবং শাহাদাতের এই জানকবুল তামান্নাই অর্জন করতে হবে আজ আমাদের। আল্লাহ্ যেন তাওফীক দান করেন।

দ্বিতীয় কথা হলো, এই হাদীছ তিনটিতে গাযওয়ায়ে হিন্দের সময়কাল সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। তবে হাদীছের মতনের মধ্যে বিদ্যমান আবহ থেকে বোঝা যায়, এটা আখেরি যামানায়ই হওয়ার কথা। বাকি আল্লাহু আ‘লামু।

তৃতীয় কথা হলো, এ প্রসঙ্গে অন্য একটি হাদীছও বর্ণিত হয়েছে, যার প্রতি আমাদের মনোযোগ নিবদ্ধ করা দরকার। হাদীছটি হলো, হযরত আবু হোরায়রা রা. হতে বর্ণিত যে, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিন্দ সম্পর্কে আলোচনা করে বললেন, অবশ্যই তোমাদের একটি বাহিনী হিন্দ-এ লড়াই করবে। আল্লাহ্ তা‘আলা মুজাহিদীনকে বিজয় দান করবেন। এমনকি মুজাহিদীন হিন্দু বাদশাহ ও শাসকদের পায়ে বেড়ী লাগিয়ে আনবে। (এই মহান জিহাদের বরকতে) আল্লাহ্ তা‘আলা ঐ মুজাহিদীনকে মাগফিরাত করবেন। পরে যখন ঐ মুজাহিদীন ফিরে আসবে তখন তারা শামদেশে ঈসা ইবনে মারয়ামকে পাবে।....

 

(أخرجه نعيم بن حماد في كتاب الفتن)

প্রায় একই রকম হাদীছ বর্ণিত হয়েছে হযরত ছাফওয়ান বি আমর হতে।

আলোচ্য হাদীছগুলো থেকে আমরা আরো যে বার্তা পাই তা এই যে, যারা ভবিষ্যদ্বাণীর হাদীছ বর্ণনা করেছেন, তারা শুধু বর্ণনাই করেননি, বরং অন্তরের গভীর থেকে সেগুলো বিশ্বাস করতেন। তো আমাদেরও কর্তব্য ভবিষ্যদ্বাণীগুলো বিশ্বাস করা এবং নিজেদের ঐ ভবিষ্যদ্বাণীর হকদার প্রমাণিত করার চেষ্টায় আত্মনিয়োগ করা।

বুঝে রাখার মত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এই যে, ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহ্র দুই জঘন্যতম দুশমনের পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে এখানে এবং এদিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, উভয় দুশমনের মধ্যে যেমন গভীর যোগাযোগ রয়েছে তেমনি উভয়ের বিরুদ্ধে লড়াইকারী মুজাহিদীনের মধ্যেও গভীর যোগাযোগ থাকবে। প্রথম দুশমন হলো অভিশপ্ত ইহুদি, আর দ্বিতীয় দুশমন হলো বুতপুরস্ত হিন্দু। বলাবাহুল্য, এই দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে আজো রয়েছে গভীর সখ্য। কাশ্মীরের জিহাদে ইহুদিবাদী ইসরাইল হিন্দু ভারতকে সর্বপ্রকার সাহয্য সহযোগিতা করে যাচ্ছে, যা সবার কাছেই পরিষ্কার।

এসকল হাদীছ থেকে আরেকটি বিষয় পরিষ্কার যে, মুসলিম উম্মাহর সমস্ত সমস্যার একমাত্র সমাধান হলো কোরআনের ঘোষিত জিহাদ, যাতে সমস্ত যাহেরি বাতেনি শর্ত রক্ষা করা হবে।

আলাপ-আলোচনা, বিশ্বসংস্থায় ধরণা দেয়া বা মধ্যস্থাকারীর আশ্রয় গ্রহণ, এগুলো সমস্যার কোন সমাধান নয়, সময়ের অপচয় এবং বিজয়কে দূরে ঠেলে দেয়া ছাড়া আর কিছু নয়।

ভবিষ্যদ্বাণীর হাদীছগুলো থেকে এটা বোঝা যায় যে, কারো কারো মতে যদিও এর উদ্দেশ্য হচ্ছে মুহম্মাদ বিন কাসিমের গাযওয়া। কিন্তু লক্ষ্য করার বিষয় হলো, সে যুগের মানুষ এটাকে ‘গাযওয়াতুল হিন্দ’ নাম দেননি। সুতরাং আরো পরবর্তী কোন গাযওয়া সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী হওয়ারই সম্ভাবনা বেশী। বিশেষত যদি আমরা বিবেচনায় রাখি যে, ভবিষ্যদ্বাণী করার প্রয়োজন কেন দেখা দেয়?

তাছাড় বেড়ী পড়ানো শাসক বহু হওয়ার বিষয়টিও এখানে পারিষ্কার। এতে বোঝা যায়, ঐ গাযওয়ার পূর্বে হিন্দ বহু ভাগে বিভক্ত হয়ে যাবে, যার আলামত এখনই শুরু হয়েছে এবং চিন্তাশীল হিন্দুগণ এ বিষয়ে সতর্কবাণীও উচ্চারণ করছেন।

হাদীছগুলোতে শাহাদাতের যে বিরাট মর্যাদা বর্ণিত হয়েছে আল্লাহ্ ভালো জানেন আমাদের মনে হয়, ঐ মর্যাদায় ঐ সকল শহীদানও শামিল হবেন যারা গাযওয়াতুল হিন্দ পর্যন্ত উপনীত হওয়ার পূর্ববর্তী সময়গুলোতে জিহাদ করে শহীদ হয়েছেন, হচ্ছেন এবং হবেন, ইনশাআল্লাহ্।

***

গাযওয়াতুল হিন্দবিষয়ক হাদীছগুলো সম্পর্কে হিন্দুঘেষা তথাকথিত কতিপয় স্কলার যে সকল উপহাসমূলক মন্তব্য করে থাকে সেগুলোর প্রতি তো কর্ণপাত করারই প্রয়োজন নেই। কারণ তাদের অভিসন্ধি ও মতলব তো পরিষ্কার, অর্থাৎ মুজাহিদীনের মধ্যে আশাবাদ যেন জাগ্রত হতে না পারে, বরং হতাশা যেন তাদের আচ্ছন্ন করে রাখে।

পক্ষান্তরে কতিপয় আহলে ইলম নিছক শাস্ত্রীয় দৃষ্টিকোণ থেকে হাদীছের সনদ সম্পর্কে যে আলোচনা করেছেন এবং যে মতামত ও সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন সে সম্পর্কে আরো সম্প্রসারিত আলোচনাও হতে পারে এবং তাতে ভিন্নমত প্রকাশেরও যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। তবে বর্তমান ক্ষেত্র এ আলোচনার জন্য উপযুক্ত নয়। ইনশাআল্লাহ্ কোন উপযুক্ত সময়ে এ বিষয়ে আলোচনা করার ইচ্ছে রয়েছে। আল্লাহ্-ই উত্তম তাওফীকদাতা।

পরিশেষে আমরা একটি কথা বলেই আমাদের বক্তব্য শেষ করতে চাই। তা এই যে, ফিলিস্তীন, বা কাশ্মীর বা মুসলিম জাহানের যে কোন জনপদ আগ্রাসনের শিকার, সেখানে বিভিন্ন লেবাসে কিছু মানুষ জিহাদের বিরুদ্ধে বয়ান শুরু করে। তাদের বক্তব্য মোটামুটি এরকম যে, যুদ্ধ কোন সমস্যার সমাধান নয়। আলাপ আলোচনাই সমস্যার সমাধান অর্জনের সর্বোত্তম পথ।

আসলে তারা বুঝে বা না বুঝে জিহাদ ও যুদ্ধকে গুলিয়ে ফেলেন এবং শক্তির তারতম্যকে বড় আকারে সমানে আনার চেষ্টা করেন। তাদের উদ্দেশ্যে আল্লামা তাক্বী উছমানীর বক্তব্য তুলে ধরাই যথেষ্ট মনে করি, ‘আমাদের দুশমন এমন যে তলোয়ারের ভাষা ছাড়া অন্য ভাষা তারা বুঝতেই চায় না।...

তো তলোয়ারের জবাব যুদ্ধের মাধ্যমে যেমন হয় তেমনি হয় জিহাদের মাধ্যমে। আর জিহাদ সংখ্যা ও শক্তি দ্বারা হয় না। হয় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি, সর্বোচ্চ ত্যাগ ও কোরবানি এবং আল্লাহ্র গায়বি মদদের উপর পূর্ণ বিশ্বাস ও ভরসার মাধ্যমে। সর্বোপরি নিজেদেরকে গায়বি মদদের উপযুক্তরূপে গড়ে তোলার মাধ্যমে। ...’

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা