কাশ্মীরসংখ্যা

তোমাদের পাতা

শহীদানের কাফেলায় আমাদের মায়েরা বোনেরা!

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

শহীদানের কাফেলায়

আমাদের

মায়েরা বোনেরা!

কাশ্মীরের জিহাদে যেমন অসংখ্য মরদানে মুজাহিদ জামে শাহাদাত পান করেছেন তেমনি খাওয়াতীনে কাশ্মীরও পিছিয়ে নেই। তারাও অপরিসীম সাহসিকতা ও বীরত্বের সঙ্গে লড়াই করেছেন এবং শাহাদাতের অনন্ত সৌভাগ্য অর্জন করেছেন। এখানে এমন এক কাশ্মীরী মায়ের কাহিনী তুলে ধরছি যিনি নিজের জান কোরবান করে একজন মুজাহিদের জীবন বাঁচিয়েছেন, যিনি তিনজন শহীদের মা এবং নিজেও শহীদ; শাহাদাতের আগে যিনি পাঁচজন হিন্দু হায়েনাকে খতম করেছেন।

তার নাম ছুরাইয়া, বারামূলার বাসিন্দা। একজন মুজাহিদ, দুশমনের ধাওয়া খেয়ে তার ঘরে এসে আশ্রয় নিয়েছিলেন। একটু পরেই ঘরের দরজায় সজোরে পদাঘাত হলো। এই সাহসী নারী যা বোঝার বুঝে নিলেন। শহীদ স্বামীর রেখে যাওয়া বন্দুক তার হাতে ছিলো। তিনি  আশ্রিত মুজাহিদকে বললেন, বেটা, তোমার জান বহুত কিমতি। এটাকে পরবর্তী লড়াইয়ের জন্য রেখে দাও। এখন তুমি পিছনের দরজা দিয়ে বের হয়ে যাও। আমি এদের দেখবো...!

দরজা ভেঙ্গে পাঁচজন ঘরে ঢুকলো, আর পাঁচটা গুলি একেএকে তাদের কলাগাছের মত ফেলে দিলো। দুশমনের তিনটাগুলি তার শরীরেও বিদ্ধ হলো, আর তিনি শহীদ হলেন। একমাস আগে স্বামী শহীদ হয়েছেন জিহাদের ময়দানে বাহাদুরির সঙ্গে লড়াই করে। মাত্র তিনদিন আগে শহীদ হয়েছে তার তিন বেটা, আর আজ.... (এরকম অসংখ্য নযীর রয়েছে কাশ্মীরের...)

 

তুমি কি মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকতে চাও! তুমি কি চাও, কাউকে তুমি ভয় করবে না, সবাই তোমাকে ভয় করবে!!

তাহলে দুশমনকে বলো, আমি তোমাকে ভয় করি না! বন্দুকের নলের সামনে দাঁড়িয়ে বলো, মৃত্যুকে আমি ভয় করি না। সাহসের সঙ্গে বলো বিশ্বের সবাইকে শুনিয়ে, শৃগালের মত একশ বছর বেঁচে থাকতে চাই না, সিংহের মত মাত্র একদিন বেঁচে থাকতে চাই! জীবন তোমদের কাছে যত প্রিয়, মৃত্যু আমাদের কাছে তার চেয়ে প্রিয়! মৃত্যুর পরেই তো শুরু হবে অনন্ত জীবন!              

দিতে হবে এবং নিতে হবে! কী দিতে হবে, কী নিতে হবে? তা তো জানি না! শুধু জানি, দিতে হবে এবং নিতে হবে!

আচ্ছা দেবো এবং নেবো! কী দেবে?  বুকের তাজা খুন! কী নেবে?  কাশ্মীরের আযাদি!

চীন আমাদের  আরব আমাদের, ভারত আমাদের, মুসলিম মোরা বিশ্বজাহান স্বদেশ মোদের! বিশ্ব জাহান যিনি সৃষ্টি করেছেন আমরা তাঁর ইবাদত করি সুতরাং বিশ্বজাহান হবেই তো আমাদের! পৃথিবীর যে কোন জনপদে বাস করে মুসলিম, ঈমানের বন্ধনে তারা আমাদের ভাই! তাদের সুখে আমরা সুখী, তাদের দুঃখে আমরা দুঃখী

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা