রজব ১৪৩০ হিঃ (১২)

তোমাদের পাতা

সেই ছেলেটি কেন এমন হল!

লিখেছেনঃ সোহাগ, দৌলতখান, ভোলা

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট
ছেলেটি কেমন সতেজ, হাসিখুশি ছিলো! যেমন চঞ্চল তেমনি উচ্ছল, তেমনি সহজ-সরল। গ্রামের সবাই তাকে ভালোবাসতো। ভালোবাসার মত ছেলেই তো ছিলো! কারো কষ্ট হয় এমন দুষ্টুমি সে করতো না। কোন বাড়ীর ফলের গাছে ঢিল ছুঁড়তো না। বড়দের সম্মান করতো। ছোটদের স্নেহ করতো। সে নিজেই তো ছোট ছিলো! কিন' তার চিন-া ছিলো বড়দের মত। সে তার মাকে বলতো, লেখা-পড়া করে আমি অনেক বড় হবো। বড় হয়ে তোমার দুঃখ দূর করবো। ছোট্ট ছেলের মুখে এত সুন্দর কথা শুনে মায়ের চোখে পানি এসে যেতো, আনন্দের অশ্রু। মায়ের মন ব্যাকুল হয়ে তার জন্য দু‘আ করতো। গ্রামের সবাই বলতো, একদিন এ ছেলে অবশ্যই মায়ের মুখ উজ্জ্বল করবে। সময় তো সেভাবেই এগিয়ে চলেছিলো! লেখা-পড়ায় সে ছিলো সবার চেয়ে এগিয়ে। জ্ঞানে-গুণে ছিলো সবাইকে ছাড়িয়ে। তাকে ঘিরে শিক্ষকদের মনেও ছিলো অনেক আশা। কিন' হঠাৎ কী হলো, কেউ জানে না! একটি তাজা ফুল ধীরে ধীরে যেভাবে শুকিয়ে যায়, ছেলেটিও সেভাবে শুকিয়ে যেতে লাগলো। অজানা আশঙ্কায় মায়ের বুক দুরু দুরু কাঁপে। তিনি শুধু আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকেন, তার ঠোঁট দু'টো নড়তে থাকে। শুকনো ফুল গাছ থেকে ঝরে যায়, ছেলেটিও একদিন ঝরে গেলো গ্রামের সকলকে কাঁদিয়ে এবং মাকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে।
শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা