জুমাদাল আখেরা ১৪৩১হিঃ (১৬)

তোমাদের পাতা

আব্বুর লেখা আমার চিঠি

লিখেছেনঃ নূরুযযামান

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

আব্বুর হাত ধরে চক দিয়ে স্লেটের উপর যেদিন লিখেছিলাম ‘অ আ’ সেটাই ছিলো আমার প্রথম লেখা। একসময় আব্বু হাত সরিয়ে নিলেন, আমি চেষ্টা করলাম একা নিজের হাতে লিখতে এবং লিখলাম। সে লেখা হলো পাখীর ছানার প্রথম উড়াল দেয়ার মত। তারপর আব্বুর কাছে শিখলাম ভবিষ্যতের সুন্দর স্বপ্ন দেখা। সেই স্বপ্ন দেখার মাঝেই হঠাৎ একদিন যেন এক দুঃস্বপ্ন ভর করলো আমাদের উপর, আর সেই দুঃস্বপ্ন থেকে জেগে উঠে দেখি, আব্বু চলে গেছেন দূরে, অনেক দূরে। তারপর আমি শুধু দূর আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকি। একদিন কী যে আনন্দ হলো! আকাশ থেকে নেমে এলো একটি চিঠি, আমার আব্বুর চিঠি। আনন্দে অধির হয়ে আমি পড়ছি আমার আব্বুর চিঠি, আর দু'চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে। কত সান-্বনার কথা লিখেছেন আব্বু, আমি যেন আব্বুকে চিঠি লিখি। আব্বুর কাছে চিঠি লিখতে বসলাম কাগজের পাতায় নয়, বুকের পাতায়। কত কিছু ছিলো সেই চিঠিতে! মান, ছিলো, অভিমান ছিলো, আব্দার ছিলো, আর ছিলো ..। যখন বুঝলাম, এটা ছিলো শুধু একটি স্বপ্ন তখন ভিতরের কষ্টরা গলে গলে গড়িয়ে পড়লো চোখ দিয়ে। সেদিন থেকে শুরু হলো আব্বুর কাছে আকাশের ঠিকানায় আমার চিঠি লেখা। মনটা যখন বিষণ্ন হয়, নিজেকে যখন বড় একা ও নিঃসঙ্গ মনে হয় তখনই আমি আব্বুর কাছে চিঠি লিখতে বসি। আকাশের ঠিকানায় লেখা চিঠিগুলো পড়ে থাকে আমারই কাছে, তবু আমি চেয়ে থাকি থাকি আকাশের দিকে। কখনো যদি ...!

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা