রবিউল আওয়াল ১৪৩২হিঃ (১৯)

রোযনামচার পাতা

মুসাফিরের রোযনামচা

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

 

১৮-৬-৩১ হিঃ 

রোযনামচা লিখতাম, তবে  কোন আগ্রহ ছিলো নাতাই কয়েকদিন লিখে আবার অনেক দিনের জন্য খাতা কলম বন্ধ হয়ে যায়সেদিন পুষ্পের পাতায় সম্পাদক ভাইয়ার লেখায় পড়লাম, পুষ্পের বন্ধুদের এত করে বলি, রোযনামচা লেখো, কিন্তু বন্ধুরা শোনে না ...! সম্পাদক ভাইয়ার এই একটি আর্তনাদ আমার জীবনের মোর ঘুরিয়ে দিলো(সম্পাকদক, আমি কিন্তু চাই তোমাদের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে) এখন আমি প্রতিদিন রোযনামচা লিখি 

২০-৬-৩১ হিঃ 

আজ খাবার খেলাম বৈরাগী মাছের চচ্চোরি দিয়েখুব মজা হয়েছেযিনি রান্না করেছেন তাকে বললাম, আপনার হাতে জাদু আছে?! তিনি সুন্দর একটি হাসি উপহার দিয়ে বললেন, যিকিরের সঙ্গে রান্না করলে আল্লাহ মজা দেনআর তুমি আল্লাহর নেয়ামত মনে করে খেয়েছো, আল্লাহ আরো মজা দিয়েছেন 

আমি বললাম, আচ্ছা, আমি যে, বৈরাগী মাছ খেলাম, মনটা আবার  বৈরাগী হয়ে যাবে না তো! তখন রোযনামচা লিখবো কীভাবে!

 ২১-৬-৩১ হিঃ

অনেক সময় মেহমানকে আমরা জোর করে আপ্যায়ন করি এবং জোর করে ধরে রাখিমোটেও খেয়াল করি না যে, তার কষ্ট বা সমস্যা হচ্ছে কি না! এটা মেহমানদারির আদাব নয় আজ একটি ঘটনা দেখে কথাগুলো মনে হলো

২২-৬-৩১ হিঃ

আজ লেখার মত কিছু মাথায় আসছে নাতবু সম্পাদক ভাইয়ার কথা মনে করে কলম হাতে নিলামআসলে মাথায় কিছু না আসাটাও তো লেখার বিষয়! কলমটা হাতে নিয়ে কিছুক্ষণ শুধু বসে থাকলেও তো হয়! লেখা আসার দরকার কী? খাতা-কলমের কাছে আমি নিজে এসে বসলেই তো হয়! আচ্ছা! ছোট্ট একটি লেখা হয়ে গেছে না!

২২-৬-৩১ হিঃ

বিশ্বকাপ হচ্ছে কোথায় সুদূর দক্ষিণ আফ্রিকায়, আনন্দ মিছিল হচ্ছে বাংলাদেশেব্রাজিল নাকি জিতেছেএমন খেলাপাগলও হয় মানুষ!  আমার মনে পড়লো সম্পাদক ভাইয়ার সেই লেখাটি, খেলার নামে শুরু হলো এ কোন্ খেলা!

সম্পাদক- তোমার ত্রিশ দিনের রোযনামচা পেয়েছিভালো, লিখতে থাকোচচ্চোরি বানানটা দেখে নাও

 

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা