মুহররম.১৪৪০হিঃ (৩/৬)

রোযনামচার পাতা

নিয়মিত রোযনামচা! সুন্দর অতীত! সুশৃঙ্খল বর্তমান! উজ্জ্বল ভবিষ্যত! সফল জীবন!

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

এই মাদরাসায় আমার খুব ভালো লাগে। হুযূর যেন মায়ের মত। এই মাদরাসায়, মনে হয় না যে, মানুষ পড়ে; মনে হয় ফিরেশতা পড়ে! আমরা যদি ফিরেশতা হতাম!
০০ না, বাবা! তুমি ফিরেশতা হবে কেন!? তুমি হবে মানুষ! উত্তম চিন্তার, উত্তম চরিত্রের এবং উত্তম আমলের মানুষ। তখন তুমি হয়ে যাবে ফিরেশতার চেয়ে উত্তম। তোমাদের সবার লেখা খুব ভালো। তোমাদের লেখা পড়ে আমি অনেক খুশী। আমি কী চিন্তা করি জানো! আল্লাহ যদি দয়া করে তোমাদের নিরাপদ রাখেন, আর এভাবে তোমরা সামনের দিকে চলতে থাকো তাহলে আজ থেকে বিশ বছর পরে তোমরা কত বড় হবে!! শুধু বয়সে এবং শরীরে নয়, জ্ঞানে, গুণে, বিদ্যায়, বুদ্ধিতে, চিন্তায় চেতনায় এবং কলবে ও কলমে!! ভাবতেই তো আনন্দে বুকটা ভরে যায়! আল্লাহ যেন তাই করেন, আমীন (সম্পাদক)

মাদরাসাতুল মাদীনাহ খুব সুন্দর। আদীব হুযূর তাঁর মাদরাসাটি ফুল দিয়ে সাজিয়েছেন। আমি আদীব হুযূরের জন্য অনেক দু‘আ করি।আমাদের মাদরাসায় মার নেই, বেত নেই; আছে শুধু চকোলেট, জিলেপি, মিষ্টি কেক আর আদর-মায়া। হুযূর বলেন, আমরা নাকি ফুল! ফুলের কলি!!আদীব হুযূর আমাদের জন্য বিরাট মাঠ রেখেছেন; আমরা যেন মাঠে খেলাধূলা করতে পারি।এই বিরতিতে যারা বাড়ীতে যায়নি তাদেরকে আজ সকালে আদীব হুযূর মাদরাসার গাছের আম দিয়ে শরবত পান করিয়েছেন। আমরা অনেক খুশী হয়েছি। অন্য মাদরাসায় বলে ছুটি, আমাদের হুযূর বলেন, হজ্বের সফর। কারণ যদি বাড়িতে গিয়ে মা-বাবার দিকে মুহব্বতের নযরে তাকাই তাহলে একটি ওমরা হজ্বের ছাওয়াব হবে। আমি নিয়ত করেছি, এবার বাড়িতে ...



আল্লাহ তা‘আলার কত কুদরত! আকাশে কী সূন্দর সূর্য! ভোরে পূর্বদিক থেকে ওঠে; সন্ধ্যায় পশ্চিম দিকে অস্ত যায়। সারাদিন আমাদের কত আলো দেয়! যখন রাত হয়, কি সুন্দর তারারা ঝিলমিল করে! চাঁদের কি সুন্দর জোসনা! মনটা জুড়িয়ে যায়। দিনে মানুষ কত কষ্ট করে, রাতে মানুষ আরাম করে, শান্তিতে ঘোমায়। মানুষের ঘুম আল্লাহর বড় কুদরত! মানুষের ঘুম আল্লাহর বড় নেয়ামত! আমাদের চারপাশে কত সুন্দর ফুল ছড়িয়ে আছে! বিভিন্ন রঙ, বিভিন্ন সুবাস। ফুলও আল্লাহর বড় কুদরত এবং বড় নেয়ামত। (সা‘ঈদ সা‘আদাত, মাদানী মাক্তাব, চূড়ান্ত স্তর/১৮-১১-৩৯ হি. ) 
আজ বিকেলে মাঠে খেলতে যাইনি। মাদরাসার ছাগলকে ঘাস খাইয়েছি। ছাগলটি মনের সুখে ঘুরে ঘুরে ঘাস খেয়েছে। আমার দেখতে খুব ভালো লেগেছে। আল্লাহর নবী ছাগল চরিয়েছেন। ছাগল চরানোর ওছিলায় যদি আল্লাহর নবীর সঙ্গে একটু মিল হয়ে যায়, কত সৌভাগ্য!মাদরাসার ছাগলটি খুব ভালো। ছাগলটির একটি বাচ্চা আছে। বাচ্চাটিও খুব ভালো। মায়ের কাছে থাকে, আর ঘাস খায়।আমি ছাগল চরিয়েছি, আর সবার খেলা দেখেছি। খেলা মানে দৌড়াদৌড়ি, আর ছোটাছুটি। ঘাসের উপর দৌড়াদৌড়ি করতে আমার ভালো লাগে না। আমার ভালো লাগে বালুর উপর দৌড়াদৌড়ি করতে। (আবু তালহা, মাদানী মাক্তাব চূড়ান্ত স্তর/৪-১২-৩৯ হি.) 
আমার প্রিয় হলো পুষ্প। পুষ্প হলো আমার প্রাণ। পুষ্পে কত সুন্দর সুন্দর লেখা! ছোটদের লেখাগুলো পড়ি আর খুশী হই। যেদিন আমিও পুষ্পে লেখা পাঠাতে পারবো সেদিন হবে খুব আনন্দের দিন।‘পুষ্পকলি’তে সবাই ছোট্ট ভাই, ছোট্ট বোনের কথা লেখে। কত মিষ্টি কথা! আমার একটি ছোট্ট বোন আছে। তাকে আমি অনেক আদর করি। আমি যখন অনেক দিন পরে আব্বা -আম্মার কাছে, আমার ছোট্ট বোনটির কাছে যাই। আব্বা-আম্মা খুব খুশী হন; ছোট্ট বোনটিও খুশী হয়। সবচে’ বেশী খুশী হন হলো আমার মা। মাকে দেখে আমার কী যে খুশী লাগে! মনে হয় আমি জান্নাতে আছি। আমার জান্নাত তো আমার মায়ের কদমের নীচে! (আব্দুল্লাহ বিন সাইফুল ইসলাম/২৪-১০-৩৯ হি,)আজ বিকেলে মাদরাসার বাগানে ফুলগুলো দেখে আমার খুব ভালো লাগলো। ফুলগুলো যেন আমাকে বলছে, তুমিও ফুলের মত সুন্দর হও। আমাদের প্রিয় নবী ফুলের চেয়ে সুন্দর ছিলেন। তার মধুর ব্যবহার দেখে কাফিররা মুগ্ধ হতো। হে আল্লাহ আমাকে তুমি ফুলের মত সন্দুর করো। আমাকে তুমি নবীর মত সুন্দর চরিত্র দান করো।(মুহাম্মাদ বিন রফীক/২৯-১১-৩৯ হি.)

আমাদের গ্রামে অনেক পাখী আছে। পাখীরা কী মধুর সুরে গান গায়! শহরে পাখী নেই। শহরের মানুষ পাখীর গান শুনতে পায় না। আসলে পাখীরা গান গায় না, আল্লাহর যিকির করে। তাই পাখীদের গান এত ভালো লাগে।সকালে মিষ্টি রোদের মধ্যে বসে থাকতে কত ভালো লাগে! ঝিরঝির বাতাস; যেন জান্নাতের বাতাস! (নাবিল বিন ... /২৯-১১-৩৯ হি.)

আজ খুব বৃষ্টি হলো। বৃষ্টি আমার খুব ভালো লাগে। বৃষ্টির রিমঝিম সুর কী যে ভালো লাগে! গাছের পাতাগুলো বৃষ্টিতে ধুয়ে যেন হেসে ওঠে। সবকিছু ঠা-া হয়ে যায়! আব্দুল্লাহ বলে, বৃষ্টি ওরও খুব ভালো লাগে। ...(আবু হোরায়রা/ ৯-১১-৩৯ হি. মঙ্গলবার; নাম লেখা হয়নি)

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা